অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় সেকুলারদের রাবীন্দ্রিক ধর্মাচার: মুসলমান না রবীন্দ্রোসলমান?

।। তারেকুল ইসলাম ।।

সম্প্রতি সেকুলার কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক মারা গেছেন। তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় ব্রাহ্মহিন্দু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে’ সঙ্গীতটা কোরাসকণ্ঠে গাওয়ার একটা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এর আগে করোনায় মারা যাওয়া রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী মিতা হকের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াতেও একইভাবে কোরাসকণ্ঠে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়গুলো খুবই সমালোচিত হয়েছে। অথচ হাসান আজিজুল হক ও মিতা হককে শেষপর্যন্ত ইসলামী বিধিবিধান মোতাবেক জানাজার নামায শেষেই কবরে দাফন করা হয়েছে। এতে বুঝা গেলো, সেকুলাররা সারাজীবন ইসলাম থেকে মুক্ত থাকার প্রয়াস চালিয়েও ঠিক মৃত্যুর পর ইসলামের বিধিবিধানের কাছেই তাদের অসহায় আত্মসমর্পণ বা পরাজয় ঘটে। আর যেহেতু এহেন বিব্রতকর আত্মসমর্পণ বা পরাজয় এড়ানো অসাধ্য, সেহেতু সেকুলাররা এখন সেই আত্মসমপর্ণ বা পরাজয় ঢাকতে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় রাবীন্দ্রিক রিচ্যুয়ালের শরণাপন্ন হচ্ছে। কিন্তু তাতেও ইসলামী বিধিবিধানের প্রভাব থেকে তাদের মুক্তি ঘটছে না। ঠিকই জানাযার নামায ও কবরই তাদের শেষ নিয়তি।

এছাড়া, হাসান আজিজুল হকের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যে সঙ্গীতটি গাওয়া হয়েছে, সেটি রবিঠাকুরের গীতবিতান গ্রন্থের ‘পূজা’ পর্যায়ের ২১২তম গান। গানটির প্রথম কয়েকটি পঙক্তি হলো-

‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে
এ জীবন পুণ্য করো দহন-দানে।
আমার এই দেহখানি তুলে ধরো,
তোমার ওই দেবালয়ে প্রদীপ করো-
নিশিদিন আলোক-শিখা জ্বলুক গানে।’

মৃত্যুর পর রবিঠাকুরের মৃতদেহ হিন্দু রীতি অনুসারে শ্মশানে চিতার আগুনে পোড়ানোর মাধ্যমে তার জীবন ‘দহন-দানে’ পুণ্য হলেও সেকুলার ‘রবীন্দ্রোসলমান’ হাসান আজিজুল হকের মৃতদেহের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হলো কেন! আসলে মৃত্যুর আগপর্যন্ত সেকুলার বাঙালি জাতীয়তাবাদী পরিচয়ের নিচে নিজের মুসলিম পরিচয়কে চাপা দিয়ে রাখা গেলেও মৃত্যুর পর ঠিকই মুসলমান পরিচয়েই তাদের জীবনের ইতি ঘটে। এ এক অমোঘ, অনতিক্রম্য সত্য!

আর যারা নিজ মুসলিম পরিচয়ের চেয়েও সেকুলার বাঙালি জাতীয়তাবাদী পরিচয়কে সর্বোর্ধ্বে প্রাধান্য দেন এবং রবিঠাকুরকে বাঙালি জাতীয়তাবাদের অবতার মেনেছেন, তাদের আমি ‘রবীন্দ্রোসলমান’ বলে অভিহিত করতে চাই। যাতে করে তাদের সহজেই আইডেন্টিফাই করা যায়। কারণ, সবসময় তাদের ‘সেকুলার রিচ্যুয়াল (ধর্মাচার)’ পালনে রাবীন্দ্রিক ভাবগাম্ভীর্য মুখ্য হয়ে ওঠে। তাই কেউ কেউ তাদেরকে ‘রবীন্দ্রপূজারী’ বলেও ডাকেন। বস্তুতপক্ষে, তাদের সেকুলার ‘বাঙালি’ জীবনযাপন ও রিচ্যুয়ালে রবীন্দ্রনাথই মূল অবলম্বন। অথচ রবীন্দ্রনাথ কখনোই সেকুলার ছিলেন না, বরং ছিলেন ধার্মিক। যদিও এদেশের সেকুলার প্রগতিশীলরা তাকে সেকুলার হিসেবে উপস্থাপন করার জন্য তাকে হিন্দু নয়, বরং ‘ব্রাহ্ম’ হিসেবে পরিচিত করাতে চান। এক্ষেত্রে শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে। কারণ, রবীন্দ্রনাথ অফিসিয়ালি ব্রাহ্মধর্মের অনুসারী হলেও কালচারালি ধার্মিক হিন্দুই ছিলেন। তাই তাকে ‘ব্রাহ্মহিন্দু’ বলাটা উপযুক্ত মনে করি। কালচারাল হিন্দুত্ব ত্যাগ করার মতো হীনমন্য তিনি ছিলেন না। মনেপ্রাণে হিন্দুত্ব ধারণ এবং কবিতা-গানে-প্রবন্ধে সেটার প্রকাশেও তার কোনো সঙ্কোচ ছিল না। অথচ আমাদের দেশের সেকুলাররা সর্বত্র ইসলামি কালচার ত্যাগ করার মানসিকতা প্রদর্শন করাকেই প্রগতিশীলতা মনে করেন।

