।। ডা. তানজিনা রহমান ।।
ইদানিং বিয়ের অনুষ্ঠানমালায় দ্বীনি মহলেও একটা ট্রেন্ড চালু হয়েছে, “শরীয়া সম্মতভাবে গায়ে হলুদ”; সেটা কী?
তাদের সংজ্ঞায়, “যে গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে কোন গান বাজনা নাচা-নাচি থাকে না, পুরুষ মহিলা আলাদা থাকে এবং বউ হিজাব পরিহিত থাকে, সে গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানকে শরীয়া সম্মত বলা হয়”।
তাদের যুক্তি, আল্লাহ যা কিছু হারাম বলেছেন কুরআনে, তার বাইরে সব হালাল। তবে এটি একটি ভিন্ন অংকের সূত্র। সব অংক যেমন এক সূত্রে ফেলে করা যায় না সেরকম এই সূত্রে ফেলে আপনি যাবতীয় সকল কিছুকে ইসলামাইজ করে ফেলতে পারবেন না।
ভেবে দেখেছেন গায়ে হলুদ আসলে কী? এর উদ্দেশ্য কী? এই অনুষ্ঠান এল কোত্থেকে?
আমি ঘেঁটে যতদূর জানতে পেরেছি তা মোটামুটি এমন, বৈদিক যুগ থেকে ভারতীয় হিন্দুসমাজে গাত্রহরিদ্রা বা অধিবাস বিয়ের অনুষ্ঠানের অবশ্য পালনীয় শাস্ত্রাচার ও লোকাচার হিসেবে পালিত হয়ে এসেছে।
ভারতবর্ষে মুসলমানরা আসার পর তারাও আচার-অনুষ্ঠানে দেশীয় রীতিপদ্ধতি অনুসরণ করে। বিয়ের এ রীতিগুলি মূলত মঙ্গোলীয় এবং অন্যান্য আদিবাসী উপজাতি থেকে এসেছে। তবে বৈদিক আর্যদের আচার-অনুষ্ঠানের প্রভাব এতে লক্ষ করা যায়।
সনাতন ধর্মে সকল ধর্মীয় উপাসনাতেই হলুদ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপকরণ। তারা বিশ্বাস করে, হলুদ রঙ অশুভ শক্তিকে দূরে রাখে। হলুদ বৃহস্পতি গ্রহের সাথে সম্পর্কিত এবং এটি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে বলেও তাদের বিশ্বাস।
লালের পর হলুদের গুরুত্ব তাদের কাছে সবচেয়ে বেশি। সেজন্য যেকোন ‘শুভ’ কাজ এবং পূজোকে সমৃদ্ধ এবং ‘অশুভ’ থেকে দূরে রাখতে হলুদের ছোঁয়ায় অনুষ্ঠানের সূচনা ঘটানো হয় (কেবল শিব লিঙ্গের পূজো ছাড়া)।
এক জায়গায় পড়েছিলাম, পুরাণ মতে বিয়ের আগে গায়ে হলুদ সর্বপ্রথম মাখানো হয়েছিল পার্বতীকে শিবরাত্রির আগে, সেই থেকেই এই অনুষ্ঠানের জন্ম।
হলুদ পবিত্রতার প্রতীক। আধিভৌতিক ও অপশক্তির প্রভাব দূর করতে হলুদ অত্যন্ত কার্যকর বলে একটি বিশ্বাস প্রচলিত আছে তাদের ভেতর।
হলুদ এবং তেলের মিশ্রন নববর, বধূর জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনবে। গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে হলুদ ছাড়াও অন্যান্য উপকরণ ব্যবহৃত হয়, যার মধ্যে রয়েছে সোন্দা, মেথি, গিলা, সুঁট, চন্দন, মেহেদি, মিষ্টি, মাছ, পঞ্চপ্রদীপ ইত্যাদি।
এগুলির সবই সৌভাগ্য ও প্রজননের প্রতীক। দীর্ঘস্থায়ী বিবাহিত জীবন, বংশবিস্তার ও নবদম্পতির সুখশান্তি কামনাই এ অনুষ্ঠানের অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য।
বর-কনের দাম্পত্য জীবনকে যেকোনো ধরনের অকল্যাণ বা অপশক্তির অনিষ্ট থেকে মুক্ত রাখার কামনা থেকেই যেসব লোকাচার পালন করা হয় গায়ে হলুদ এসবের-ই একটি এবং এটি মূলত একটি মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান।
এবার আসি, ইসলাম কী বলে। আমাদের ধর্ম বলে “শুভ অশুভ” বলে কিছুই নেই। বরং এসবে বিন্দু পরিমান বিশ্বাস থাকা শিরক; যা ইসলাম থেকে আমাদের বের করে দেয়।
বিপদ কাটানোর ক্ষমতা একমাত্র আল খলিক্ক, রাব্বুল আলামীনের। কোন ‘হলুদের’ নয়। আপনি বলতেই পারেন ‘ধর্মীয় বা কোন বিশ্বাস থেকে নয়, জাস্ট সামাজিক রীতি বা কালচার হিসেবে অনুষ্ঠান করলাম’।
তারা তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী নববর-বধূর নতুন জীবনকে মঙ্গলময় করতে তাদের ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী যে অনুষ্ঠান করছে, আপনার নিজস্ব কালচার থাকতেও আপনি তা নকল করবেন? কেন?
