পবিত্র কুরআনে কওমে আদ এবং হযরত হুদ (আ.) প্রসঙ্গ

।। এ.কে.এম. আছাদুজ্জামান ফিরোজ ।।

‘আদ’ প্রকৃতপক্ষে হযরত নূহ (আ.)এর ৫ম পুরুষের মধ্যে এবং তাঁর পুত্র সামের বংশধরেরই এক ব্যক্তির নাম। অতঃপর তার বংশধর ও গোত্র-সম্প্রদায় ‘আদ’ নামে খ্যাত হয়ে গেছে। কুরআন পাকে তাদের প্রসঙ্গে কোথাও ‘আদে-ঊলা’ (প্রথম আদ) এবং কোথাও “ইরামাযাতিল ইমাদ” শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। এতে বোঝা যায় যে, আদ সম্প্রদায়কে ইরামও বলা হয় এবং প্রথম আদের বিপরীতে কোন দ্বিতীয় আদও রয়েছে। এ সম্পর্কে বিভিন্ন জনের উক্তি বিভিন্ন রূপ। অধিক প্রসিদ্ধ উক্তি এই যে, আদের দাদার নাম ইরাম, তার এক পুত্র আওসের বংশধররাই আদ। তাদেরকেই প্রথম আদ বলা হয়।

আদ সম্প্রদায়ের তেরটি পরিবার ছিল। আম্মান থেকে শুরু করে হাযরা মাউত ও ইয়েমেন পর্যন্ত তাদের বসতি ছিল। তাদের ক্ষেত খামারগুলো অত্যন্ত সজীব ও শস্য-শ্যামল ছিল। তাদের সবরকম বাগান ছিল। তারা ছিল সুঠামদেহী ও বিরাট বপু সম্পন্ন। আল্লাহ তা’আলা তাদের সামনে দুনিয়ার যাবতীয় নেয়ামতের দ্বার খুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু বক্রবুদ্ধির কারণেই এসব নেয়ামত তাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াল। তারা শক্তি মদমত্ত হয়ে, ‘আমাদের চেয়ে শক্তিশালী কে?’ এমন উক্তি করে ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করতে থাকে। তারা আল্লাহ পাকের নেয়ামত ভুলে মূর্তি পূজায় আত্মনিয়োগ করে।

উক্ত আদ সম্প্রদায়কে মূর্তিপূজা পরিত্যাগ পূর্বক আল্লাহ পাকের একত্ববাদে বিশ্বাস স্থাপনের দাওয়াত প্রদানের জন্য আল্লাহ পাক হযরত হুদ (আ.)কে পয়গম্বর রূপে প্রেরণ করেন। হযরত হুদ (আ.)ও হযরত নূহ (আ.) এর ৫ম পুরুষের মধ্যে এবং তাঁর পুত্র সামের বংশধরের এক ব্যক্তি। আদ সম্প্রদায় এবং হযরত হুদ (আ.) এর বংশ তালিকা চতুর্থ পুরুষে সাম পর্যন্ত পৌঁছে এক হয়ে যায়। অর্থাৎ হযরত হুদ (আ.) আদ সম্প্রদায়েরই একজন ছিলেন।

পবিত্র কালাম পাকে ৩টি সূরায় ১০টি আয়াতে হযরত হুদ (আ.) এবং ৯টি সূরায় ৬২টি আয়াতে আদ সম্প্রদায় প্রসঙ্গে আলোচনা এসেছে। এছাড়া সূরা হুদ নামক একটি স্বতন্ত্র সূরাও নাযিল করা হয়েছে। নিম্নে উক্ত আয়াত সমূহের আংশিক সরল অর্থ পেশ করা হলো- হযরত হুদ (আ.) সম্পর্কিত আয়াতগুলো হচ্ছে যথাক্রমে-