আগাগোড়া হিন্দুত্ব ধারণ করা সত্ত্বেও রবীন্দ্রনাথ নিঃসন্দেহে তার সময়কালে হতে পেরেছিলেন সবচে অগ্রসর সাহিত্যিক এবং আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃত ও নোবেলজয়ী কবি। এমনকি তার কোনো লেখায় সেকুলারিজমের নামগন্ধও খুঁজে পাওয়া যায় না। বরং রবীন্দ্রনাথ নিজেই হিন্দু-মুসলিম স্বাতন্ত্র্য বা পার্থক্য বিলুপ্ত করাকে ‘আত্মহত্যার নামান্তর’ বলেছেন। এছাড়া, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হিন্দুত্ব নিয়ে তার ‘আত্মপরিচয়’ প্রবন্ধে লিখেছিলেনÑ ‘আমরা যে-ধর্মকে গ্রহণ করিয়াছি, তাহা বিশ্বজনীন তথাপি তাহা হিন্দুরই ধর্ম। এই বিশ্বধর্মকে আমরা হিন্দুর চিত্ত দিয়াই চিন্তা করিয়াছি, হিন্দুর চিত্ত দিয়াই গ্রহণ করিয়াছি। শুধু ব্রহ্মের নামের মধ্যে নহে, ব্রহ্মের ধারণার মধ্যে নহে, আমাদের ব্রহ্মের উপাসনার মধ্যেও একটি গভীর বিশেষত্ব আছেই- এই বিশেষত্বের মধ্যে বহুশত বৎসরের হিন্দুর দর্শন, হিন্দুর ভক্তিতত্ত্ব, হিন্দুর যোগসাধনা, হিন্দুর অনুষ্ঠান প্রতিষ্ঠান, হিন্দুর ধ্যানদৃষ্টির বিশেষত্ব ওতপ্রোতভাবে মিলিত হইয়া আছে। আছে বলিয়াই তাহা বিশেষভাবে উপাদেয়, আছে বলিয়াই পৃথিবীতে তাহার বিশেষ মূল্য আছে।’

আরও পড়তে পারেন-

আহলে কুরআন: কুরআন বলে ‘তুমি মিথ্যাবাদি’
মুমিন জীবনে নামাযের গুরুত্ব
আল্লাহর অসীম কুদরত ও মহিমা আত্মোপলব্ধির উৎকৃষ্ট উপায়
কুরআন অবমাননা: আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি বনাম হিন্দুত্ববাদ
যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আলেম সমাজের প্রস্তুতি

