ইসলামের আলোকে মোবাইল ফোন ব্যবহার ও কতিপয় আদাব

।। মুফতি ফরিদুল হক ।।

ইসলাম মহান আল্লাহ তাআলার একমাত্র মনোনীত ধর্ম। যা মানবজাতির স্বভাবজাত ও পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। ইসলাম নির্দিষ্ট কোনো জাতি-গোষ্ঠী কিংবা স্থান ও কালের সাথে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এতে রয়েছে কিয়ামত পর্যন্ত আগত সকল সমস্যার সর্বোত্তম সমাধান। ইসলামী শরীয়ত সার্বজনীন ও সর্বকালীন জীবন ব্যবস্থা- যা নতুন ও পুরাতন সকল বিষয়ের সুষ্ঠু ও সুন্দর সমাধান দানের সক্ষমতায় বৈশিষ্ট্যমন্ডিত।

মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ থেকে সহজতর করার লক্ষ্যে যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে নিত্যনতুন অনেক কিছুই আবিষ্কার হয়েছে এবং হচ্ছে। মোবাইল ফোন সেসব আধুনিক আবিষ্কারের মধ্যে অন্যতম। হাজার মাইলের দূরত্বকে যা হাতের নাগালে এনে দিয়েছে। এজন্যেই ১৯৭৩ সালে আবিষ্কৃত হওয়ার প্রায় ৫০ বছর অতিক্রম হতে না হতেই তা মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় বস্তুতে পরিণত হয়েছে।

গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, যদিও মোবাইল আধুনিক যুগের একটি আবিষ্কার, তবে যে সমস্ত কাজে এর ব্যবহার তা কিন্তু নতুন কোন বিষয় নয়। পারস্পরিক যোগাযোগ, লেনদেন ও চিঠিপত্র আদান প্রদানসহ মোবাইলের প্রধানতম যেসব কাজ, তার সবগুলোই আবহমানকাল থেকে চলে আসছে। আর এসব ক্ষেত্রের করণীয় ও বর্জনীয় দিক সম্পর্কে ইসলামের সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা রয়েছে। যেমন কারো বাসার দরজায় এসে সালাম দিয়ে সাক্ষাতের প্রত্যাশা করা, সালাম করা, চিঠি-পত্র প্রেরণ এবং পারস্পরিক কথোপকথনের ক্ষেত্রে শরীয়তের যেসব নীতিমালা রয়েছে, মোবাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সেসব নীতিমালা প্রযোজ্য হবে। অতএব, যেমনিভাবে সরাসরি কারো বাসার দরজায় গিয়ে সাক্ষাতের পূর্বে তার থেকে অনুমতি গ্রহণ করা এবং তার সুযোগ সুবিধা বিবেচনা করা, আর সাক্ষাত হয়ে গেলে সালাম করা, কথাবার্তায় শালীনতা বজায় রাখা জরুরি, ঠিক তেমনিভাবে কারো কাছে মোবাইলে কল করার সময়ও এসব বিষয় লক্ষ রাখা জরুরি।

নব আবিষ্কৃত সকল বিষয়ে একটি মূলনীতি খেয়াল রাখা উচিত যে, নব আবিষ্কৃত বিষয়গুলো সাধারণত তিন ধরনের হয়ে থাকে।

(১) যাতে শুধুই ভাল দিক রয়েছে।
(২) যাতে শুধুই খারাপ দিক রয়েছে।
(৩) যাতে ভালো খারাপ উভয় দিক রয়েছে এবং উভয় কাজেই তা ব্যবহার করা যায়। তবে মূল হিসেবে বিষয়টিকে ভালো খারাপ কিছু বলা যায় না।

এই তৃতীয় প্রকার আমাদের আলোচ্য বিষয়। এই প্রকারের বিধান তার ব্যবহারের উপর নির্ভর করেই নির্ধারিত হবে।

