।। হাছিব আর রহমান ।।
আবহমান কাল থেকে এ উপমহাদেশে ইসলামের প্রচার প্রসারে ওয়াজ-মাহফিল ইসলাম প্রচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ। হাজার মানুষকে জড়ো করে একজন বক্তা ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে মানুষকে শেখানোর এ ঐতিহ্যই ওয়াজ-মাহফিল হিসেবে পরিচিতি পেয়ে এসেছে। সাধারণত ওয়াজ-মাহফিলের এই সিলসিলা অনেক পুরনো। এ দেশে শীতকালে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন বেশি হয়ে থাকে। দীর্ঘ রাত, বসতে আরাম, শুষ্ক মওসুমসহ বিভিন্ন কারণে দিনের ক্লান্তি শেষে বক্তা ওয়ায়েজিনদের কাছ থেকে কুরআন হাদীসের বয়ান শোনে বাড়ি ফেরে ক্লান্ত পথিক। কিছু কিছু এলাকায় ওয়াজ-মাহফিল ঘিরে একটি ঈদোৎসবের মতো পরিবেশ হয়ে থাকে।
দেশের বিভিন্ন ঘরানার ওয়ায়েজদের সাথে সম্পর্কের সূত্রে নিজে বক্তা না হয়েও বিভিন্ন এলাকার ওয়াজ-মাহফিলের ব্যবস্থাপনা দেখার সুযোগ হয়েছে আমার। একটি ওয়াজ-মাহফিলকে কেন্দ্র করে মাহফিল ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা মানুষজনসহ ঘরের গিন্নী পর্যন্ত কত মানুষের কর্মব্যস্ততা থাকে তার ইয়ত্তা নেই। কিন্তু ইসলাম প্রচারের উর্বর এই মাধ্যমটি এখন বিভিন্নভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। ইলমহীন বক্তাদের ছড়িয়ে পড়া, ওয়াজ-মাহফিল একটি অর্থরুজির মাধ্যমে পরিণত হওয়া, ওয়াজ-মাহফিলে রাজনৈতিক প্রভাব-প্রতিপত্তি দেখানোসহ অনেক কারণেই এই মোবারক ময়দানটি জনগণের কাছে অগ্রহণযোগ্য হয়ে পড়ছে। ওয়াজ-মাহফিলে দ্বীনের দাওয়াত দেয়া এই মানুষগুলোকে বলা হয় ‘দা’য়ী ইলাল্লাহ’ বা যারা মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকেন। এখন এসে এ ময়দানকে পরিচ্ছন্ন করতে এই দা’য়ীদের কিছু দায় নেয়ার সময় এসেছে।
পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, “তোমাদের মধ্যে এমন একটি গোষ্ঠী হওয়া চাই, যারা কল্যাণের পথে আহ্বান করবে, সৎকাজের আদেশ দেবে আর অসৎ কাজ থেকে বারণ করবে”। (সূরা আলে-ইমরান- ১০৪)।
আরো বলা হয়েছে, “হে রাসূল, আপনার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে, তা আপনি পৌঁছিয়ে দিন”। (সূরা মায়িদা- ৬৭)।
ওয়াজ মাহফিলের উপকারিতা অনস্বীকার্য। কারণ, নৈতিকশিক্ষার অন্যতম মাধ্যম হলো ওয়াজ মাহফিল। যুগে যুগে আল্লাহর নবী-রাসূল ও পীর-আওলিয়া দ্বীনের তাবলীগ ও দাওয়াতের কাজ করেছেন। তাঁদের দাওয়াতের বড় কর্মসূচি ছিল ওয়াজ মাহফিল। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, “আপনি উপদেশ দিন। কেননা, উপদেশ বিশ্বাসীদের উপকারে আসে” (সূরা আয-যারিয়াত- ৫৫)। তবে খুতবার জন্য ইসলামি শরিয়ায় কিছু নির্দিষ্ট নীতি আছে। খতিবের জন্যও আছে কিছু শর্ত। বক্তার জন্য তথ্য, ভাষা, উপস্থাপনাগত কিছু যোগ্যতা প্রয়োজন।
