ইসলামের আলোকে তালাক ও হিলা বিবাহ্
– মাওলানা মুহাম্মদ আবুল কাসেম ভূঁইয়া
ইসলাম আল্লাহ্ তাআলার মনোনীত ও পছন্দনীয় ধর্ম। ইসলাম শান্তি ও মুক্তির ধর্ম। ইসলাম কখনো কামনা করে না যে, স্বামী-¯স্ত্রীর মধুর ভালবাসার সংসারে অশান্তির আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে উঠুক, স্বামী-¯স্ত্রীর প্রেম-ভালবাসার সংসারে বিচ্ছেদ সংঘটিত হয়ে একটি দাম্পত্য জীবনের বা একটি পরিবারের চির বিলুপ্তি ঘটুক। কিন্তু এরপরও যদি কোন সংসারে এমন অবস্থা দেখা যায় যে, স্বামী-¯স্ত্রী মিলেমিশে একত্রে ঘরসংসার করা কোনক্রমেই সম্ভব হচ্ছে না, একজন আরেক জনকে কোনভাবেই সহ্য করতে পারছে না এবং নিজেদের জিদের কারণে শান্তি-সুখের, মধুর ভালবাসার সংসারে অশান্তির আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে উঠছে, তখন সে সংসারটাকে অশান্তির আগুন থেকে বাঁচানোর লক্ষ্যে, শান্তি ও মুক্তি দেওয়ার উদ্দেশ্যে নিরুপায় পন্থা হিসেবে তালাককে বৈধ করা হয়েছে। অন্যথায় তালাক কোন ভাল বস্তু নয়। স্বয়ং রাসলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন- “আল্লাহ্ তাআলার নিকট সবচেয়ে নিন্দনীয়, ঘৃণিত ও নিকৃষ্ট বৈধ কাজ হচ্ছে তালাক।” (আবুদাঊদ শরীফ)।
পবিত্র কুরআন-হাদীসের এমন একটি শব্দও খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানে তালাক দেওয়ার ব্যাপারে কোন প্রকার উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। হযরত আলী (রাযি.) থেকে বর্ণিত অন্য এক হাদীসে বলা হয়েছে, “তোমরা বিবাহ কর কিন্তু তালাক দিয়ো না। কারণ তালাক দিলে আল্লাহ্ তাআলার আরশ কেঁপে উঠে।” (তাফ্সীরে কুরতুবী)।
উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে এটা পরিস্কার হয়ে গেল যে, ইসলাম তালাক দেওয়াকে পছন্দ করে না। ইসলাম চায় স্বামী-¯স্ত্রীর মধুর ভালবাসার দাম্পত্য জীবনে বয়ে আনুক চির শান্তি, তাদের পরস্পরের সম্পর্ক হোক চিরস্থায়ী। তবে বিশেষ কোন প্রয়োজনে যদি তালাক দিতেই হয় বা তালাক ছাড়া অন্য কোন পন্থাই বাকী না থাকে, তাহলে তালাক দেওয়া যেতে পারে। ইসলামী শরীয়তের আলোকে তালাক দেওয়ার উত্তম পন্থা হচ্ছে, এক সাথে তিন তালাক না দিয়ে প্রতি তহুরে (মাসিক ঋতুস্রাব পরবর্তী পবিত্র কালে) এক তালাকে রেযয়ী প্রয়োগ করা। এমনিভাবে তিন তহুরে তিন তালাক প্রদান করা। তালাকে বায়েন প্রয়োগ না করে এক তালাক বা দু’তালাক প্রয়োগ করাকে তালাকে রেযয়ী বলা হয়। তালাকে রেযয়ী দেওয়ার পর ইদ্দত শেষ হওয়ার আগে স্বামী ইচ্ছা করলে ¯স্ত্রীকে নিয়ে ঘর সংসার করতে পারে। নতুন কোন বিবাহের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু যদি ইদ্দত শেষ হয়ে যায়, তাহলে তা আর রেযয়ী থাকে না। বরং তালাকে বায়েন হয়ে যায়।
