।। আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন (হাফি.) ।।
আখেরী নবী সরদারে দোজাহান রাহমাতুল্লিল- আলামীন আফযালুর রাসূলুল্লাহ ওয়াল আম্বিয়া হযরত মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ (সা.)এর জন্ম সমস্ত পৃথিবীর জন্য রহমত স্বরূপ ও বরকতময়। তাই রাসূলুল্লাহ (সা.)এর জন্ম আমাদের জন্য পরম গর্বের এবং আমাদের প্রত্যেকটি কাজ রাসূলুল্লাহ (সা.)এর সুন্নাতের গন্ডিতে করতে হবে। কীভাবে রাসূলুল্লাহ (সা.)এর উপর সালাম প্রদান করবেন আর কীভাবে রাসূলের উপর দরূদ পাঠ করবেন, তা রাসূলুল্লাহ (সা.) শিক্ষা দিয়েছেন। যদি রাসূলুল্লাহ (সা.)এর জন্মদিনে উল্লাস ও ঈদ যাপন করা ইবাদত হত, অবশ্যই রাসূলুল্লাহ (সা.) তা বলতেন।
ইসলাম হচ্ছে একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা ও শান্তি-শৃঙ্খলার নাম। আর শরীয়ত হল সমগ্র জাহানের সৃষ্টিকর্তা মহান রাব্বুল আলামীনের মনোনীত পবিত্র বিধান। এই পবিত্র বিধানের মধ্যে বিন্দু পরিমাণ কম-বেশি করার অধিকার কারো নেই। মূর্খতার বশবর্তী হয়ে যদি কেউ এদিক-সেদিক কিছু করে বসে, তবে মনে রাখতে হবে তা ইসলাম নয়, বরং ইসলামের নামে ভিন্ন কিছু। শরীয়তে ইসলামীতে ঈদ হল দুটি, ঈদুল-ফিতর ও ঈদুল-আযহা। এছাড়া তৃতীয় কোন ঈদ ইসলামী শরীয়তে নেই।
বছর ঘুরে আমাদের দুয়ারে মাহে রবিউল আউয়াল সমুস্থিত। এ মাসেই বিশ্ববাসীর জন্য রহমত হিসেবে ধরণীর বুকে আগমন করেন দোজাহানের সরদার, বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত (সা.)। আবার এ মাসেই আপন রবের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি পাড়ি জমান না ফেরার দেশে।
নিঃসন্দেহে বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানবের শুভাগমন বিশ্ববাসীর জন্য বরকতময় এবং একটি অবিস্বরণীয় ঘটনা। যাঁর জন্মের পূর্বাভাস অনেক পূর্ব থেকেই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বহু অলৌকিক ঘটনার মাধ্যমে পৃথিবীবাসীকে জানিয়ে ছিলেন।
প্রসঙ্গত সর্বপ্রথম বলতে হয়, এ মাসের একটি বিশেষ দিনের কথা অর্থাৎ ১২ই রবিউল আউয়াল। যেদিন এক শ্রেণির লোক বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.)এর জন্মকে কেন্দ্র করে মনগড়া তামাশায় লিপ্ত হয়ে পড়েন। অথচ শরীয়তে ইসলামিয়্যাতে যার কোনো অস্থিত্বই নেই।
হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে-
عن أنس قال : قدم رسول الله صلى الله عليه وسلم المدينة ولهم يومان يلعبون فيهما ، فقال : «ما هذان اليومان» ؟ قالوا : كنا نلعب فيهما في الجاهلية فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم : «إن الله قد أبدلكم بهما خيرا منهما : يوم الاضحى ، ويوم الفطر» .