এই উপমহাদেশে ওয়াজ-মাহফিলের যাত্রা কবে থেকে শুরু হয়েছে তার বিশেষ কোন তথ্যসূত্র না পাওয়া গেলেও ধারণা করা হয় এ উপমহাদেশে ওয়াজ-মাহফিলের এই ধারার চলমান প্রক্রিয়া অনেক পুরনো। ভারতবর্ষে সুলতানি আমল থেকেই ওয়াজের প্রচলন ছিল। সুলতান মুহাম্মদ বিন তুঘলকের শাসনকালে নাসিরুদ্দিন নামে একজন বিখ্যাত ওয়ায়েজ ছিলেন। সুলতান তাকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করতেন। সুলতান তার বসার জন্য একটি মিম্বার নির্মাণ করে দেন। সুলতান নিজেও তার ওয়াজে বসতেন। ওয়াজ শেষে তার সাথে কোলাকুলি করতেন। হিজরী নবম শতাব্দীতে মাওলানা শোয়াইব দিল্লীতে ওয়াজ করতেন। শায়খ আবদুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী তার প্রশংসা করেছেন। মাওলানা আলাউদ্দিন আউধি দিল্লীতে ওয়াজ করতেন। ওয়াজে তারা কবিতাও আবৃত্তি করতেন।
যেমন- শায়খ তকিউদ্দিন তার ওয়াজে চান্দায়ন নামে একটি গ্রন্থ থেকে হিন্দী কবিতা আবৃত্তি করতেন। মানুষকে ইসলামের দাওয়াত দিতে এই ওয়াজ মাহফিলের ধারাবাহিকতা শুরু হয়েছিলো। তবে ওয়াজ-মাহফিলের প্রকৃত শুরু সময় ধরা হয় ইসলামের প্রাথমিক যুগে জুমার নামাযের আগের খুতবা প্রদানের সিলসিলাকে। এ ছাড়াও ইসলামপূর্বে অন্যান্য নবী-রাসূলগণও মানুষকে ইসলামের পথে দাওয়াত দিতে এভাবে মজলিসভিত্তিক দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। হযরত দাউদ (আ.) তার উম্মতদেরকে ডেকে মধুর সূরে তিলাওয়াত করতেন এবং ধর্মের দাওয়াত দিতেন। ইসলামের প্রাথমিক যুগে সাহাবায়ে কেরামের মধ্যেও ওয়াজ মাহফিলের এ ধারার আলোচনা পাওয়া যায়। বিখ্যাত তাবেয়ী উবাইদ বিন উমাইরের ওয়াজের মজলিসে আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাযি.) বসতেন। উবাইদ বিন উমাইরের আলোচনায় প্রভাবিত হয়ে তিনি কান্নাও করতেন। (সূত্র- লামাহাত মিন তারিখিস সুন্নাতি ওয়া উলুমিল হাদীস, পৃষ্ঠা ১০৮)।
এছাড়াও ইবনুল জাওযি (রহ.), হাসান বসরি (রহ.), ইমাম গাজালি (রহ.)সহ অসংখ্য তাবেয়ী ও তাবে-তাবেয়ীনদের পাওয়া যাবে, যারা ওয়াজ মাহফিলের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছিলেন। ইবনুল জাওযির ওয়াজে কখনো কখনো এক লক্ষ মানুষও হতো। ইমাম গাজালি যখন জামেয়া নিজামিয়া বাগদাদে ওয়াজ করতেন তখন প্রায় ত্রিশ হাজার মানুষ একত্রিত হতো। এভাবেই যুগের পর যুগ, শতাব্দির পর শতাব্দিকাল ধরে ওয়াজ-মাহফিলের ধারাবাহিকতা বজায় থেকেছে। ওলামায়ে দেওবন্দীদের মধ্যেও ওয়াজ-মাহফিলে অংশগ্রহণের ব্যাপক ধারাবাহিকতা বজায় ছিলো। তবে তখনকার সমাজে ওয়াজ-মাহফিলের এ বাগডোর ব্যাপকভাবেই থাকতো যুগের শ্রেষ্ঠ মুহাক্কিক আলেমদের হাতে। কিছু কিচ্ছা-কাহিনী বর্ণনা করা বা আজগুবি কথা বলে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা বক্তা যে তখনও ছিলো না, তা নয়; কিন্তু তৎকালীন সময়ে মুহাক্কিক আলেমগণ তাদেরকে ব্যপকভাবে প্রত্যাখান করতেন।
এই ধরনের বক্তাদেরকে বলা হতো কাসসাস। জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহ.) এই ধরনের গল্পকারদের সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করে লিখেছেন, ‘তাহজিরুল খাওয়াছ মিন আকাজিবিল কাসসাস’ নামক গ্রন্থ। ইমাম ইবনে তাইমিয়া এইসব গল্পকারদের বানোয়াট হাদীসগুলো একত্রিত করে দিয়েছেন ‘আহাদীসুল কাসসাস’ নামক গ্রন্থে। ইবনুল জাওযি এ ধরনের ওয়ায়েজদের সম্পর্কে বলেছেন, ওয়ায়েজদের অনেকের কথাই অন্ত:সারশূন্য। তাদের ওয়াজের বিরাট অংশ হযরত মূসা (আ.) ও তুর পাহাড়ের কাহিনী এবং ইউসুফ (আ.) ও জুলায়খার কাহিনী দিয়ে ভরপুর। এসব ওয়াজ নসিহতে ইসলামের ফরয বিধান নিয়ে আলোচনা নেই, কী করে গোনাহ থেকে বাঁচা যায় তা নিয়েও আলোচনা নেই, তাহলে এসব ওয়াজ দ্বারা কী করে একজন সুদখোর ও ব্যভিচারী তওবা করতে আগ্রহী হবে? ওয়ায়েজরা শরীয়তকে পেছনে ঠেলে দিয়েছে, ফলে তাদের আয় বেড়েছে। (সূত্র- তালবিসু ইবলিস, ১২১ পৃষ্ঠা, ইবনুল জাওযি)।