আর এক তালাকে বায়েন বা দু’তালাকে বায়েন প্রয়োগ করে ফেল্লে, ইদ্দতের মধ্যে বা ইদ্দতের পর বিবাহ দোহ্রায়ে নিলেই চলে, অন্য কারো নিকট বিবাহ দিতে হয় না। কিন্তু যদি কেউ তিন তালাক (এক সাথে বা পৃথক পৃথকভাবে) দিয়ে দেয়, তাহলে শুধু বিবাহ দোহ্রায়ে ঘর-সংসার করার সুযোগ থাকে না। বরং তিন তালাক প্রাপ্তা ¯স্ত্রী তালাক দাতার জন্য হারাম হয়ে যায়। তবে উক্ত ¯স্ত্রী ইদ্দতান্তে অন্য স্বামী গ্রহণ করার পর যদি দ্বিতীয় স্বামী মারা যায় বা তালাক দিয়ে দেয়, তাহলে ইদ্দত শেষ হওয়ার পর প্রথম স্বামী তাকে আবার বিবাহ করতে পারবে। এ ব্যাপারে আল্লাহ্ তাআলা তাঁর পবিত্র কুরআনে ঘোষণা করেছেন- “যদি তৃতীয় তালাক দিয়ে দেয়, তাহলে এ ¯স্ত্রী আর ঐ স্বামীর জন্য হালাল থাকবে না। যতক্ষণ না এ ¯স্ত্রী অন্য কোন স্বামী গ্রহণ করবে।” (সরা বাক্বারাহ্ঃ ২৩০)।
বর্তমানে আমাদের দেশে অধিকাংশ লোকই ইসলামী শরীয়তের আলোকে তালাক দেওয়ার পন্থা বাদ দিয়ে মনগড়া পন্থায় ইচ্ছা মত তালাক প্রয়োগ করে থাকেন। এক সাথে তিন তালাক দিয়েই ক্ষান্ত হন না, বরং অনেক লোক এমনও আছেন, যারা জিদের বশবর্তী হয়ে বলে থাকেন, তোকে তিন তালাক দিলাম, বায়েন তালাক দিলাম সাথে সাথে তোর মাকেও দিলাম (নাঊযুবিল্লাহ্)।
গত বছর আমাদের পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের জনৈক ব্যক্তি আমার ওয়ালেদ সাহেবের নিকট এসেছিলেন তালাকের ব্যাপারে ফাত্ওয়া নিতে। সমস্যা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে লোকটি বল্ল, আমি আমার ¯স্ত্রীকে তালাক দিয়েছি এবং আম্মাজানও বলেছি। এই হল আমাদের সমাজের বর্তমান হাল-অবস্থা। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, যারা বেটাগিরী করে এক সাথে তিন তালাক প্রয়োগ করেন, তারাই আবার দু’চার দিন বা সপ্তাহ-দশ দিন পরেই ¯স্ত্রীকে নেওয়ার জন্য পাগল হয়ে যান। কিন্তু যেহেতু তিন তালাক দেওয়ার পর অন্যত্র বিবাহ না দিয়ে নেওয়ার কোন সুযোগ থাকে না, তাই বাধ্য হয়েই রাস্তার কোন ফকীরকে শ’ দু’শ টাকা দিয়ে এই শর্তে বিবাহ দেওয়া হয় যে, তুমি এক/দু’রাত রেখে সহবাসান্তে তালাক দিয়ে দিবে। এটাকে বলা হয় হিলা বিবাহ। যদিও হিলা বিবাহ শরীয়তের আলোকে জায়েয বা বৈধ, কিন্তু উপরোক্ত পদ্ধতিতে ইজাব কবুলের সাথে শর্ত সম্পৃক্ত করায় এ সাময়িক বিবাহ মাকরূহে তাহ্রীমি বলে গণ্য। এখন প্রশ্ন হল হিলা বিবাহ কোন প্রকারে বৈধ আর কোন প্রকারে মাকরূহে তাহ্রীমি বা অবৈধ? এ প্রশ্নের জবাব সঠিক এবং সুন্দরভাবে বুঝার জন্য হিলা বিবাহ সর্বমোট কত প্রকারে হতে পারে তা জানা অত্যাবশ্যক বলে মনে করি।
বর্তমানে আমাদের সমাজে যেসব পদ্ধতিতে হিলা বিবাহ হয়ে থাকে, সেসব বিবাহকে আমরা চার ভাগে ভাগ করতে পারি। যথাঃ (১) তালাক দেওয়ার শর্ত সাপেক্ষে হিলা বিবাহ। এ বিবাহে দ্বিতীয় স্বামীর বিবাহের পূর্বে তাকে এ শর্ত দেওয়া হয় যে, তুমি হালালার জন্য বিবাহ করবে এবং দু’চার দিন রেখে সহবাসান্তে তালাক দিয়ে দিবে। এটা আবার দু’প্রকার। যথাঃ (ক) বিবাহের পূর্ব মুহর্তে ইজাব কবুলের সাথে শর্ত সম্পৃক্ত করা। (খ) বিবাহের পূর্ব মুহর্তে নয়, বরং কিছু দিন পূর্বে শর্ত সম্পৃক্ত করা এবং বিবাহের দিন শর্ত