হযরত আনাস (রাযি.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) মদীনায় আসার পর দেখলেন মদীনাবাসী দু’টি দিনে খেলাধূলা করে। রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করলেন, ‘আল্লাহ তা’আলা জাহিলিয়্যাতের দু’টি দিনের পরিবর্তে উত্তম দু’টি দিন তোমাদেরকে দান করেছেন। একটি হল ঈদুল-ফিতর অপরটি হল ঈদুল-আযহা। (আবু দাউদ- ১১৩৪)।
অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, আজ এক শ্রেণির লোক স্বাচ্ছন্দমতো শরীয়তের বিধান তৈরি করছে। ঈদে মিলাদুন্নবী নামে তৃতীয় এক ঈদের আবিষ্কার করেছে। মুখে তারা খুব নবী প্রেমের দাবি করে, কিন্তু বাস্তবে তাদের মাঝে নবীর আদর্শ বলতে কিছুই নেই। নবীর আদর্শ তো এটাই, যা সাহাবায়ে কিরাম করে গেছেন। অথচ কোন সাহাবী থেকে এই ঈদের কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। জন্মদিন পালন করার মধ্যে যদি কোন ধরনের কল্যাণ থাকতো, অথবা জন্মদিন পালন করা যদি প্রেম-ভালবাসা বহিঃপ্রকাশের মাধ্যম হত, তাহলে তো সাহাবায়ে কেরামগণ (রাযি.)এর বেশি হক্বদার ছিলেন। কেননা, পৃথিবীতে সাহাবায়ে কেরাম (রাযি.) থেকে বেশি নবীপ্রেমিক কেউ নেই। আর হবেই বা কেমন করে? যেখানে স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন রূহের জগতে সমস্ত কায়েনাত থেকে এই সাহাবাদেরকে তার হাবীবের জন্য নির্বাচিত করেছেন। সুতরাং একটি বিষয় সুস্পষ্ট যে, আল্লাহ তাআলার নির্বাচিত সাহাবাদের থেকে বেশি নবীপ্রেমিক হওয়ার দাবি করা মূলত আল্লাহর পছন্দের প্রতি ধৃষ্টতা প্রদর্শন।
আসলেই কি সেই ১২ই রবিউল আউয়াল নবীর জন্মদিন? ১২ই রবিউল আউয়াল নবী (সা.)এর জন্মদিনকে কেন্দ্র করে জশনে জুলুসে ঈদে মীলাদুন্নবী নামে যে শোভাযাত্রা বের করা হয়, সে দিনই রাসূল (সা.) হয়েছেন, ইতিহাসে এর অকাট্য প্রমাণ নেই। বিশেষভাবে মহানবীর জীবন চরিত্র তথা সীরাতুন্নবী (সা.) সম্বলিত সব গ্রন্থেই এই নিয়ে মতভেদ রয়েছে। নির্ভরযোগ্য ইতিহাস গ্রন্থের প্রায় সবগুলোতেই উল্লেখ আছে যে, মহানবী (সা.)এর জন্ম তারিখের ব্যাপারে ইতিহাসবিদদের মাঝে যথেষ্ট মতভেদ রয়েছে। বিরোধপূর্ণ বর্ণনাগুলোতে ১/২/৮/৯/১০/১১/১২/১৭/ ১৮/২২ রবীউল আউয়ালের তারিখের উপর মতামত পাওয়া যায়। উক্ত তারিখ সমূহের মধ্যে সুনির্দিষ্টভাবে কোন একটি তারিখকে মহানবী (সা.)এর জন্মদিনের জন্য নির্ধারণ করা শুধু দুষ্করই নয়, বরং অসম্ভবও বটে। তবে বিজ্ঞ মুহাক্কিক ও প্রসিদ্ধ ইতিহাসবিদগণের কাছে ৮ ও ৯ তারিখের মতামতটি সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য। সুতরাং একথা পরিষ্কার হয়ে গেল যে, ঈদে মীলাদুন্নবী নামে যে জসনে জুলুস ও শোভাযাত্রা বের করা হয়, তার সাথে মহানবী (সা.)এর জন্মের নিশ্চিত কোনও সম্পর্ক নেই।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
“হে নবী, আপনি বলে দিন তোমরা যদি আল্লাহকে মুহাব্বাত কর তাহলে আমার অনুসরণ কর। এতে আল্লাহ তোমাদেরকে মুহাব্বাত করবেন”। (আলে-ইমরান- ৩১)।
উক্ত আয়াত দ্বারা এ কথা প্রমাণিত হয় যে, নবীর অনুসরণই আল্লাহর অনুসরণ এবং নবীর মুহাব্বতই আল্লাহর মুহাব্বত। কেননা আল্লাহ পাক নিরাকার ও অদৃশ্য, যে কারণে আল্লাহকে স্বচক্ষে অবলোকন করে মুহাব্বত ও অনুসরণ করার সুযোগ নেই। তাই তাঁর হাবীব (সা.)এর মুহাব্বত ও তাঁর আদর্শের অনুসরণ-অনুকরণ আল্লাহর প্রকৃত আনুগত্য রূপে আখ্যা দেয়া হয়েছে। আর প্রেমিকের প্রেমের প্রমাণ হচ্ছে প্রেমাস্পদের আদর্শের অনুসরণ করা।