আরও পড়তে পারেন-
আহলে কুরআন: কুরআন বলে ‘তুমি মিথ্যাবাদি’
মুমিন জীবনে নামাযের গুরুত্ব
আল্লাহর অসীম কুদরত ও মহিমা আত্মোপলব্ধির উৎকৃষ্ট উপায়
কুরআন অবমাননা: আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি বনাম হিন্দুত্ববাদ
যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আলেম সমাজের প্রস্তুতি
বাংলাদেশে এখন ওয়াজের মওসুম চলছে। সারাদেশে ব্যাপকভাবে ওয়াজ-মাহফিলের আয়োজন হচ্ছে। এসব ওয়াজ-মাহফিলে এখন মুহাক্কিক আলেমদের উপস্থিতি খুবই কম। যে কারণে এ ময়দানটি এখন ব্যাপকভাবে অন্তঃসারশূন্য হয়ে পড়েছে। দেওবন্দি ধারার মুহাক্কিক উলামায়ে কেরামদের ওয়াজের ময়দানে কম উপস্থিতির ফলে সে জায়গাগুলো দখল করে নিচ্ছে নতুন বিভিন্ন দল ও ফেরকার আলেমরা। ইসলামকে দেওবন্দি চিন্তার সাথে সম্পৃক্ত রেখে যুগের সাথে খাপ খাওয়াতে ব্যর্থ হচ্ছেন তারা। উপস্থাপনভঙ্গি, আলোচনার গভীরতা না থাকাসহ বিভিন্ন কিস্সা কাহিনী বর্ণনা করার ধারাবাহিকতা এবং অসংখ্য ইলমহীন বক্তার পদচারণার কারণে ওয়াজ-মাহফিলের এ ধারা খুব বেশি ফিতনার সৃষ্টি করছে। মানুষ ওয়াজ-মাহফিল থেকে দ্বীনের দাওয়াতের পরিবর্তে ইসলাম প্রচারকদের ব্যাপারে প্রচুর নেতিবাচক ধারণা নিয়ে যাচ্ছে। যা মূলত ক্ষতি করছে এ দেশের বুনিয়াদী ইসলামপন্থাকেই।
বাংলাদেশের ব্যাপক জনপ্রিয় ইসলামি বক্তাদের তালিকা করলে সেখানে নিপাট দেওবন্দি ধারার উলামায়ে কেরামদের উপস্থিতি খুবই কম। অথচ দেওবন্দি ধারার আলেমদের মধ্যে জনপ্রিয় হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন বক্তাদের কোন অংশেই অভাব নেই। কিন্তু তাদের বিচ্ছিন্ন চিন্তা, যুগসচেতনতার অভাব, চিন্তার অদূরদর্শীতাসহ অনেক হতাশাকর দিকের কারণে আজকে তারা ব্যাপকভাবে মানুষকে প্রভাবিত করতে পারছে না। অথচ এ দেশের বুনিয়াদী ইসলামপন্থার মূল ধারক তারাই। ওয়াজ-মাহফিলের ময়দানেও তারাই ইসলামপ্রচারকে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় করে তুলেছে। তাই তাদের হাত ধরেই এই ময়দানের নেতিবাচক দিকগুলো পরিষ্কার হওয়া উচিত।
এ ক্ষেত্রে দেশের প্রথম সারির কওমি মাদরাসাগুলো এগিয়ে আসতে পারে বিশেষ কিছু কার্যক্রম হাতে নিয়ে। তারা মানুষকে ইলমি বক্তাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পারে এবং ইলম আমলের পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ কোন বক্তাদের দেশের প্রথম সারির কওমি মাদরাসাগুলোতে দাওয়াত দেয়া উচিত নয় এবং কাউকে দাওয়াত দিতে উৎসাহিত করাও উচিত নয়।