সম্পর্কে কোন আলোচনা না করা। (২) টাকার বিনিময়ে হিলা বিবাহ। এ বিবাহে দ্বিতীয় স্বামীকে বলা হয়, তোমাকে দু’চারশ’ টাকা দেব, তুমি বিবাহ করে দু’চার দিন রেখে সহবাসান্তে তালাক দিয়ে দিবে। অথবা দ্বিতীয় স্বামীর পক্ষ থেকে শর্ত দেওয়া হয়ে যে, আমাকে দু’চারশ’ টাকা দিতে হবে। (৩) বিনা শর্তে আল্লাহ্র ওয়া¯ে হিলা বিবাহ। কোন মানুষ যখন শয়তানের ধোঁকায় পড়ে তিন তালাক দিয়ে অনুতাপের সাগরে পড়ে হাবুডুবু খেতে থাকে এবং সন্তান সন্ততির মুহাব্বতে বা নিজের ভুল বুঝতে পেরে আবার ঘরসংসার করার ইচ্ছা পোষণ করে। কিন্তু শরীয়তের বিধিনিষেধের কারণে তাকে নিয়ে পুনঃঘরসংসার করার সুযোগ থাকে না।
আর আল্লাহ্র আইন বিরোধী আইয়ুবী আইনে তিন তালাকের পর শুধু বিবাহ দোহ্রায়ে নিয়ে ঘরসংসার করতে রাজী হয় না। কারণ যেহেতু উক্ত পদ্ধতিতে বিবাহ শুদ্ধ হয় না, সেহেতু বিবাহ হোক বা না হোক উভয় অবস্থাতেই ঘরসংসার করা হারাম। এমতাবস্থায় যদি কোন হৃদয়বান মুসলমান, কোন হিতাকাখী ব্যক্তি, বন্ধু-বান্ধব বা কোন আত্মীয় তিন তালাক দিয়ে মহা বিপদের সাগরে ডুবে যাওয়া পরিবারটিকে সাগরের কিনারায় আনার লক্ষ্যে বিনা শর্তে এবং নিঃস্বার্থে আল্লাহ্র ওয়া¯ে ঐ তিন তালাক প্রাপ্তা ¯স্ত্রীকে বিবাহ করে এবং কয়েক মাস বা কয়েক সপ্তাহ দাম্পত্য জীবন-যাপনও করে। আর সে যেহেতু পূর্ব থেকেই তালাক দাতার বিপদ মুক্তির নিয়্যাতেই বিবাহ করেছিল এবং তালাক দাতাও একথা জানত যে, সে তালাক দিয়ে দিবে; সুতরাং সে তালাক দিয়ে দেয়। (৪) টাকার বিনিময়ে, তালাক দেওয়ার এবং সহবাস না করার শর্তসাপেক্ষে হিলা বিবাহ। এ বিবাহে দ্বিতীয় স্বামীকে বলা হয় যে, তোমাকে এত টাকা দেব, বিবাহ করে একদিন ঘরে রেখে সহবাস না করেই তালাক দিতে হবে।
উপরোক্ত চার প্রকার হিলা বিবাহই আমাদের সমাজে চলে আসছে। এর মধ্যে প্রথম প্রকার (ক)-এর শর্ত সাপেক্ষে হিলা বিবাহ মাকরূহে তাহ্রীমি। আর (খ)-এর শর্ত সাপেক্ষে হিলা বিবাহ জায়েয। (ফাত্ওয়ায়ে দারুল উলম দেওবন্দ)। আবার কেউ কেউ বলেছেন, উভয় প্রকার হিলা বিবাহই জায়েয। দ্বিতীয় প্রকার হিলা বিবাহ সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মতে মাকরূহে তাহ্রীমি। তৃতীয় প্রকার হিলা বিবাহ সর্বসম্মত সিদ্ধান্তক্রমে জায়েয বা বৈধ। এমনকি যে ব্যক্তি তৃতীয় প্রকার বিবাহ কেবল হালালার জন্যই করবে সে ব্যক্তি সাওয়াবও পাবে। (ফাতওয়ায়ে দারুল উলম দেওবন্দ ও দুররুল মুখ্তার দ্রষ্টব্য)। চতুর্থ প্রকার হিলা বিবাহ নাজায়েয।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে পরিস্কার হয়ে গেল যে, তৃতীয় প্রকার হিলা বিবাহ শুধু জায়েয বা বৈধই নয়, বরং যে ব্যক্তি হিলা বিবাহ করবে সে সাওয়াবও পাবে। সুতরাং দ্বিতীয় স্বামী তালাক দেওয়ার পর ইদ্দতান্তে প্রথম স্বামী তাকে আবার বিবাহ করতে পারবে। এতে কোন প্রকার অসুবিধা নেই। আর এক্ষেত্রে এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যাবে যে, আল্লাহ্ তাআলার বিধান মতে তিন তালাকের পর ইদ্দত পালনান্তে অন্য স্বামী গ্রহণ করার পর প্রথম স্বামী তাকে ইদ্দত শেষেই বিবাহ করেছে। এতে আল্লাহ্ তাআলার বিধানের প্রতি কোন প্রকার বিদ্রুপ করা হয়নি। এখন কথা হল, আমাদের সমাজের অসংখ্য-অগণিত হিলা বিবাহ যা প্রথম ও দ্বিতীয় প্রকারের নিয়মে সম্পন্ন হয়েছে বা হচ্ছে, এতে প্রথম স্বামীর জন্য ¯স্ত্রী হালাল হয়েছে বা হবে? এটা একটি সুন্দর প্রশ্নও বটে।