তর্ক ছেড়ে নিজেকে প্রশ্ন করুন, যদি বিশ্বাস নাই করি, তাহলে এই অনুষ্ঠান ছাড়তে পারছি না কেন? যে অনুষ্ঠানের জন্ম অন্য ধর্মের কিছু বিশ্বাসকে ভিত্তি করে, সেটা না করলে কী এমন আসবে যাবে? হলুদ ওষুধ হিসাবে কি সারা বছর গায়ে মাখি? তাহলে বিয়ের আগেই কেন ঘটা করে মাখতে হবে? আর হলুদ মাখানো না হলে ‘হালদি’ অনুষ্ঠান করার মানে কী?
ইসলাম যখন মুসলিমদের জন্য দ্বীন হিসাবে নির্ধারিত হয়েছে তখন থেকেই বাকী সব বাতিল হয়ে গেছে আমাদের জন্য। ইসলাম এমন লাইফ স্টাইল, যা সময় ও টাকার অপচয় করে এবং ধর্মীয় কুসংস্কারের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা কোন কালচার অনুকরণে কোন অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেয় না।
বিয়ে মুসলিমদের জন্য ইবাদত। এর জন্য শরয়ী বিধি-বিধান দেয়া আছে। কাজেই এই ইবাদত শরীয়ার ভেতরে থেকেই সম্পন্ন করা একজন মুসলিমের দায়িত্ব। দুইজন মানুষ নিজেদের দ্বীনকে হিফাজত করতে নতুন জীবন শুরু করবে সেটা যত কম খরচে যত সিম্পল হবে, তার বরকত হবে তত বেশি।
বিয়ের পর বিয়ের ঘোষণা দিয়ে আত্মীয়দেরকে খাইয়ে দেবে বরের পক্ষ নিজ সামর্থ অনুযায়ী। সেটা যদি একটা ভেড়া দিয়েও হয়, তাহলে তাই যথেষ্ট। ব্যাস এই তো ইসলাম। আল্লাহর রাসূল এই পদ্ধতিই শিখিয়েছেন মুসলিমদের বিয়েকে বরকতময় করবার জন্য। (অঞ্চল ভেদে কেউ বিয়ে উপলক্ষে পিঠা বানায়, কেউ লবণের পায়েস, কেউ দই-মিষ্টি, এগুলোকেও কেউ হারাম বলছে না। যতক্ষণ না এসব করে আলাদা অনুষ্ঠান বানিয়ে বাড়াবাড়ি বা অপচয় করা হচ্ছে)।
এই সিম্পল ব্যাপারটাকে কেবল নিজেদের খায়েশ মিটাতে হোক বা লোক দেখাতেই হোক, বা সমাজের সাথে তাল মিলাতে বা আমি অন্যের চাইতে আরো বেশি কালচারড এই প্রমাণ করতে দিনের পর দিন আমরা কমপ্লিকেইটেড করে যাচ্ছি।
কেবল ‘হালদি’ নয়, শোঅফ করতে ধার করা অনুষ্ঠানের পাহাড় বানিয়ে, অপচয়ের চূড়ান্ত করে যে নতুন জীবনের শুরু নিঃসন্দেহে বরকত সেখানে থাকবে না।
আমাদের কাছে বরকতের চাইতে ২-৩ ঘন্টার ফূর্তি বড়? মুসলিম হিসেবে সমাজের সাথে তাল মেলানো জরুরি? নাকি বরকতের পেছনে ছোটা জরুরি, ভেবে দেখবেন।
সব ধর্মেই বিয়ে একটি ধর্মীয় আচার। সনাতন ধর্মেও গায়ে হলুদ সেই আচার অনুষ্ঠানের একটা অংশ। এই উপমহাদেশে একটা সময় সেই ধর্মালম্বীদের আধিক্য থাকায় তাদের কালচার সমাজে মিশে গেছে। নানা রূপ পাল্টে আজকের রূপ ধারণ করেছে। পুরুষ নারী আলাদা করে ফেললেই আর গান বাজনা বন্ধ করে দিলেই এটা হালাল হয়ে যাবে না। এই অনুষ্ঠানের অরিজিন বিবেচনায় কোনভাবেই এটি হালাল হয় না।
