।। মুফতি ইসহাক ওমর কাসেমী ।।
হিজরি সন অনুযায়ী এখন শাবান মাস চলছে। এই মাস উপমহাদেশের কওমী মাদরাসাসমূহের শিক্ষাবর্ষের শেষ মাস। এ সময় সকল কওমী মাদ্রাসার বার্ষিক পরীক্ষা শেষে রমাযান মাসের দীর্ঘ ছুটি হয়ে যায়। তালিবুল ইলমদের বড় অংশ আপন আপন গন্তব্যে চলে যায়, আপনজনের সান্নিধ্যে সময় অতিবাহিত করে। আবার অনেকেই দাওয়াত-তাবলীগের উদ্দেশ্যে দূর-দূরান্তে সফরে বের হয়। কেউ কেউ ছুটির সময়গুলো মাদ্রাসার নিরিবিলি পরিবেশে অতিবাহিত করে। একজন তালিবুল ইলম হিসেবে আমাদের ছুটি কেমন হওয়া উচিত, কীভাবে ছুটির দিনগুলো অতিবাহিত করা উচিত এ বিষয়ে সচেতনতা না থাকার কারণে অনেক সময় তালিবুল ইলমদের জন্য এই ‘ছুটি’ কাল হয়ে দাঁড়ায়। এমনো হয় যে, ছুটির সময়গুলো হেলায়-ফেলায় নষ্ট করার কারণে তালিবুল ইলম ইলমে নববীর কাফেলা থেকে ছিটকে পড়ে। এমনিতে রমযানের দীর্ঘ ছুটি ছাড়াও কুরবানীর ঈদ এবং অর্ধ বার্ষিকী পরীক্ষার ছুটিও হয়ে থাকে। ছুটির সময়গুলো আমরা কীভাবে কাটাবো, আলোচ্য নিবন্ধে তা নিয়ে কিছু আলোকপাত করা হবে। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে আমল করার তাওফীক দান করুন। আমীন।
উপমহাদেশের বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ, আল্লামা সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভি (রহ.) বলেন, তালিবুল ইলমদের কোনো ছুটি থাকতে পারে না। তালিবুল ইলম হচ্ছে শহরের বিদ্যুতের মতো। শহরে যেভাবে একটি মুর্হুতের জন্য বৈদ্যুতিক গোলযোগ হতে পারে না, ঠিক তালিবুল ইলমদেরও ছুটি থাকতে পারে না। কারণ শহরে যদি কিছুক্ষণের জন্যও বিদ্যুৎ চলে যায়, তাহলে শহরকে অন্ধকারে গ্রাস করে নিবে। আর তালিবুল ইলমরা যদি ছুটিতে যায়, তাহলে এই উম্মতও গোমরাহির অন্ধকারে হারিয়ে যাবে। (জীবন পথের পাথেয়)।
অর্থাৎ তালিবুল ইলম যদি ইলম থেকে ছুটি নিয়ে নেয়, চর্চা ও আলোচনা বন্ধ করে দেয়, তাহলে এটা উম্মতের জন্য ভয়াবহ ক্ষতি, খোদ তালিবুল ইলমের জন্যও ক্ষতি। আমাদের দেশে মাদ্রাসাসমূহে বছরের বিভিন্ন সময় মাদ্রাসার কল্যাণ এবং সামাজিক বিবেচনায় বন্ধ দেওয়া হয়। এর অর্থ এ নয় যে তালিবুল ইলম ছুটির সময় ইলম চর্চাও বন্ধ করে দিবে; বরং বাস্তব তালিবুল ইলম তো সে যে, মাদ্রাসায় দরস চলাকালিন ইলম অর্জন করে এবং আমল করে, ছুটিতে গেলেও ইলম অর্জন ও আমলে ব্যস্ত থাকে। ছুটির সময় তালিবুল ইলমের ইলমি ও আমলি কিছু করণীয় নিয়ে আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ।