তো এর সুস্পষ্ট জবাব সব ফিক্বাহের কিতাবে বর্ণিত আছে যে, শর্তসাপেক্ষে বিবাহ পাপের কাজ হলেও যেহেতু শর্তসাপেক্ষে বিবাহে শর্ত ফাসেদ বা বাতিল হয়ে বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যায়, সেহেতু সহবাসান্তে তালাক দিলে ¯স্ত্রী প্রথম স্বামীর জন্য হালাল হয়ে যায়। (হিদায়াহ্ ২য় খন্ড, বাদায়ে’ ২য় খন্ড, ফাত্ওয়ায়ে দারুল উলম দেওবন্দ, ফাত্ওয়ায়ে শামী দ্রষ্টব্য)।
সুতরাং এ কথা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হল যে, ইসলামী শরীয়তের আলোকে হিলা বিবাহ জায়েয বা বৈধ আছে, যা অস্বীকার করার অধিকার করো নেই। তালাক সবচেয়ে নিকৃষ্ট ও ঘৃণিত মুবাহ্ হওয়া সত্ত্বেও তালাক দেওয়ার যেমন প্রয়োজন সামজে দেখা দেয়, ঠিক তদ্রুপ হিলা বিবাহেরও প্রয়োজন আছে। কাজেই সর্বপ্রকার হিলা বিবাহকে ঢালাওভাবে কুসংস্কার ও অবৈধ বলা কোন বিবেকবান মুসলমানের কাজ হতে পারে না।
অথচ আমাদের সমাজের অতি বুদ্ধিজীবি (?) যারা, তারা প্রায়ই বক্তৃতা-বিবৃতি ও লেখনীর মাধ্যমে হিলা বিবাহ বলতেই অবৈধ বলে আখ্যায়িত করে থাকেন। তারা মনে করেন হিলা বিবাহের অস্তিত্ব ইসলামী শরীয়তে নেই। পাক্ষিক পালাবদল পত্রিকায় (১০ম বর্ষ ২১ সংখ্যা, ০১-১৫ এপ্রিল ২০০১) “ইসলামে দাম্পত্য সম্পর্ক ও তালাক” নামক প্রবন্ধে জনাব এম শামসুজ্জামান সাহেবও তা প্রমাণ করার দলীল বিহীন ব্যর্থ চেষ্টা করেছেন। এসব বুদ্ধিজীবিরা হিলা বিবাহকে অবৈধ ও কুসংস্কার বলেন ঠিকই, কিন্তু আইয়ুব খানের আইন মতে তিন তালাক দেওয়ার পরও যারা আল্লাহ্র বিধান অমান্য করে অন্যত্র বিবাহ না দিয়ে শুধু বিবাহ দোহ্রায়ে অবৈধ ঘরসংসার করেন, তাদের বিরুদ্ধে কোন কথাই বলেন না। অথচ আইয়ুব খানের আইন মতে যারা বিবাহ করে ধুমধামে ঘরসংসার করছেন শরীয়তের আলোকে তারা যে হারাম কাজে লিপ্ত আছেন, এতে কোন সন্দেহ নেই। তাদের ঘরে যেসব সন্তান জন্ম নিবে, তারা যে সবাই জারজ সন্তান হবে একথা তো বলার অপেক্ষাই রাখে না। প্রকারান্তরে হিলা বিবাহের মাধ্যমে যেসব সন্তান জন্ম নিবে সেসব সন্তান যে ইসলামের আলোকে বৈধ এতে কোন সন্দেহ নেই। তবে প্রথম প্রকারের ‘ক’ এবং দ্বিতীয় প্রকার নিয়মে হিলা বিবাহ মাকরূহে তাহ্রীমি আর শেষ প্রকার নিয়মে তো হিলা বিবাহ জায়েযই নয়।
সুতরাং উক্ত তিন প্রকার হিলা বিবাহ বন্ধ করা আবশ্যক। আর এ ব্যাপারে আলেম সমাজকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে বলে আমরা মনে করি। আল্লাহ্ তাআলা আমাদের সহায় হোন। আমীন॥
লেখক- প্রবীণ আলেমে-দ্বীন, খতীব- জহিরিয়া জামে মসজিদ, ফেনী।