ব্রাহ্মধর্মের অনুসারী হলেও রবীন্দ্রনাথ কালচারাল হিন্দুত্বের বাইরে আর কোনো স্বাক্ষর রাখেননি। বরং বিশেষভাবে ছিলেন হিন্দু জাতিবাদী। তিনি নিজেই চাইতেন যে, ভারতবর্ষে মুসলমানরা হিন্দু পরিচয় ধারণ করুক, অর্থাৎ তাদেরকে হিন্দুরূপী মুসলমান হতে হবে। ভারতে কেউ ধর্মে খ্রিস্টান কিংবা মুসলিম হলেও তাকে জাতিতে ‘হিন্দু পরিচয়’ ধারণ করতে হবেÑ এমন সাম্প্রদায়িক নীতিই ছিল রবিঠাকুরের জাতিবাদী দর্শন। রবীন্দ্রনাথ তার এই হিন্দুরূপী মুসলমান ও হিন্দুরূপী খ্রিস্টান থিওরি দিয়েছেন ‘আত্মপরিচয়’ নামক প্রবন্ধে। সে প্রবন্ধে তিনি আরো বলেছেনÑ ‘তবে কি মুসলমান অথবা খ্রীস্টান সম্প্রদায়ে যোগ দিলেও তুমি হিন্দু থাকিতে পার? নিশ্চয়ই পারো। ইহার মধ্যে পারাপারির তর্কমাত্রই নাই। হিন্দুসমাজের লোকেরা কী বলে সে কথায় কান দিতে আমরা বাধ্য নই; কিন্তু ইহা সত্য যে কালীচরণ বাঁড়–জ্যে মশাই হিন্দু খ্রীস্টান ছিলেন। তাঁহার পূর্বে জ্ঞানেন্দ্রমোহন ঠাকুর হিন্দু খ্রীস্টান ছিলেন। তাঁহারও পূর্বে কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দু খ্রীস্টান ছিলেন। অর্থাৎ তাঁহারা জাতিতে হিন্দু, ধর্মে খ্রীস্টান। খ্রীস্টান তাঁহাদের রঙ, হিন্দুই তাঁহাদের বস্তু। বাংলাদেশে হাজার হাজার মুসলমান আছে। হিন্দুরা অহর্নিশি তাহাদিগকে ‘হিন্দু নও হিন্দু নও’ বলিয়াছে এবং তাহারাও নিজেদিগকে ‘হিন্দু নই হিন্দু নই’ শুনাইয়া আসিয়াছে; কিন্তু তৎসত্ত্বেও তাহারা প্রকৃতই হিন্দুমুসলমান। কোনো হিন্দু পরিবারে এক ভাই খ্রীস্টান, এক ভাই মুসলমান ও এক ভাই বৈষ্ণব এক পিতামাতার স্নেহে একত্রে বাস করিতেছে- এই কথা কল্পনা করা কখনোই দুঃসাধ্য নহে, বরঞ্চ ইহাই কল্পনা করা সহজÑ কারণ ইহাই যথার্থ সত্য, সুতরাং মঙ্গল এবং সুন্দর’।

এছাড়া, রবীন্দ্রনাথের ‘শিবাজী উৎসব’ রচনাটি আগ্রাসী হিন্দুত্ববাদী একটি কবিতা। সেটার একটা লাইন হলোÑ ‘একধর্মরাজ্য হবে এ ভারতে- এ মহাবচন করিব সম্বল’। অথচ দেখুন, আমাদের দেশে রবীন্দ্রনাথকে ‘সেকুলার মহামানব’ বানিয়ে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, যা আদতে প্রতারণা এবং রবীন্দ্রস্বভাব ও রবীন্দ্রচিন্তার একেবারেই বিপরীত। এভাবেই ঊনিশ শতকে শুরু হওয়া এবং রবীন্দ্রযুগের বিশ শতক পর্যন্ত প্রবহমান বাংলার হিন্দু রেনেসাঁসের অভিঘাতে রবীন্দ্রনাথের মধ্যে যে-আধুনিক হিন্দু-মানস গড়ে উঠেছিল, সেটাকে আড়াল করার সেকুলার বঙ্গীয় ধূর্ত প্রচেষ্টাকে প্রশ্ন করা জরুরি।

আমাদের দেশের মুসলিম প্রগতিশীলরা প্রধানত ইসলামী ভাবধারার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েই সেকুলার প্রগতিশীল হওয়ার কোশেশ করেন। আর প্যারাডক্সিক্যালি ব্রাহ্মহিন্দু রবীন্দ্রনাথই কিনা তাদের সেকুলার প্রগতিশীলতার আইকন! কী সেলুকাস! রবীন্দ্রজপ না করলে তাদের আচার-অনুষ্ঠানে সেকুলার আমেজটাই নাকি আসে না! ধার্মিক রবীন্দ্রনাথকে যারা সেকুলার বানিয়ে আজ প্রগতিশীলতার রাজনীতি করছেন, তারাই বরং রবীন্দ্রচিন্তার শত্রু।

বস্তুতপক্ষে, আজকে আইরনিক্যালি সেকুলার প্রগতিশীল বাঙালি জাতীয়তাবাদীদের বড় রাজনৈতিক অস্ত্র হয়ে উঠেছেন রবীন্দ্রনাথ। আর এই অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে বাঙালি মুসলমানের ইসলামী ভাবচেতনা দমনের জন্য, সেকুলার ভণিতার মধ্যদিয়ে। আর বাংলা সাহিত্যে হিন্দুত্ব থাকলে সেকুলারদের জাত যায় না, কিন্তু ইসলাম থাকলেই যেন বজ্জাতি ঘটে যায়! ফলে ফররুখ আহমেদ, আল মাহমুদ ও সৈয়দ আলী আহসানদের ব্রাত্য করে রাখা হয়। অথচ রবীন্দ্রনাথ তার কবিতা ও সাহিত্যের মৌলিক উপাদানগুলো নিয়েছিলেন হিন্দু ধর্মের ইতিহাস-ঐতিহ্য, বেদ, উপনিষদ, পুরাণ ও হিন্দু সংস্কৃতি থেকে। ইউরোপ থেকেও নিয়েছিলেন।