এছাড়াও দেশের কওমি মাদরাসাগুলো ওয়াজের ময়দানকে আরও গ্রহণযোগ্য করে তুলতে বক্তাদের নিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিতে পারে। সারাদেশের কওমি মাদরাসাগুলোর পরিচালকদের নিয়ে ওয়াজ মাহফিল বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইনমূলক কর্মশালা এবং দাওয়াহ্ বিভাগের কার্যক্রম পুনর্বিন্যাস করা উচিত। দাওয়াতের ভাষা ও মেজাজের বিষয়ে আলেমদেরকে পূর্ণাঙ্গ প্রশিক্ষণের আওতায় আনা উচিত। পারস্পরিক ছিদ্রান্বেষণ, একে অপরের নগ্ন সমালোচনা বা এ ধরণের বিষয়গুলো পরিহার করতে উদ্বুদ্ধ করা উচিত। ওয়াজ-মাহফিল বিষয়ে আমাদের পূর্বাপর আকাবিরদের কার্যক্রমকে ব্যাপকভাবে জানানো উচিত।
আমাদের কাছাকাছি সময়ের আকাবিরে উলামায়ে কেরামগণ ওয়াজ-মাহফিল বিষয়ে কেমন ভূমিকা পালন করতেন তেমন একটি ঘটনা বর্ণনা করেই লেখাটি শেষ করছি- নানুপুরের মরহুম পীর মাওলানা সুলতান আহমদ (রহ.) একবার উত্তরবঙ্গে টানা তিন দিন মাহফিল করেন। ঘটনাক্রমে সেবার কোনো মাহফিল কর্তৃপক্ষই তাকে হাদিয়া দেয়নি। সব মাহফিলের আয়োজকদের ধারণা ছিল, পরবর্তী মাহফিলে তো হুজুর হাদিয়া পাবেনই, বা পূর্ববর্তী মাহফিলে পেয়েছেন। তাই আমরা না দিলে আর কী আসে যায়? তিন দিনের ধারাবাহিক মাহফিল শেষে কোনো হাদিয়া না পেয়েও হযরতের চেহারার ভাব ছিল সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। আক্ষেপের লেশমাত্র ছিল না।
এদিকে হুজুরের পকেটে সামান্য যা টাকা ছিল, তা দিয়ে দু’জনে ট্রেনের টিকিট নিয়ে ফেনী পর্যন্ত আসার ভাড়া হয়েছিল। ফেনী রেলস্টেশনে নেমে হযরত তার এক মুরিদ সুলতান হাজীর বাড়িতে উঠলেন। তার কাছ থেকে ফেনী থেকে নানুপুর (নাজিরহাট, চট্টগ্রাম) যাওয়ার পরিমাণ দু’জনের ভাড়া ধার নিলেন। নানুপুর পৌঁছে ঘরে গিয়ে স্ত্রীর কাছ থেকে ২ সের চাল চেয়ে নিলেন। হযরতের বিবিজান বললেন, চাল কেন? তিনি বললেন, বিক্রি করে বাজার করতে হবে। বিবিজান বললেন, আপনি না মাহফিল করে এলেন! ওরা টাকা দেয়নি? হযরতের জবাব ছিল, ‘আঁই কি টেঁয়া কামাইতাম গেয়ি না? আঁই ত মাইনছেরে ওয়াজ-নসিহত হুনাইবাইল্লাই গেয়ি!’ (আমি কি টাকা কামাতে গিয়েছি? আমি তো মানুষকে নসিহত শুনাতে গিয়েছি)। অতঃপর দু’সের চাল নিয়ে নানুপুর বাজারে গেলেন এবং বিক্রি করে ঘরের জন্য বাজার করে আনলেন। [নানুপুরের মরহুম পীর সাহেবের তখনকার সফরসঙ্গী ও প্রিয় খলিফা, ফেনী লালপুর সুলতানিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মুফতি সাঈদ আহমদ (রহ.) নিজ মুখে এ ঘটনা শোনাতেন]
তাই, পবিত্র কুরআন হাদীসের আলোকে দ্বীন প্রচারের মাধ্যম হিসেবে ওয়াজ-মাহফিলকে ব্যবহার করা উচিত যেখানে ইলমি মুহাক্কিক বক্তাগণ ওয়াজ মাহফিলের বাগডোর ধরে রাখবেন এবং তারাই এ ময়দানের প্রকৃত প্রভাবশালী নিয়ন্ত্রক হবেন আশা করি। সাথে সাথে এই দ্বীনের প্রচার মাধ্যমটিকে যারা অর্থ উপার্জনের পথ এবং পারস্পরিক হিংসা বিদ্বেষ চর্চার মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করেছে তাদেরকে ব্যাপকভাবে প্রত্যাখ্যান করা উচিত বিশেষ করে দ্বীনি বড় কোন ইদারা বা মাদরাসাগুলোতে ওয়াজের জন্য তারা দাওয়াত পাওয়া উচিত নয়।
লেখক: ফাযেলে দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী।
#মাসিক মুঈনুল ইসলাম/এমএ
মাসিক মুঈনুল ইসলাম পড়তে ক্লিক করুন-
https://mueenulislam.com/