নামায:
ঈমানের পর ইসলামের সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ব হচ্ছে নামায। হাদীসের ভাষায়, ইসলাম ও কুফরের মাঝখানে পার্থক্যরেখা হচ্ছে নামায। মাদ্রাসার পরিবেশ হচ্ছে আলোকিত পরিবেশ। ঈমানি পরিবেশ। তালিবুল ইলম যখন মাদ্রাসায় থাকে, তখন সবাই মসজিদে তাকবীরে উলার সাথে পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করে এবং এ ব্যাপারে আসাতিযাগণের কাছ থেকে উৎসাহিতও হয়। কিন্তু ছুটির সময় তালিবুল ইলম যখন বাড়িতে যায়, পরিবেশের প্রভাবে তখন অনেক সময় তাকবীরে উলা তো দূরের কথা, জামাতে নামায আদায়ও কষ্ট হয়ে যায়। একসময় এটা তালিবুল ইলমের জন্য ভয়ঙ্কর এক ব্যাধি হয়ে দাঁড়ায়। সুতরাং ছুটিতে যাওয়ার সময় আমাদের সকলেরই এই প্রতিজ্ঞা করা উচিত যে, আমরা দৈনন্দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামায এলাকার মসজিদে গিয়ে জামাতের সাথে আদায় করবো। যেভাবে মাদ্রাসার পরিবেশে আমরা নামায আদায় করি। এর দ্বারা সাধারণ মানুষের উপর একটা সুন্দর প্রভাবও পড়বে।
দাওয়াত ও তালীম :
প্রত্যেক তালিবুল ইলম হচ্ছে তার আপন আপন এলাকার দ্বীনি ও ইলমি প্রতিনিধি। উলামায়ে কেরাম হচ্ছেন, নবীগণের উত্তরসূরী। আর নবীগণের মূল লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ছিল মানুষকে দ্বীনের দাওয়াত দেওয়া, হেদায়াতের পথে নিয়ে আসা। তাইতো হযরত আলী রাদি.কে নবীজি খায়বারের জিহাদে নসীহত করেন, আল্লাহর কসম! যদি একজন ব্যক্তিও তোমার দ্বারা হিদায়াত লাভ করে, এটা তোমার জন্য লাল রংয়ের উঠের চেয়েও উত্তম। (সহীহ বুখারী, হাদীস- ২৯৪২)।
একজন তালিবুল ইলমের অন্তরে দাওয়াতী মেযাজ ও দাঈর গুণাবলী থাকা ইলমের প্রচারের জন্য অপরিহার্য বিষয়। ছুটির দিবসমূহে তালিবুল ইলমের জন্য উচিত, এলাকার মানুষকে দ্বীনের দাওয়াত দেওয়া। ভালো কাজের প্রতি আদেশ করা, মন্দ কাজের প্রতি নিষেধ করা। বিশেষভাবে এলাকার মসজিদে প্রতিদিন অল্প সময় হলেও কুরআন-হাদীসের তালীম চালু করা। সাধারণ মানুষকে দ্বীনি কাজে জড়িয়ে রাখা। দাওয়াতের ক্ষেত্রে চরিত্রের সুন্দর ব্যবহার করা এটাও দাওয়াতের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
আখলাক-চরিত্র:
