রেযবী’র দল
– মুহাম্মদ শওকত উবায়দী
ওরশ, মাজার, শিরনি, ‘বাবা’, যাদের আসল পুঁজি,
তারা হলো শিয়ার চেলা রেযবী বেরলভী।
মীলাদ কিয়াম র্শিক চর্চা এদের প্রধান কাজ,
বিদআত করে ধূলোয় মিশায় সুন্নাতেরই লাজ।
শুধু, শুধু গলাবাজী ‘কাফের ওহাবী’,
কারণ তাদের অন্তরে নেই ইশকে রাসূল নবী।
নবী প্রেমে শাপলায় হলো যাঁদের রক্ত নদী,
তারাই কিনা কাফের দল, ভ্রান্ত এযিদ বাহিনী!
ভূয়া মীলাদের ঢোল পিটিয়ে সীরাতে মারে লাথি,
চায় নেভাতে নবীর জ্বালানো সুন্নাতেরই বাতি।
রাজারবাগী, দেওয়ানবাগী, আটরশী, হে ভান্ডারী!
মাদানী নামের প্রতারক দল সবুজ পাগড়িধারী।
নবীপ্রেমের নামে ফেরেব করবি কতকাল?
অচীরেই হবে ছিন্ন তোদের ধোঁকার ধুম্রজাল।
পর্দাই সম্মান বেপর্দা বেমানান
– ইবরাহিম বিন হযরত আলী
পর্দায় লুকিয়ে আছে শান্তি অকল্পনীয়
আল্লাহর বিধানে অমোঘ সুনানে সুধা পাবে অভাবনীয়।
পর্দা ফরয, তাতে নেই কোন হরজ,
সেতো সতিত্বের রক্ষা কবজ।
পর্দার বাইরে, কভ যেয়ো নাকো হারিয়ে
রয়েছে যার সুস্থ সমঝ।
ঐ লোভাতুর বেহায়া, পাবে না তোমার চেহারা
যদিও থাকো সর্বত্র,
যে আসক্ত মনে, তাকাবে তোমার পানে
দিবে কামাতুর নেত্র।
পর্দাই সম্মান, পর্দাই গৌরব, পর্দাই নারীর অহংকার
বেপর্দা বেমানান, বাড়াবে অপমান, পরো দামী যত অলংকার।
আর পর্দাহীনতা, সেতো খোদার অবাধ্যতা
স্বীয় রূপ-লাবন্যতা মানবরূপী নেকড়ের মুখে
বিলিয়ে দেয়া সব শালীনতা।
বেপর্দা হারাম, তাতে পাবে নাকো আরাম
যদিও চলে তার জয়গান,
তাসলিমা কুলটা, তেমনি কিছু পতিতা
করে যদিও তোমায় আহ্বান।
ভেবেছ কী, কে খায় খোলা মিষ্টি
মশা মাছি ও নোংরা কীট ছাড়া?
যদিও মিষ্টি, তবু দেয় না দৃষ্টি, ভদ্র স্বভাবের মানুষ যারা।
বলবে কেন? তবে শোন!
এ হলো খোলা, পড়েছে কতো ধূলা,
বাজারি মাছি যত, ভনভন করছে কত
খাবে কি কেউ এ মিষ্টি, করলে অনুরোধ শত।
শোন সেই ললনা, যে বলে পর্দা সেকেলে বাধা!
বেপর্দা বঞ্চনা, হয় কত লাঞ্ছনা, করেছ কি কখনো কল্পনা!
হয়তো এসিড দগ্ধ, নয়তো হারায় সতিত্ব
এমন দূর্ঘটনা অল্প-না।
প্রায় টিএসসি মোড়ে, বখাটে যুবক ধরে, করছে শ্লীলতাহানী,
কত কুলটা মেয়ে সতিত্বে কালিমা লেপে টানছে অপমানের ঘানী।
যে নারী বেপর্দায়, চলেফেরে রাস্তায়, প্রদর্শন করে স্বীয় দেহ,
দোযখের অনলে, জ্বলবে ক্ষণে ক্ষণে, একথা ভুলিও না কেহ।
ঘুমন্ত সবাই
– মুহাম্মদ মিজান-উর-রহমান রুবেল
এ অবেলায় ঘুমন্ত সবাই
শিয়রে বাজে ধ্বংসের আতজবাজি
আমরা ঘুমিয়ে আছি, এ অদ্ভুত ঘুম
অথচ আমরাই শহীদ, আমরাই গাজী।
কখন মেঘ উঠেছে, বিজুরী ক্ষ্যাপা সারাবেলা
দুয়ারে ফুটে আঘাতের ক্ষত
গভীর স্বপনের আশে
মস্তক তুলে দিয়েছি বালিশে।
যুগ হলো গত, কাল হলো গত
ব্যর্থতার পর ব্যর্থতা অবিরত।
সাহাবীদের সেই জৌলুষ-শিখা পাশ কেটে মুছে গেছে
নীহারিকার আলোকপ্রাতে ধরণী আলোকিত করি,
আমরা এ ঘুমন্ত সভ্যতায় আছি ঘুমিয়ে
আমরা জীবিত নাকি মৃত, বুঝে নিও নিঃশ্বাস ধরি।
স্বাধীনতা
– মুহিব ইমতিয়াজ
স্বাধীনতা আল্লাহর মহা এক দান,
ভয়-ভীতি ভেঙ্গে সব করে খান খান।
স্বাধীনতা সাহসের ঝংকৃত সূর,
হীনমন কপটতা করে দেয় দূর।
স্বাধীনতা মনমত চলতে শেখা,
সুনিপুণ করে আঁকা স্বপ্ন রেখা।
#মাসিক মুঈনুল ইসলাম/এমএ
মাসিক মুঈনুল ইসলাম পড়তে ক্লিক করুন-
https://mueenulislam.com/