১। আল্লাহ পাকের বাণী আদ সম্প্রদায়ের কাছে প্রেরণ করেছি তাদের ভাই হুদকে……। (সূরা আল আরাফ, আয়াত নং- ৬৫)।

২। আল্লাহ পাকের বাণী, অনন্তর আমি তাঁকে (হযরত হুদ (আ.) ও তাঁর সঙ্গীদেরকে স্বীয় অনুগ্রহে রক্ষা করলাম। (সূরা আল আরাফ, আয়াত-৭২)।

৩। আল্লাহ পাকের বাণী, আর আদ জাতির প্রতি আমি তাদের ভাই হুদকে প্রেরণ করেছি। (সূরা হুদ-৫০)।

৪। আল্লাহ পাকের বাণী, তারা বলল- হে হুদ! তুমি আমাদের কাছে কোন প্রমাণ নিয়ে আস নাই। (হুদ-৫৩)।

৫। আল্লাহ পাকের বাণী, …হুদ বললেন, আমি আল্লাহকে সাক্ষী করেছি, আর তোমরাও সাক্ষী থাক যে, আমার কোন সম্পর্ক নাই তাদের সাথে যাদেরকে তোমরা শরীক করছ। (সূরা হুদ, আয়াত- ৫৪)।

৬। আল্লাহ পাকের বাণী, আর আমার আদেশ যখন উপস্থিত হলো, তখন আমি নিজ রহমতে হুদ ও তাঁর সঙ্গী ঈমানদারগণকে পরিত্রাণ করি এবং তাদেরকে এক প্লাবনের শাস্তি থেকে রক্ষা করি। (সূরা হুদ, আয়াত-৫৮)।

৭। আল্লাহ্ পাকের বাণী, …হুদের জাতি আদ জাতির প্রতি অভিসম্পাত রয়েছে, জেনে রাখ। (সূরা হুদ আয়াত নং-৬৪)।

৮। আল্লাহ্ পাকের বাণী, তোমরা নূহ বা হুদ অথবা সালেহ (আ.)এর কওমের মতো নিজেদের উপর আযাব ডেকে আনবে না। (সূরা হুদ, আয়াত- ৮৯)।

৯। আল্লাহ্ পাকের বাণী, তখন তাদের ভাই হুদ তাদেরকে বললেন; তোমাদের কি ভয় নেই? (সূরা আশ্-শূআরা আয়াত-১২৪)।

১০। আল্লাহ পাকের বাণী, অতএব তারা তাঁকে (হযরত হুদ আ. কে) মিথ্যাবাদী বলতে লাগল। আমি তাদেরকে নিপাত করে দিলাম। (সূরা শোআরা, আয়াত-১৩৯)।

কওমে আদ সম্পর্কিত আয়াত সমূহের আংশিক নিম্নরূপ-

১। আল্লাহ্ পাকের বাণী, আদ সম্প্রদায়ের কাছে প্রেরণ করেছি তাদের ভাই হুদকে। সে বললো, হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা আল্লাহ্র ইবাদত করো। তিনি ব্যতীত তোমাদের কোন উপাস্য নেই। তার সম্প্রদায়ের সর্দাররা বলল, আমরা তোমাকে নির্বোধ দেখতে পাচ্ছি এবং আমরা তোমাকে মিথ্যাবাদী মনে করি। সে বলল, হে আমার সম্প্রদায়! আমি মোটেও নির্বোধ নই, বরং আমি বিশ্ব প্রতিপালকের প্রেরিত পয়গম্বর….. অনন্তর আমি তাঁকে ও তার সঙ্গীদেরকে স্বীয় অনুগ্রহে রক্ষা করলাম এবং যারা আমার আয়াতসমূহে মিথ্যারোপ করত, তাদের মূল কেটে দিলাম। তারা মান্যকারী ছিল না। (সূরা আল আরাফ, আয়াত-৬৮-৭২)।

