কবিতা কানন

হে রসূল! ভালবাসি তোমায়

– বিনতে এন. এম. জাহাঙ্গীর

হে রসূল! ভালবাসি তোমায়
ধন্য হলো ভূমি তোমার ছোঁয়ায়
বিমুগ্ধ হয় মানব তোমারই মায়ায়
তোমাকে পাঠালেন প্রভু তাঁরই কৃপায়
শান্তি পেলো সবে তোমার ছায়ায়
হে রসূল! ভালবাসি তোমায়।

হে রসূল! তুমি মোর রাহাতে কলব
তোমার স্মরণে দিলে বাড়ে তড়প
দেখা পেতে মন হয় ব্যাকুল
শান্তি মেলে না দিলে হে রসূল।

হে রসূল! রসূল আমার
তোমায় খুঁজে পেতে মন হয় বেকারার
সবুজ গম্বুজ পানে তাকিয়ে থাকি
অশ্রুতে ভিজে শুধু দু’টি আঁখি।

হে মেরে পেয়ারা নবী!
জানি না কেমন তোমার ছবি
দেখা দাও আমায় বলার মত
সাহস আমার নেই যে অত
তবু মন চায় যে আমার
দেখব তোমায় বার বার
হে রসূল ভালবাসি তোমায়।

তোমার নামে দরূদ পাঠাই,
পেয়ে খুশী হবে হবে তুমি এ আশায়
চিনতে পাবে এ হতভাগীকে
শাফায়াত করবে তবে ক্বিয়ামাতে
বিনীত সালাম আমার,
বরাবর রাওজায়ে আতহার।

হে রসূল! রসূল আমার…
তুমি যে আমার শান্তির আবাস
হে রসূল ভালবাসি তোমায়
ভালবাসি তোমায় হে পেয়ারে হাবীব ॥


কি আজব কারখানা!

নওমুসলিম অধ্যাপিকা রিতু মণ্ডল

নথি পুঁথি পড়া শেষে
মন্ত্রীমশাই বলল কেশে,
অন্য পেশায় ফেল মেরেছে
তাই নাকি আজ গুরু হয়েছে,
উজির নাজির সুর মেলায়ে
ধরল যে গান উচ্চ লয়ে,
তদবিরে সব উলটে গেলে
তবেই নাকি চাকরি মেলে,
কি অবাক কারখানা!

আমি বসে ভাবছি একা
একি হলো, এলাম কোথা?
সারাজীবন লেখাপড়ায়
হলেম প্রথম, জ্ঞানের পাতায়।
আজকে বলে ওসব নাকি
মূল্যহীন আর শুধুই ফাঁকি,
পড়তে হবে দেশ জনপদ
উগড়ে দেব রাজ্য, পদক!
তবেই নাকি হবে সফল
দেশ জনতা বুঝবে কুফল।
কাগজ খেয়ে বাঁচতে হবে
মরবে সকল পেটে ভাতে
বেগম পাড়ায় গড়বে প্রাসাদ
দেশজুড়ে তাই শুধু অবসাদ!
কি অবাক কারখানা!

কালির খোঁচায় টাকার খেলা
প্রজেক্ট যেন বাণিজ্য মেলা,
কালো টাকার ভাগ-বাটোয়া
সেবক যারা নেয় যে সেবা!
কাড়ি টাকার হেরেমে শুয়ে
কোটি টাকার গাড়িতে চড়ে,
হাজার টাকার বালিশে ঘুমায়
ঘিয়ে ভাজা পাউরুটি খায়!!!
মেরু থাকবে দণ্ড ভাঙা
তবেই তুমি পাবে ডাঙা,
ভাবছি বসে দুচোখ খুলে
এভাবেই কি ক্ষমতা মেলে!
কি আজব কারখানা!

শোনো হে মন্ত্রীমশাই,
জানি না ঠিক ‘অন্যপেশা’
বলতে কি বুঝায়!
অন্যপেশায় পয়সা আছে
বিলাসিতা আর দম্ভ,
শিক্ষকতায় আছে যে শুধু
নৈতিকতার স্তম্ভ।
শ্রমিকের ঘাম অন্ন জোগায়
কেরানীর কাজ নয়,
শ্রমিকপুত্র শিক্ষকের কাছে
থাকে যে স্নেহের ছোঁয়ায়।

ঘরে ঘরে আজ জ্বলছে আলো
শিক্ষক বাতিঘর,
আলো না ধরলে তোমরা
সকলে হারাবে আপন ঘর।
শিক্ষকতায় আসে না তো
কেউ অর্থ-বিত্ত গড়তে,
শিক্ষকতা দ্বিধাহীনভাবে
লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে।
‘শিক্ষক আমি শ্রেষ্ঠ সবার’
কবির পংক্তি কয়।
অন্যপেশা দিয়ে কি আর
শ্রেষ্ঠ হওয়া যায়?
অরাজকতায় পরিপূর্ণ
তোমাদের সারা দেহ,
শিক্ষক আমি, হইনিকো নত
অন্যপেশায় করিতে পদলেহ।