মানবজীবনের সর্বোচ্চ এবং সর্বোত্তম গুণ হচ্ছে উত্তম চরিত্র। উত্তম চরিত্র এমন একটি বৈশিষ্ট যার মাধ্যমে মানুষ সম্মানের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছতে পারে। আবার চারিত্রিক অধঃপতন মানুষকে নিকৃষ্ট থেকে নিকৃষ্টতম স্থানে ছুড়ে ফেলে। ইসলাম মানুষকে চরিত্রের সুন্দরতম শিক্ষা দেয়। নবীজি বলেন, তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি সে, যার চরিত্র সুন্দর। (সহীহ মুসলিম, হাদীস-২৩২১)।
তালিবুল ইলম হচ্ছে উম্মাহর দ্বীনি, ইলমি ও দাওয়াতের মুখপত্র। প্রত্যেক তালিবুল ইলমকে চরিত্রের সুন্দরতম গুণগুলো অর্জন করতে হবে। বিশেষকরে ছুটির সময় আমরা যখন সাধারণ মানুষের সাথে মিশবো, তখন তাদের কাছ থেকে ভালো-মন্দ অনেক আচরণের সম্মুখীন হবো। সে ক্ষেত্রে আমাদেরকে ধৈর্য্য ও উত্তম আচরণের মাধ্যমে জনসাধারণের সামনে উপস্থিত হতে হবে।
মা-বাবার খেদমত ও পরিবারকে সময় দেওয়া:
মানুষের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নেয়ামত হচ্ছে মা-বাবা। হাদীসের ভাষায় মা-বাবা হচ্ছেন সন্তানের জন্য জান্নাতের দুটি দরজা। মায়ের পায়ের নীচে আছে সন্তানের জান্নাত। পিতার সন্তুষ্টিতে আল্লাহর সন্তুষ্টি, পিতার অসন্তুষ্টিতে আল্লাহর অসন্তুষ্টি। আমাদের প্রত্যেকের জীবন গড়ে ও বেড়ে ওঠার পেছনে রয়েছে মা-বাবার অপরিসীম কুরবানী। যার প্রতিদান সন্তান তার কোটি জীবনেও আদায় করে শেষ করতে পারবে না। এজন তালিবুল ইলম সারাটা বছর মাদ্রাসায় উস্তাদের ছায়ায় থাকে। বা-বাবার সান্নিধ্যে থাকার সুযোগ খুবই কম হয়। মাদ্রাসার যখন ছুটি হয়ে যায় তখন তালিবুল ইলমের জন্য সুবর্ণ এক সুযোগ তৈরি হয়, মা-বাবার পাশে থাকার তাদের সেবা-যত্ন করার। সুতরাং প্রত্যেক তালিবুল ইলমের উচিত বন্ধের সময়গুলোতে মা-বাবার সান্নিধ্যে থেকে তাঁদের খেদমত করার। পাশাপাশি পরিবারের অন্য সদস্যদেরও সময় দেওয়া। বিশেষভাবে, মা-বাবার খেদমতের পাশাপাশি তাদেরকে নিত্য প্রয়োজনীয় মাসআলা-মাসায়েল সমূহ শিক্ষা দেওয়া। তাদের কুরআন ও সালাত শুদ্ধ না থাকলে তা শুদ্ধ করে দেওয়া আলেম সন্তানের করণীয়। পরিবারে সবাইকে নিয়ে যদি প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটা সময়ে (ইশার পর) ফাযায়েলে আমাল অথবা রিয়াযুস সালেহীন থেকে কিছু অংশ পাঠ করে শোনানো হলে আশাকরি প্রত্যেকের ঈমান ও আমলের মধ্যে অনেক উন্নতি হবে। মা-বাবা যদি আল্লাহর প্রিয় হয়ে যান, তাহলে তাদের জন্য নিয়মিত দুআ ও ঈসালে সাওয়াব করা সন্তানের দায়িত্ব।
আরও পড়তে পারেন-
পরিবেশ বিপর্যয়— রুশ সাম্রাজ্যের শাপে বর?