আরও পড়তে পারেন-
- পাশ্চাত্য শিক্ষা বনাম কওমী শিক্ষা
- করোনা মহামারি ও আমাদের করণীয়
- জান্নাত পেতে চাইলে শিরকমুক্ত নেক আমল করতে হবে
- দুর্দিন ও দুঃসময়ে নবী জীবন থেকে সান্ত্বনা
- ইসলামে সংশয়প্রবণতা এবং সংক্রামক রোগ
তাই রাসূলে কারীম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে আমার আদর্শকে (সুন্নাত) মুহাব্বাত করল, প্রকৃতপক্ষে সে আমাকেই মুহাব্বত করল। কাজেই রাসূলের মুহাব্বত শুধুমাত্র মুখে মুহাব্বতের শ্লোগান দেয়ার নাম নয়; বরং প্রকৃত মুহাব্বাত হচ্ছে রাসূলের আদর্শের বাস্তব অনুসরণের নাম। রাসূলে কারীম (সা.)এর তেইশ বৎসরের যিন্দেগীর প্রতিটি কাজ উম্মতের জন্য স্মরণীয় ও করণীয়। রাসূলুল্লাহ (সা.)এর জীবনালোচনা করা বরকতময় ও সাওয়াবের কাজ। রাসূলুল্লাহ (সা.)এর মুহাব্বত ঈমানের অঙ্গ। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সা.)এর প্রতি মুহাব্বত, সম্মান প্রদর্শন, রাসূলের জীবনী আলোচনা এমনকি রাসূলের সুন্নাতের অনুসরণসহ প্রত্যেকটি কাজ ঐ নিয়ম-পদ্ধতিতে করতে হবে, যেভাবে রাসূলুল্লাহ (সা.) হযরত সাহাবায়ে কেরামকে শিক্ষা দিয়েছেন। যেমন- রাসূলুল্লাহ (সা.)কে কীভাবে সালাম করতে হবে, কী পদ্ধতিতে রাসূলুল্লাহ (সা.)এর উপর দুরূদ পাঠ করতে হবে, সেগুলোও রাসূলুল্লাহ (সা.) শিক্ষা দিয়ে গেছেন। এজন্যই রাসূলুল্লাহ (সা.)কে যখন শরীয়ত পরিপন্থি সম্মান প্রদর্শন করা হতো, তখন তিনি বাঁধা প্রদান করতেন।
হাদীস শরীফে আছে-
হযরত আবু উমামা (রাযি.) থেকে বর্ণিত। একদা রাসূলুল্লাহ (সা.) একটি লাঠির উপর ভর দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসলে আমরা তাঁর সম্মানার্থে দাঁড়িয়ে পড়ি। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, তোমরা আজমী (অনারব) লোকদের মত (অন্যকে সম্মান দেখানোর জন্য) দাঁড়িয়ো না। যেমনিভাবে তারা অপরকে সম্মান দেখানোর জন্য দাঁড়ায়। (আবু দাউদ, হাদীস নং- ৫২৩০)।
এক রেওয়াতে আছে, একবার এক সাহাবী (রাযি.) রাসূলুল্লাহ (সা.)কে সিজদা করতে অনুমতি চাইলে রাসূলুল্লাহ (সা.) তা অস্বীকার করে ইরশাদ করলেন-
হযরত আবু হুরায়রা (রাযি.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যদি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে সিজদা করা জায়েয হত, তাহলে নারীদেরকে বলা হত তাদের স্বামীকে সিজদা করার জন্য। (তিরমিযী শরীফ- ১১৫৯)।
রাসূলের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও মুহাব্বত রাখা ঈমানের দাবি ও গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। কিন্তু এই ইবাদত রাসূলের বাতানো পদ্ধতি ও সাহাবীদের পদাঙ্কের অনুসরণ করতে হবে। রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে আমার আনীত ধর্মের মধ্যে ইবাদত হিসেবে নতুন কিছু সংযোজন করবে তা সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাজ্য হবে। যে কারণে সাহাবায়ে কেরাম দ্বীনের মধ্যে নতুন কিছু সংযোজনকে কঠোরভাবে প্রতিরোধ করতেন। যেমন এক ব্যক্তি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাযি.)এর সম্মুখে বসে হাঁচির পর বললেন- ‘আলহামদুলিল্লাহ ওয়াসসালাতু ওয়াসসালামু আ’লা রাসূলিল্লাহ’, সাথে সাথে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাযি.) বললেন আমরা রাসূলের যামানায় শুধু ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলেছি ‘ওয়াসসালাতু ওয়াসসামু আ’লা রাসূলিল্লাহ বলিনি। অতএব, তুমি বিদআত করেছ। (তিরমিযী শরীফ- ২৭৩৮)।