ইসলামের লেন্সে যদি দেখি, মেহেদি দেয়া উপলক্ষে আলাদাভাবে উৎসব করাকেও অপচয়ের দিক থেকে বিবেচনা করলে জায়েয বলা যায় না।
আল্লাহর রাসূল মুসলিম মেয়েদের হাতে সবসময় মেহেদি ব্যবহার করার ব্যাপারে উৎসাহিত করেছেন। তার জন্য বিয়ে উপলক্ষে অপচয় করে আলাদা উৎসবের প্রয়োজন পড়ে না। ছেলেদেরকেও দেখা যায় একটা আঙ্গুলে বিয়ের সময় পরিবারের মহিলারা মেহেদি লাগিয়ে দেন। অথচ রাসূল (সা.) ছেলেদের চুল দাড়ি বাদে অন্য কোথাও সাজসজ্জার জন্য রঙ ব্যবহারকে হারাম করেছেন। (ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করা যাবে)।
আজকাল উচ্চবিত্ত হোক বা মধ্যবিত্ত, মুসলিম বা অমুসলিম, প্র্যাক্টিসিং বা নন প্র্যাক্টিসিং, দেশে বিদেশে প্রায় সব বিয়ের অনুষ্ঠান একই ছাঁচে, একই ধাঁচে চলছে। যারা প্র্যাক্টিসিং না তারা হলুদ করল কি করল না, তাতে কিছু আসে যায় না। এই লেখার ফোকাস তারাই, যারা প্র্যাক্টিসিং দাবি করছে নিজেদের।
অন্যদের সাথে এই ইস্যুতে তাদের পার্থক্য কেবল মাথার স্কার্ফে। বাকি সব এক। মাথায় স্কার্ফ পড়লেই সব যেন জায়েয।
সেদিন এক প্রবাসীর বিয়ের ব্লগ দেখলাম। রঙ ছিটানো, ঢোল পিটানো, লাউড মিউসিক, হলুদ, ব্রাইডাল শাওয়ার, কোন কিছু তারা বাদ রাখেনি। চোখ ধাঁধানো গয়না, কাপড়, গিফট, হাজারো আইটেমে উপচে পড়া খাবারের টেবিল।
অপচয়ের চূড়ান্ত
ঘটনাটি স্পেসিফিক্যালি উল্লেখ করছি এই কারণে, আমি লক্ষ করলাম আমন্ত্রিত অতিথিরা এবং বর কনে পক্ষের সকলেই হিজাবি, দু-একজন নিকাবীও। অদ্ভুত এক পরিবেশ। না ঘার কা না ঘাট কা টাইপ অবস্থা। কেবল হিজাব ছাড়া আর কোথাও ইসলামের লেশ মাত্র নাই! বোঝার উপায় নাই এটা একজন মুসলিমের বিয়ে নাকি অন্য ধর্মের কারো।
এ কেমন ইসলামের শিক্ষা আমরা এবং আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম গ্রহণ করছে আমার বুঝে আসে না। এমন ব্লেন্ডেড কালচারের কোন স্থান ইসলামে আছে? দুই নৌকায় পা দিয়ে আর কতদিন। এবার মূল কথায় আসি। নোট ইট।
ইসলাম কুরআন এবং সুন্নাহ দ্বারা প্রটেক্টেড এবং সুন্নাহ আমাদের নির্দেশ করে আমাদের ঈমান, আকিদা, ডিগ্নিটি, প্রিসার্ভ করতে। কোন ব্যাপারেই অন্যের কালচারকে ইমিটেইট না করতে, বিষয়টি যত তুচ্ছই মনে হোক না কেন।
আমাদের মুসলিমদের নিজস্ব কালচার আছে এবং একজন ডিগ্নিফায়েড মুসলিম সেই কালচারে স্টিডফাস্ট থাকবে যে দেশেই তার জন্ম হোক।
একজন মুসলিমের ডিগ্নিটি আসে তার ঈমান থেকে। টম ডিক হ্যারির কালচার ইমিটেইট করে নয়। এভাবে ডিগ্নিফায়েড হওয়া যায় না, পাওয়া যায় জিল্লতির জীবন।
আরও পড়তে পারেন-
- বাংলায় হিন্দু রেনেসাঁস: প্রগতিশীলতা ও ইসলামবিদ্বেষ
- পরিবেশ বিপর্যয়— রুশ সাম্রাজ্যের শাপে বর?