আহলে কুরআন: কুরআন বলে ‘তুমি মিথ্যাবাদি’
আল্লাহর অসীম কুদরত ও মহিমা আত্মোপলব্ধির উৎকৃষ্ট উপায়
কুরআন অবমাননা: আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি বনাম হিন্দুত্ববাদ
যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আলেম সমাজের প্রস্তুতি
আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা:
আত্মীয়তা সর্ম্পক রক্ষা করা এটা একদিকে অনেক বড় একটি ফজীলতপূর্ণ আমল। আবার অন্যদিকে যারা আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্ন করে, আল্লাহ তাআলা তাদের দুআ কবুল করেন না। আত্মীয়দের সাথে সুসর্ম্পক বজায় রাখা, তাদের হক আদায় করা এটা প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব। ছুটির দিনগুলোতে তালিবুল ইলম ভাইদের উচিত এই সাওয়াবের অংশিদার হওয়া। ছুটির সময় নিকট আত্মীয় যারা আছেন তাদেরকে দেখতে যাওয়া। বেড়ানোর উদ্দেশ্যে নয়; বরং সাওয়াবের উদ্দেশ্যে যাওয়া, আত্মীয়তার হক আদায়ের উদ্দেশ্যে যাওয়া।
রোগী দেখতে যাওয়া:
মাদ্রাসায় অবস্থানকালে কোনো সাথী ভাই অসুস্থ হলে কিংবা ছুটির সময় নিজের কোনো প্রতিবেশী অথবা আত্মীয় অসুস্থ হলে তালিবুল ইলমে উচিত তাদেরকে দেখতে যাওয়া। কারণ রোগী দেখতে যাওয়া রোগীর ইয়াদত করা এটা অনেক বড় একটি নেক আমল। এর মাধ্যমে মানুষের অন্তরে শ্রদ্ধা ও মুহাব্বত তৈরি হয়। হাদীসে আছে, নবীজি বলেন, যে ব্যক্তি কোনো রোগীর ইয়াদত করে, সে প্রত্যাবর্তন না করা পর্যন্ত জান্নাতের ফলমূল আহরণে রত থাকে। (সহীহ মুসলিম, হাদীস-৬৪৪৬)।
আল্লাহর রাস্তায় দান ও মানবসেবা:
আল্লাহর রাস্তায় দান তথা মানবসেবা অনেক বড় একটি ইবাদত, মহৎ একটি গুণ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন শ্রেষ্ঠ দানশীল। সাহাবা ও তাবেঈগণের আল্লাহর রাস্তায় দান ও মানবসেবার ইতিহাস তো আমাদের দৃষ্টি সম্মুখেই আছে। দানশীলতার গুণ তালিবুল ইলমের অবশ্যই অর্জন করতে হবে। দানের অর্থ এই নয় যে, আমাকে মোটা অংকের টাকা, বড় বড় জিনিস দান করতে হবে; বরং ইখলাসের সাথে এক টাকা দান করলে, কারো মুখে হাসি ফোটালে এটারও অনেক বড় বিনিময় পাওয়া যায়। হাদীসে আছে, তোমরা খেজুরের টুকরো সাদকা করে হলেও জাহান্নামকে ভয় করো। সুতরাং তালিবুল ইলমদের উচিত প্রতিদিন অল্প অল্প করে দান করা, মানবসেবায় সামাজিকভাবে অংশগ্রহণ করা।
পড়ালেখার ঘাটতিগুলো পুষিয়ে নেওয়া:
বছরের পুরো সময়জুড়ে আমরা পড়াশোনায় ব্যস্ত থাকি। কিন্তু এরপরো নির্ধারিত পাঠে আমাদের অনেক ঘাটতি থেকে যায়। এ ধরণের ঘাটতি থাকলে পরবর্তী বছর সামনে অগ্রসর হওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে ছুটির সময়গুলো তালিবুল ইলমদের জন্য পড়াশোনার ঘাটতি পূরণ করা কিংবা পাঠ্যসূচীর অতিরিক্ত বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করার এক মহা সুযোগ হয়ে ওঠে।