একথা স্বতঃসিদ্ধ যে, মোবাইল যেমন একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় ও উপকারী বস্তু, ঠিক তেমনিভাবে এর ক্ষতির দিকও কিন্তু কম নয়। সুস্থ বিবেকবান কেউই তা অস্বীকার করতে পারবে না। পরকালীন ক্ষতি তো রয়েছেই, ইহকালীন ক্ষতির তালিকাও কম দীর্ঘ নয়। কারণ, ভালো বিষয়গুলোতে মোবাইল যেমন আমাদের সহযোগিতা করে, তেমনি খারাপ ও অবৈধ কাজের বিস্তার ও প্রসারে তা সমানভাবে মধ্যস্থতা করতে পারে। যেমন দেখা যায়, বর্তমানে অশ্লীলতা এবং নানা প্রকার মন্দ বিষয়াদি প্রচারে মোবাইলই বড় মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যার কারণে তা সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয়ের সবচেয়ে বড় কারণে পরিণত হতে পারে। তাছাড়া ভিডিও গেমস, নাটক-সিনেমা, ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার, হাতের মুঠোয় এসেছে এই মোবাইলের মাধ্যমেই। নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ-যুবক এমনকি শিশুরা পর্যন্ত এর ক্ষতিকর নেশা থেকে মুক্ত নয়। বিশেষত শিক্ষার্থীরা, চাই তারা মাদ্রাসার হোক কিংবা স্কুলের, তাদের অনেক বড় একটা অংশ যথারীতি মোবাইলের পেছনে সময় নষ্ট করে লেখাপড়ায় অমনোযোগী হচ্ছে, এবং নিজেদের ও সমাজের ভবিষ্যত বিনষ্ট করছে।

সময় নষ্ট ছাড়াও মোবাইলের ক্ষতি আরো ব্যাপক ও বহুমুখী। শারীরিক ও মানসিক বহু রোগেরই কারণ এই মোবাইল। চোখ, কান ছাড়াও এর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হয় মানুষের মন, মস্তিষ্ক, মেধা ও চিন্তাশক্তি। সামাজিকতা, পারিবারিক সম্প্রীতি ও মূল্যবোধ ধ্বংসের পেছনেও এর ভূমিকা অপরিসীম। বলা চলে, অসতর্ক ও অবাধ ব্যবহারে মোবাইল একটি মহামারীর আকারই ধারণ করতে পারে। যার মাধ্যমে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে পুরো একটি প্রজন্ম, জাতি ও সমাজ।

অনুরূপভাবে মোবাইলের অর্থনৈতিক ক্ষতির বিষয়টিও গৌণ নয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২১ সালে বিক্রি হওয়া মোবাইলের সংখ্যা একশো কোটিরও বেশি। তন্মধ্যে কয়টি মোবাইল শুধুমাত্র প্রয়োজনের কারণে ক্রয় করা হয়েছে, তা নিশ্চিতভাবে বলা কঠিনই বটে। তাছাড়া সামগ্রিক হিসেবে মোবাইলের কথাবার্তা ও ইন্টারনেটের খরচ এবং এর চার্জ বাবদ ব্যয় হওয়া কারেন্ট বিলের পরিমাণও কিন্তু খুব কম নয়।

কিন্তু সবকিছুর পরও এর প্রয়োজনীয়তা ও উপকারিতার দিকে লক্ষ করলে এটাকে অবৈধও বলা যায় না। অতএব, মোবাইল ব্যবহারের বিধান ব্যবহারকারীর কার্যকলাপের উপর ভিত্তি করেই নির্ধারিত হবে।

উল্লেখ্য যে, যেহেতু কেউ দ্বীন বা দ্বীনের অংশ হিসেবে মোবাইল ব্যবহার করে না, তাই তাকে বিদআত বলারও কোন অবকাশ নেই। কেননা, নবআবিষ্কৃত কোন বিষয় বিদআত হওয়ার জন্য সে বিষয়কে দ্বীন ও ইবাদত হিসেবে পালন করা আবশ্যকীয়। অন্যথায় তা বিদআত হিসেবে গণ্য হবে না।

সাধারণত মানুষ নিজস্ব প্রয়োজন মেটানো এবং বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা ভোগ করার জন্যে মোবাইল ব্যবহার করে থাকে। তবে এমন ব্যবহারকারীর সংখ্যাও কম নয়, যারা নিষ্প্রয়োজনে ফ্যাশন ও সৌখিনতার জন্যে মোবাইল ব্যবহার করে।

বলাবাহুল্য যে, যদিও ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্যের কারণে মূল বস্তুর বিধানে কোনো পরিবর্তন আসে না, তবে তা যদি অবৈধ কিংবা শরীআহ কর্তৃক নিষিদ্ধ কোন কাজে ব্যবহার করে, তখন ব্যবহারকারী অবশ্যই গুনাহগার হবে।

আল্লাহ তাআলা বলেন- ومن يتعد حدود الله فأولئك هم الظالمون
“বস্তুত যারা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা লঙ্ঘন করবে, তারাই যালেম। (সূরা বাকারা, আয়াত- ২২৯)।

সবচেয়ে বড় কথা হলো, একজন মুমিনের উচিত অহেতুক ও অপ্রয়োজনীয় কাজ থেকে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত রাখা।