- ভাষা-আন্দোলনের ইতিহাস ও হিন্দিবাদী রবীন্দ্রনাথ
- আল্লাহর অসীম কুদরত ও মহিমা আত্মোপলব্ধির উৎকৃষ্ট উপায়
- কুরআন অবমাননা: আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি বনাম হিন্দুত্ববাদ
- যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আলেম সমাজের প্রস্তুতি
আল্লাহর রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি অন্য জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করবে সে তাদের দলভুক্ত বলে গণ্য হবে। (সুনানে আবু দাউদ- ৪/৪৪, হাদীস নং ৪০৩১)।
বুখারীর একটি হাদিস রয়েছে, ‘রাসূলে কারীম (সা.) একবার আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাযি.)এর গায়ে হলুদ রঙের চিহ্ন দেখলেন এবং বললেন, এ কেমন রঙ? তিনি বললেন, “আমি একটি মেয়েকে বিয়ে করেছি”। (বুখারী/মুসলিম/মিশকাত হা/৩২১০)।
আবদুর রহমান ইবনে আওফ (রাযি.) আশারা মুবাশশারার একজন। এই ঘটনার বরাতে কেউ কেউ বিয়েতে হলুদ, জাফরান, মেহেদী ব্যবহারের অনুমতি দেন। যা প্রকৃতপক্ষে বোঝার ভুল। উক্ত হাদিসে হলুদ দাগের কথা বলা হয়েছে, যে দাগ কোন সুগন্ধি ব্যবহারের কারণে হয়েছিল।
আমরা যে হলুদ খাই বা মাখি, সেই হলুদ থেকে এই রঙ আসেনি। কিছু জায়গায় বলা হয়েছে ওই সময় জাফরানকে সুগন্ধি হিসাবে ব্যবহার করা হতো। এই রঙ সেই জাফরান থেকে এসেছে। অধিকাংশ উলামারা এর পক্ষেই মতামত দিয়েছেন।
মোটকথা এখানে হলুদ বলতে আমরা যে হলুদ মাখি সেটা নয়, পারফিউম থেকে আসা হলুদ ‘রঙ’কে বোঝানো হয়েছে। আমরা জানি অনেক পারফিউমেই দাগ পড়ে যায় এবং এটা কোন অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়।
হাদিসটি ইংরেজিতে বেশি ক্লিয়ার। মূল হাদিসে আরবীতে বলা হয়েছিল صفرة। যাকে ইংরেজিতে বলা হয়েছে yellow কোন কোন অনুবাদে এসেছে ‘পারফিউম’। লক্ষ করুন turmetic কোথাও বলা হয়নি।
বাংলায় রঙ এবং মসলার নাম একই হবার কারণে হলুদ অনুবাদ হয়েছে। আমার ধারণা একারণেই একে অনেকে প্রচলিত গায়ে হলুদ ভাবছে যা সম্পূর্ণ ভুল ধারনা।
صفرة মানে জাফরান; যা জেনারেল মিনিং এ ‘ইয়েলো’ বলা হয়। এই ইয়েলো কালার পাওয়া যেত তখন জাফরান, ওয়ারস, আর খুলুক নামের ৩টা জিনিস থেকে। যা সুগন্ধি হিসাবে ব্যাবহারের পাশাপাশি দাড়ি এবং কাপড়কেও ডাই করা হত।
এই হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা করে কেউ যদি কাওকে গোমরাহ করেন, তবে গুনাহের দায়ভার তাকেও নিতে হবে যদি কাজটি তিনি জেনে বুঝে করে থাকেন। আল্লাহু আলাম।
দ্বীনকে কেবল সালাহ, সিয়াম, যাকাহ, সাদাকার গন্ডিতে সীমাবব্ধ রেখে “প্র্যাক্টিসিং” হওয়া যায় না। আল্লাহর নাফরমানী করিয়ে ফূর্তি আসে শয়তানের মনে। মুত্তাকীর ফূর্তি আল্লাহর আনুগত্যে।
তাফাক্কুর বিহীন অন্তর হয় অকৃতজ্ঞ। অকৃতজ্ঞ মন কখনোই আল্লাহর আনুগত্যে সুকুন পায় না। তর্ক করে। আমরা ‘কু’তর্ক করতেই থাকব। আস্তাগফিরুল্লাহ।
এরপর তর্কে জেতার তৃপ্তি নিয়ে ঢেকুর তুলে ঘুমাতে যাব। যদি আর কখনো জেগে না উঠি গন্তব্য জান্নাত না জাহান্নাম হবে তা বোঝার জন্য যে অন্তর্চক্ষু থাকা দরকার, তাতে মোহর পড়ে গেছে, আমাদেরই গুনাহের কারণে।
আল্লাহ সবাইকে বোঝার তাওফীক দিন। ওয়ামা তাওফিকুনা ইল্লা বিল্লাহ।
লেখক: কন্সালট্যান্ট, সনোলজিস্ট। ইমেইল- dr. tanzina@admin_767
#মাসিক মুঈনুল ইসলাম/এমএ
মাসিক মুঈনুল ইসলাম পড়তে ক্লিক করুন-
https://mueenulislam.com/