যেসকল তালিবুল ইলমগণ ছুটির দিনে মাদ্রাসায় অবস্থান গ্রহণ করে এটা তাদের জন্য অনেক বড় একটি সুযোগ। আর যারা বাড়িতে অবস্থান করেন, তারা মূল্যবান সময় নষ্ট না করে প্রতিদিন কিছু কিছু সময় বিগত বছরের ঘাটতিগুলোর পেছনে ব্যয় করবে। পাশাপাশি আকাবিরে আসলাফগণের জীবনীও অধ্যয়ন করবে। এরদ্বারা আত্মিক পরিশুদ্ধিও অর্জিত হবে।
অনর্থক কাজ থেকে বিরত থাকা:
অনর্থক কাজ মানুষের জীবনকে তার লক্ষ্য উদ্দেশ্য থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। পবিত্র কুরআনে সফল মুমিনদের গুণাবলি বর্ণনা করতে গিয়ে মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, তারা অনর্থক কাজ থেকে বিরত থাকে। অনর্থক কাজ থেকে বিরত থেকে আপন উদ্দেশ্যপানে মনযোগী হওয়া ব্যক্তির সৌন্দর্য। নবীজি বলেন, ব্যক্তির ইসলামের সৌন্দর্য হল, অনর্থক কাজ থেকে বিরত থাকা। (সুনান তিরমিযী, হাদীস- ২৩১৭)।
তালিবুল ইলমদের জন্য অনর্থক কাজ থেকে বিরত থাকা একটা অপরিহার্য বিষয়। কারণ অনেক সময় এমনো হয় যে, অনর্থক কাজে লিপ্ত হওয়ার কারণে মানুষ ইলমের রাস্তা থেকে ছিটকে যায়। বিশেষভাবে ছুটির দিনগুলো অনর্থক গল্পগুজব, মোবাইলের অপব্যবহার থেকে বিরত থেকে উপরে উল্লেখিত কাজে মনযোগী হওয়া চাই।
প্রতিদিন দুআর আমল করা:
দুআ মুমিনের হাতিয়ার। ইবাদতের মগজ। দুআ এমন একটি মাধ্যম যেখানে বান্দার সাথে সরাসরি রব্বে কারীমের সংযোগ হয়। যেকোনো পরিস্থিতি সামনে আসলে বাহ্যিক উপকরণ ও প্রস্তুতি গ্রহণের পাশাপাশি নবীজি কীভাবে দুআর প্রতি গুরুত্ব দিতেন, রোনাজারি করতেন তা আমরা সকলেই জানি। সাহাবা ও তাবেঈনগণের যেকোনো সমস্যায় দুআর প্রতি কীভাবে মনোযোগী হতেন, তা আমাদের অজানা নয়।
সুতরাং আমাদের সকলকে বিশেষভাবে আমরা যারা তালিবুল ইলম আছি প্রত্যেককে দুআর প্রতি অধিক মনযোগী হতে হবে। আমাদের যে কোনো সমস্যা ও প্রয়োজনের আপিল সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে করতে হবে। দুআ কবুলের সময়গুলোতে বেশি বেশি দুআর ইহতিমাম করতে হবে। অন্ততপক্ষে দৈনিক দশ থেকে পনের মিনিট আল্লাহর দরবারে রোনাজারি করার চেষ্টা করবো। ছুটির দিনে হোক বা ক্লাশ চলাকালিন সময়ে হোক। ইনশাআল্লাহ এর মাধ্যমে আমাদের ইলমি ও আমলি জীবনে অনেক ফায়দা হবে।
এখানে অল্প কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হল। আরো অনেক বিষয় রয়েগেছে, যা এখানের আলোচনায় আসেনি। প্রকৃত তালিবুল ইলম তো সেই, যে তার সময়ের প্রতিটি মুর্হূতকে ইলম ও আমলে ব্যয় করে। আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে তাওফীক দান করুন।
লেখক: শিক্ষক- জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম, হাটহাজারী এবং সহকারী সম্পাদক- মাসিক মুঈনুল ইসলাম।
#মাসিক মুঈনুল ইসলাম/এমএ
মাসিক মুঈনুল ইসলাম পড়তে ক্লিক করুন-
https://mueenulislam.com/