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন- والذين هم عن اللغو معرضون
অর্থাৎ- “মুমিনরা অহেতুক কাজ থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখে”। (সূরাতুল মু’মিনূন, আয়াত- ৩)।

রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন- من حسن إسلام المرأ تركه ما لا يعنيه
“কোনো ব্যক্তির ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্য হলো, অপ্রয়োজনীয় কাজ থেকে বিরত থাকা।“ (সুনানে তিরমিযী, ২৩১৭)।

কথা বলার আদবসমূহ

কারো সাথে দেখা-সাক্ষাত করার ক্ষেত্রে ইসলাম কিছু নিয়ম নীতি পালন করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে। যেহেতু মোবাইলে কথাবার্তাও এক প্রকার সাক্ষাতের মতো, তাই মোবাইলে কথা বলার সময়ও সে সব আদবের প্রতি লক্ষ রাখা উচিত। নিম্নে কিছু আদব উল্লেখ করা হলো-

ক. কারো নিকট ফোন করার পূর্বে লক্ষ্য রাখতে হবে যে, এ মুহূর্তে ফোন করার কারণে কাক্সিক্ষত ব্যক্তির কোনো অসুবিধা বা কাজে ব্যাঘাত ঘটাবে কিনা। রাত গভীর হলে কারো নিকট বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কল না দেয়া। কেননা, মানুষ এসময় ঘুমে ও বিশ্রামে থাকে। আর ঘুম ভেঙ্গে কথা বলা কষ্টকর। সুতরাং, প্রত্যেককে তার সুবিধা অনুযায়ী কল করা উচিত ।

খ. কল করার আগেই নাম্বার ভালোভাবে যাচাই করা উচিত। কারণ, হতে পারে আমি ভুল নাম্বারে কল করে কোন ঘুমন্ত মানুষকে জাগিয়ে দিচ্ছি, বা কোন রোগীকে কষ্ট দিচ্ছি, বা কোন ব্যস্ত মানুষকে বিরক্ত করছি।

নবী কারীম (সা.) ইরশাদ করেছেন-
المسلم من سلم المسلمون من لسانه ويده
অর্থাৎ- “প্রকৃত মুসলমান ঐ ব্যক্তি যার যবান ও হাত থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ থাকে।“ (বুখারি শরীফ- ১/৬, মাকতাবায়ে আশরাফিয়া)।

গ. কারো কাছে তিনবার কল দেয়ার পরও রিসিভ না করলে চতুর্থবার কল না দেয়া। কেননা, হতে পারে সে কোন প্রয়োজনীয় কাজে ব্যস্ত, অথবা সে এমন কোনো জায়গায় আছে যেখানে কল রিসিভ করা সম্ভব নয় ।

উল্লেখ্য যে, মনে রাখতে হবে তিনবার চেষ্টা করতেই হবে তা নয়। বরং সর্বোচ্চ তিনবার চেষ্টা করার পর বিরত থাকবে। হাদীস শরীফে আছে-
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: إذا استأذن أحدكم ثلاثا فلم يؤذن له فليرجع
অর্থাৎ- “রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- যখন তোমাদের কেউ তিনবার অনুমতি চায়, এবং অনুমতি না মিলে, তবে যেন সে ফিরে যায়”। (সহীহ বুখারী- ২/৯২৩, মাকতাবায়ে আশরাফিয়া)।

ঘ. সবচেয়ে ভালো হয়, কাউকে কল দেয়ার পূর্বে মেসেজের মাধ্যমে অনুমতি নিয়ে নেয়া। এতে উপরিউক্ত সব সমস্যা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব এবং অনুমতি গ্রহণও পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন হয়।

আরও পড়তে পারেন-

পরিবেশ বিপর্যয়— রুশ সাম্রাজ্যের শাপে বর?
আহলে কুরআন: কুরআন বলে ‘তুমি মিথ্যাবাদি’
আল্লাহর অসীম কুদরত ও মহিমা আত্মোপলব্ধির উৎকৃষ্ট উপায়
কুরআন অবমাননা: আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি বনাম হিন্দুত্ববাদ
যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আলেম সমাজের প্রস্তুতি