২। আল্লাহ্ পাকের বাণী, আর আদ জাতির প্রতি আমি তাদের ভাই হুদকে প্রেরণ করেছি।… এ দুনিয়ায় তাদের পিছনে লা’নত রয়েছে এবং কিয়ামতের দিনেও। জেনে রাখ, ‘আদ জাতি তাদের পালনকর্তাকে অস্বীকার করেছে। হুদের জাতি আদ জাতির প্রতি অভিসম্পাত রয়েছে, জেনে রাখ। (হুদ-৫০-৬০)।

৩। আল্লাহ পাকের বাণী, অতঃপর অন্য এক সম্প্রদায়কে আমি তাদের স্থলাভিষিক্ত করেছিলাম…. অতঃপর ভয়ংকর শব্দ তাদেরকে হতচকিত করল এবং আমি তাদেরকে খড়কুটায় পরিণত করে দিলাম। অতঃপর ধ্বংস হোক পাপী সম্প্রদায়। (সূরা আল মুমিনূন, ৩১, ৪১ আয়াত)।

৪। আল্লাহ্ পাকের বাণী, আদ সম্প্রদায় পয়গম্বরগণকে মিথ্যাবাদী বলেছে। তখন তাদের ভাই হুদ তাদেরকে বললেন…… অতএব তারা তাঁকে মিথ্যাবাদী বলতে লাগল এবং তাদেরকে নিপাত করে দিলাম। এতে অবশ্যই নিদর্শন আছে। কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়। (সূরা আশ শূ’আরা, আয়াত- ১২৩)।

আরও পড়তে পারেন-

৫। আল্লাহ পাকের বাণী, যারা ছিল আদ, তারা পৃথিবীতে অযথা অহংকার করল এবং বলল, আমাদের অপেক্ষা অধিক শক্তিধর কে? ….তাদের উপর প্রেরণ করলাম ঝঞ্ঝাবায়ু বেশ কতিপয় অশুভ দিনে। আর পরকালের আযাব তো আরও লাঞ্ছনাকর এমতাবস্থায় যে, তারা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে না। (সূরা হামীম সিজদাহ-১৫-১৬ আয়াত)।

৬। আল্লাহ্ পাকের বাণী, আদ সম্প্রদায়ের ভাইয়ের কথা স্মরণ করুন। তার পূর্বে ও পরে অনেক সতর্ককারী গত হয়েছিল। সে তার সম্প্রদায়কে বালুকাময় উচ্চ উপত্যকায় এই মর্মে সতর্ক করেছিল যে…. অতঃপর তারা যখন শাস্তিকে মেঘরূপে তাদের উপত্যকাভিমুখী দেখল। তখন বলল, এ তো মেঘ, আমাদের বৃষ্টি দেবে….. তাদের বসতিগুলো ছাড়া কিছুই দৃষ্টিগোচর হলো না। আমি অপরাধী সম্প্রদায়কে এমনিভাবে শাস্তি দিয়ে থাকি। (সূরা আল আহক্কাফ- ২১-২৫)।

৭। আল্লাহ পাকের বাণী, এবং নিদর্শন রয়েছে তাদের কাহিনীতে, যখন আমি তাদের উপর প্রেরণ করেছিলাম অশুভ বায়ু দ্বারা। এই বায়ু, যার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল তাকেই চূর্ণ বিচূর্ণ করে দিয়েছিল। (সূরা আয যারিয়াত, আয়াত- ৪১-৪২)।

৮। আল্লাহ্র পাকের বাণী, আদ সম্প্রদায় মিথ্যারোপ করেছিল। অতঃপর কেমন কঠোর হয়েছিল আমার শাস্তি ও সতর্কবাণী। আমি তাদের উপর প্রেরণ করেছিলাম যাঞ্ঝাবায়ু এক চিরাচরিত অশুভ দিনে। তা মানুষকে উৎখাত করেছিল, যেন তারা উৎপাটিত খেজুর বৃক্ষের কা-। (সূরা আল ক্বামার, আয়াত- ১৮-২০)।