উম্মতের সকল ব্যক্তির জন্য রাসূলের জীবনী জানা ও আলোচনা করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। রাসূলের প্রতি মুহাব্বত রাখা ও তা’যীম করা জরুরি। কিন্তু তার পদ্ধতি কুরআন, হাদীস, ইজমা, কিয়াস বা সাহাবা, তাবেঈন, তাবে-তাবেঈনের আমল দ্বারা প্রমাণিত হতে হবে। বর্তমানে প্রচলিত মীলাদ মাহফিল, ঈদে মিলাদুন্নবী, জশনে-জুলুস ইত্যাদি কুরআন, হাদীস, ইজমা, কিয়াস এবং অনুসরণীয় তিন স¦র্ণালী যুগ তথা মহান চার খলিফা, সাহাবা, তাবেঈন, তাবে-তাবেঈনদের আমল দ্বারা প্রমাণিত নয়। এমনকি উম্মতের পরবর্তী চার বড় বড় ইমাম, আয়িম্মায়ে মুহাদ্দিসীন এবং যুগ শ্রেষ্ঠ বুযুর্গানে দ্বীনের আমলেও এগুলোর কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না।
এখন প্রশ্ন হল, তাহলে এই মীলাদ কোথা থেকে আসলো? এ ব্যাপারে ব্যাপক অনুসন্ধান করে দেখা যায় যে, ৬০৪ হিজরীতে ইরাকের মসুল শহরের অপব্যয়ী বাদশাহ আবু সাঈদ মোযাফ্ফার উদ্দীন কাওকারী ইবনে আরবল (মৃত্যু ৬৩০ হিজরী) সর্বপ্রথম আবুল খাত্তাব ওমর ইবনে দিহইয়া ( মৃত্যু ৬৩৩ হিজরী) নামক জনৈক দরবারী আলেম দ্বারা প্রচলিত পদ্ধতির মীলাদ চালু করেন। আর এই অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য ছিল আনন্দ-উৎসব করা এবং রাসূলুল্লাহ (সা.)এর উপর ঈসালে সাওয়াবের উদ্দেশ্যে যিয়াফতের ব্যবস্থা করা। (তারিখে ইবনে কাছির- ১৩/১৩৬, তারিখে ইবনে খাল্লেকান- ৪/১১৭)।
দরবারী আলেম সম্পর্কে হাফেয ইবনে হাজার আসক্বালানী (রহ.) বর্ণনা করেন, সে উলামায়ে কেরাম ও সালফে সালেহীনের মহাত্মার ব্যাপারে বেয়াদবী মূলক অচরণ করতো। তার ভাষা অশ্লীল এবং নির্বোধ ও অহংকারী মেজাযের ছিল। দ্বীনি বিষয়ে ছিল বেপরোয়া ও চরম উদাসীন। (লিসানুল মীযান- ৪/২৯৬)।
পরবর্তীতে কিছু সরলমনা মুসলমান এবং অপরিণামদর্শী আলেম মীলাদের এই রসমের সাথে জড়িয়ে পড়েন। মূলতঃ এটা কোন সাওয়াবের কাজ নয়; বরং বিদআত। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক (রহ.) খুবই আক্ষেপের সাথে বলেছেন, বাদশাহ এবং ধর্মজ্ঞানে অন্ধ সূফী ও অসৎ উলামারা দ্বীনের ক্ষতিসাধন করেছে।
ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে জুলুস ও মিছিলের আয়োজন করে লক্ষ লক্ষ টাকা অপচয় করা হচ্ছে। যুক্তি দেখানো হয়, এতে ইসলামের শান-শাওকাত প্রকাশ পায় এবং মুসলিম সমাজে নবচেতনা আসে। অথচ ইসলামের মহান দুই ঈদের দিনে তারা কোন জুলুস বা মিছিলের আয়োজন করে না।
ঈদে মিলাদুন্নবীর নামে প্রচলিত কার্যক্রম কখনোই নবী প্রেমের নিদর্শন নয়। বরং তা সম্পূর্ণরূপে বিদআত, নাজায়েয, হারাম ও অবশ্যই পরিত্যাজ্য। তাই আসুন, আমরা বিদআত বর্জন করি এবং সুন্নাহ আঁকড়ে ধরি। প্রকৃত নবী প্রেমের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তাওফীক দান করুন । আমীন।
- আল্লামা মুফতী জসিমুদ্দীন, উস্তাদুল হাদীস ওয়াল ফিক্বহ এবং সহকারী পরিচালক- জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।
মাসিক মুঈনুল ইসলাম/এমএ
মাসিক মুঈনুল ইসলাম পড়তে ক্লিক করুন-
https://mueenulislam.com/