ঙ. কল রিসিভ করার পর সর্বপ্রথম সালাম দিয়ে কথা শুরু করা। হযরত জাবের (রাযি.) থেকে বর্ণিত-
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: السلام قبل الكلام
অর্থাৎ- “রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, কথাবার্তার আগে সালাম দিবে”। (মিশকাতুল মাসাবীহ- ২/৩৯৯)।
চ. কল রিসিভ করার পর প্রথমে নিজের নাম ঠিকানা বলে পরিচয় দেয়া উচিত। হ্যাঁ, যদি পূর্ব থেকে জানা থাকে যে, তার নাম ঠিকানা রিসিভকারীর মোবাইলে সেভ করা আছে, তাহলে পরিচয় দেয়া জরুরি নয়। হযরত জাবির (রাযি.) বলেন-
أتيت رسول الله صلى الله عليه وسلم في دين كان على أبي، فدققت الباب فقال: من ذا؟ فقلت: أنا، فقال:أنا أنا! فكأنه کرہ
অর্থাৎ- “আমার পিতার ঋণ পরিশোধের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর নিকট হাযির হলাম এবং দরজায় করাঘাত করলাম। রাসূল (সা.) বললেন- কে? বললাম- “আমি”।

রাসূল (সা.) বললেন- “আমি, আমি!” যেন তিনি আমার এরূপ উত্তর অপছন্দ করলেন।“ (বুখারি শরীফ, ১/৯২৩, মাকতাবায়ে আশরাফিয়া)।

ছ. কাক্সিক্ষত ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কেউ মোবাইল রিসিভ করলে তাকে অবগত করা যে, আমার অমুকের সাথে কথা বলার প্রয়োজন ।

জ. কথা বলার সময় অপরপক্ষের অবস্থার প্রতি খুব লক্ষ রাখা চাই। কারণ হতে পারে, কোনো প্রয়োজন বা সমস্যায় থেকেই সে আমার সাথে কথা বলছে! অতএব অল্প সময়ের মধ্যেই প্রয়োজনীয় কথা শেষ করে রেখে দেয়া উচিত।

ঝ. মোবাইলে কোন প্রকার মিথ্যা কথা না বলা। (যেমন, মিথ্যা পরিচয় দেয়া বা নিজের অবস্থান সম্পর্কে কেউ জানতে চাইলে অন্য স্থানের নাম বলা ইত্যাদি)। কেননা, মিথ্যা বলা কবীরা গুনাহ এবং মুনাফিকের আলামতের মধ্যে একটি। সুতরাং তা পরিহার করা আবশ্যক ।

হযরত আবু হুরায়রা (রাযি.), বলেন-
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: آية المنافق ثلث، إذا حدث كذب، وإذا وعد أخلف، وإذا اؤتمن خان
অর্থাৎ- “রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, মুনাফিকের আলামত তিনটি। যখন সে কথা বলে মিথ্যা বলে। যখন প্রতিজ্ঞা করে ভঙ্গ করে, এবং আমানত রাখলে খেয়ানত করে।“(সহীহ বুখারি শরীফ- ১/১০ পৃষ্ঠা, মাকতাবায়ে আশরাফিয়া)।

ঞ. উদ্দেশ্যহীনভাবে কল না দেয়া। কেননা, তা অপচয়ের মধ্যে গণ্য হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন-
إن المبذرين كانوا إخوان الشياطين، وكان الشيطان لربه كفورا
অর্থাৎ- “নিশ্চয় অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই। শয়তান স্বীয় পালনকর্তার প্রতি অত্যন্ত অকৃতজ্ঞ”। (সূরা বনী ইসরাঈল, ২৭ আয়াত)।

ইসলামী শরীয়তের আহকামের প্রতি দৃষ্টি দিলে একথা প্রতীয়মান হয় যে, ইসলাম সকল বিষয়ে উভয়পক্ষকেই উত্তম আখলাকের প্রতি উদ্বুদ্ধ করে যেমন সাক্ষাত প্রত্যাশীকে কাক্সিক্ষত ব্যক্তির সুযোগ সুবিধার প্রতি লক্ষ রাখতে বলা হয়েছে, তেমনি সে যদি না বুঝে বা বেখেয়ালে কোন অনুচিত বা অসঙ্গত কাজ করে ফেলে, সে ক্ষেত্রে প্রত্যাশিতের প্রতিও নির্দেশনা রয়েছে যে, সে যাতে সবর করে। ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে এবং কোন অসঙ্গত আচরণ না করে। অতএব, এসব বিষয় সাক্ষাতের মতো মোবাইলের ব্যাপারেও সমানভাবে বিবেচ্য হবে।

লেখক: সিনিয়র শিক্ষক, আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।

#মাসিক মুঈনুল ইসলাম/এমএ

মাসিক মুঈনুল ইসলাম পড়তে ক্লিক করুন-
https://mueenulislam.com/

ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা ও মাসআলা-মাসায়েলবিষয়ক লেখা পেতে ‘মাসিক মুঈনুল ইসলাম-এর ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।