৯। আল্লাহ্্ পাকের বাণী, এবং আদ গোত্রকে ধ্বংস করা হয়েছিল এক প্রচ- যাঞ্ঝাবায়ু। যা তিনি প্রবাহিত করেছিলেন, তাদের উপর সাত রাত্রি ও আট দিবস পর্যন্ত অবিরাম। আপনি তাদেরকে দেখতেন যে, তার অসার খেজুর কা-ের ন্যায় ভূপাতিত হয়ে রয়েছে। (সূরা আল হাক্কা, ৬-৮)।

হযরত হুদ (আ.) আদ সম্প্রদায়কে মূর্তিপূজা ত্যাগ করে আল্লাহ পাকের একত্ববাদের অনুসরণ করতে এবং অত্যাচার উৎপাটন পরিহার করে ন্যায় ও সুবিচারের পথ ধরতে আদেশ করেন। কিন্তু হতভাগ্য আদ সম্প্রদায়ের লোকেরা স্বীয় ধন-ঐশ^র্যের মোহে মত্ত হয়ে তার আদেশ অমান্য করে। এর পরিণতিতে তাদের উপর প্রথম আযাব নাযিল হয় এবং তিন বছর পর্যন্ত উপর্যুপরি বৃষ্টি বন্ধ থাকে। তাদের শস্যক্ষেত্র শুষ্ক বালুকাময় মরূভূমিতে পরিণত হয়ে যায়। বাগান স্থল পুড়ে ছারখার হয়ে যায়। কিন্তু এতদ সত্ত্বেও তারা শিরক ও মূর্তি পূজা ত্যাগ করেনি। অতঃপর আট দিন সাত রাত্রি পর্যন্ত তাদের উপর প্রথম ঘূর্ণিঝড়ের আযাব সাওয়ার হয়। ফলে তাদের অবশিষ্ট বাগবাগিচা ও দালান-কোঠা ভূমিসাৎ হয়ে যায়। মানুষ ও জীবজন্তু শূন্যে উড়তে থাকে। অতঃপর উপুড় হয়ে মাটিতে পড়তে থাকে। এভাবে শক্তিমান গর্বিত আদ জাতিকে সমূলে ধ্বংস করে দেয়া হয়। এ প্রসঙ্গেই সূরা আরাফের ৭২ নং আয়াতে বলা হয়েছে, “আমি মিথ্যারোপকারীদের বংশ/মূল কেটে দিয়েছি। উক্ত আয়াতের তাফসীর প্রসঙ্গে সবাইকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। আবার কেউ কেউ বলেন, ভবিষ্যতের জন্যেও আদ জাতিকে নির্বংশ করে দেয়া হয়েছে। আদ জাতির উপর ঘূর্ণিঝড়ের আকারে আযাব আসা কুরআন পাকের বিভিন্ন আয়াতে সুস্পষ্টভাবে উল্লিখিত রয়েছে। যা সারা দুনিয়ার মানুষের জন্য শিক্ষণীয় হয়ে থাকবে।

হযরত হুদ (আ.)এর আন্তরিক আহ্বান তথা আদেশ অমান্য এবং কুফর ও র্শিক তথা মূর্তি পূজায় লিপ্ত থাকার কারণে যখন আদ জাতির উপর আল্লাহ পাকের গযব ও আযাব নাযিল হয়, তখন হযরত হুদ (আ.) ও তাঁর সঙ্গী ঈমানদার মুসলমান একটি কুঁড়েঘরে আশ্রয় গ্রহণ করেন। আশ্চর্যের বিষয় ছিল এই যে, ঘূর্ণিঝড়ের বিরাট বিরাট অট্টালিকা মাটিতে লুটিয়ে পড়লেও উক্ত কুঁড়েঘরটিতে বাতাস খুব সুষম পরিমাণে প্রবেশ করত। হযরত হুদ (আ.) ও তাঁর সঙ্গীরা ঠিক আযাবের মুহূর্তেও এখানে নিশ্চিন্তে বসে রইলেন। তাদের কোন কষ্টই হয়নি। কওমে আদের সবাই ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর হযরত হুদ (আ.) মক্কায় চলে যান এবং সেখানেই ওফাতপ্রাপ্ত হন। (বাহরে মুহীত)।