তবে তথাকথিত প্রগতির বিপদ সম্পর্কেও সচেতন ছিলেন। তার ছোটগল্প ‘প্রগতি সংহার’ পড়লেই সেটা বুঝা যায়। কিন্তু নিজে ফারসি চর্চা করলেও, ফারসি মুসলিম কবিদের দ্বারা প্রভাবিত হলেও এবং ইসলামী ব্যক্তিত্বদের সাথে তার পরিচয় ও সম্পর্ক থাকলেও রবীন্দ্রনাথ সচেতনভাবেই নিজের চিন্তা ও সাহিত্যকর্মকে ইসলাম ও মুসলিম উপাদান-ঐতিহ্য থেকে মুক্ত রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন। এই জায়গায় রবীন্দ্রনাথের প্রতি আমার কোনো অভিযোগ বা বিরাগ নেই, বরং নিজের ধর্মীয় ইতিহাস-ঐতিহ্য, মূল্যবোধ ও সংস্কৃতিকে অবলম্বন করেই তিনি যে আন্তর্জাতিক হয়ে উঠতে পেরেছিলেন, তাতে আমি মুগ্ধ ও অভিভূত! হিন্দুত্বকে ধারণ করেই তিনি বিশ্বকবি হয়ে উঠতে পেরেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ এই জায়গায় অত্যন্ত শক্তিশালী। যেমনটা শক্তিশালী মহাকবি আল্লামা ইকবাল। উভয়ের কেউই সেকুলার ছিলেন না, বরং ধর্মানুরাগী ছিলেন।

অন্যদিকে, রবীন্দ্রনাথকে এদেশে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার দরকারেই ‘আমার সোনার বাংলা’ গানকে জাতীয় সঙ্গীত করা হয়েছিল- এমনটাই মনে করেন ফরহাদ মজহার তাঁর রচিত ‘রক্তের দাগ মুছে রবীন্দ্রপাঠ’ বইটিতে। তবে পাকিস্তানি সামরিক স্বৈরশাসকরা যদি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে রবীন্দ্রনাথের গান নিষিদ্ধ না করতো এবং রবীন্দ্রসাহিত্যের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সেন্সরশিপ আরোপ না করতো, তাহলে ‘সন্দেহ হয় রবীন্দ্রনাথের গান জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গাইবার প্রবল রাজনৈতিক ইচ্ছা এদেশের জনগণের মধ্যে জাগতো কিনা’ (পৃষ্ঠা- ৩৮)।

এছাড়া বইটিতে তিনি আরো লিখেছেন, ‘পারিবারিক ও ধর্মীয় পরিচয়, মনন, দর্শন, পঠন, পাঠন প্রভৃতির মধ্যদিয়ে রবীন্দ্রনাথের মধ্যে যে-মনোগাঠনিক প্রক্রিয়া ও প্রকাশ সচল ছিল তার সম্পৃক্তি হিন্দু ঐতিহ্যের সঙ্গে, কিন্তু বৌদ্ধ বা ইসলামী ঐতিহ্যের সঙ্গে নয়। রবীন্দ্রনাথ কখনো ভোলেননি যে তিনি হিন্দু’ (পৃষ্ঠা- ৩৯)।

যা হোক, এদেশে দৃশ্যমান রবীন্দ্রপূজার নেপথ্য রাজনীতির ব্যাপারে আমাদের সচেতন থাকা দরকার। কেননা, সেই রাজনীতির মধ্যদিয়ে সেকুলার বাঙালি জাতীয়তাবাদীরা এদেশে ইসলামের বিরুদ্ধে একটা কালচারাল প্রতিরোধ গড়ে তোলার তৎপরতায় লিপ্ত আছে। একারণে একইসাথে তারা চেতনে-অবচেতনে এদেশে আধিপত্যবাদী ও ব্রাহ্মণ্যবাদী শক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়নে মুৎসুদ্দীরূপে ভূমিকা পালন করছে। ফলে রবীন্দ্রনাথ এখানে শুধু কবি-সাহিত্যিক মাত্র নন, সেটা ছাপিয়ে তিনি আধিপত্যবাদের ত্রিশূলেও পরিণত হয়েছেন।

লেখক: রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
Email: tareqislampt@gmail.com

#মাসিক মুঈনুল ইসলাম/এমএ

মাসিক মুঈনুল ইসলাম পড়তে ক্লিক করুন-
https://mueenulislam.com/

ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা ও মাসআলা-মাসায়েলবিষয়ক লেখা পেতে ‘মাসিক মুঈনুল ইসলাম-এর ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।