এভাবেই বিশালাকায় দেহের অধিকারী, শক্তির গর্বে গর্বিত ও আল্লাহ পাকের একত্ববাদে অবিশ্বাসী কওমে আদের কবর রচিত হয়।

শেষ কথাঃ পবিত্র কালামে পাকে কওমে আদ এবং হযরত হুদ (আ.)এর বর্ণনা পেশ করে আল্লাহ্ পাক সারা দুনিয়ার সর্বকালের কাফের বেদ্বীন এবং অহংকারী মানুষদেরকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন। আল্লাহ্ পাকের একাত্ববাদ বিশ্বাসহারা এবং পরকালে বিশ্বাসহারা সকলেই কাফির বেদ্বীনদের একই পর্যায়ভুক্ত। বর্তমান যুগেও কাফির বেদ্বীন তথা ইসলামের শত্রুদের উপর অনুরূপ গযব নাযিল হতো বটে, কিন্তু উম্মত দরদী হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) এর কবুলিয়াত দোয়ার বদৌলতে আদ জাতির মতো তাঁর উম্মতদেরকে আল্লাহ্ পাক ধ্বংস করবেন না । তাই বলে পরকালীন কঠিন শাস্তি থেকে রেহাই পাওয়ার তাদের জন্য (কাফির বেদ্বীনদের) কোন আশা নাই।

বর্ণিত আলোচনা থেকে আমাদের সকলের শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত। আল্লাহ পাক সর্বময় ক্ষমতার মালিক এবং মহাশক্তিধর মুহূর্তের মধ্যে তিনি যে কোন জাতি তথা অবাধ্য জনগোষ্ঠীকে ধ্বংস করেন তথা এ সুন্দর পৃথিবীকে মুহূর্তে জনমানবশূন্য করতে পারেন। কিন্তু আমরা অধিকাংশ মানুষ এ ব্যাপারে উদাসীন। কোন মতে ইসলামের প্রকাশ্য গুটি কয়েক হুকুম আহকাম মেনে নিয়েই ভীষণ আত্মতৃপ্তি লাভ করছি। প্রকৃত পক্ষে আল্লাহ্ পাকের প্রতিটি হুকুম ও রাসূলুল্লাহ (সা.)এর বরকতময় আদর্শ পুরোপুরিভাবে অনুসরণ ব্যতিরেকে আখেরাতে মুক্তির আশা অতিক্ষীণ। কওমে আদের মতো বর্তমান দুনিয়ার বহু মানুষ নিজেদেরকে মহাশক্তিধর জ্ঞান করে থাকে। (নাউযুবিল্লাহ)। অথচ প্রকৃত পক্ষে প্রতিটি মানুষই অসহায়, পরমুখাপেক্ষী আল্লাহ পাক মেহেরবাণী করে আমাদেরকে ক্বওমে তাদের ধ্বংস থেকে শিক্ষা গ্রহণ এবং তাঁরা পছন্দনীয় সঠিক দ্বীনের অনুসারী হওয়ার তাওফীক দান করুন। আমীন। ওয়ামা তাওফিকী ইল্লাবিল্লাহ।

#মাসিক মুঈনুল ইসলাম/এমএ

মাসিক মুঈনুল ইসলাম পড়তে ক্লিক করুন-
https://mueenulislam.com/

ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা ও মাসআলা-মাসায়েলবিষয়ক লেখা পেতে ‘মাসিক মুঈনুল ইসলাম-এর ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।