শায়খুল ইসলাম মুফতি মুহাম্মদ তকি উসমানী
বর্তমান সময়ে আমরা এমন এক পরিবেশে আছি, যেখানে চতুর্দিকে ফিতনার উপদ্রব প্রবল। অবস্থা এমন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছিলেন, ফিতনা তোমাদের ঘরের উপর বৃষ্টির ফোঁটার ন্যায় বর্ষিত হবে। হাদীসের ভাষ্য অনুযায়ী এটিই যেনো সেই সময়। সমকালীন ফিতনার সবচেয়ে বড় শিকড় হচ্ছে, পাশ্চাত্য তথা পশ্চিমা ফিতনা। সাধারণ মানুষের মস্তিষ্কে খুব সূক্ষ্মভাবে এই ধ্যান-ধারণা প্রতিস্থাপন করে দেওয়া হচ্ছে যে, পাশ্চাত্যই উত্তম। চিন্তাগত এবং কর্মগতভাবে এই ধারণা মানুষের মনে বদ্ধমূল হয়ে গেছে যে, পাশ্চাত্য থেকে যা আসে, সেগুলোই অগ্রগামী, গ্রহণযোগ্য এবং অনুকরণীয়। পাশ্চাত্যের বাইরে থেকে যা আসবে তা সেকেলে চিন্তার এবং অগ্রহণযোগ্য।
প্রশ্ন হচ্ছে, এই ধারণা আমাদের মাঝে কীভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হলো?
আপনারা জানেন, ঔপনিবেশিক যুগে লর্ড ম্যাকলে আমাদের জন্য যে আধুনিক শিক্ষা-ব্যবস্থা চালু করেছিল, তার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য খোলামেলাভাবে তিনি বলে দিয়েছিলেন। কোনো রাখ-ঢাক ছিলো না তার স্বীকারোক্তিতে। এতে বৃটিশ সরকারের উদ্দেশ্য ছিল, এই শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে এমন ব্যক্তিবর্গ তৈরি হবে, যারা রক্ত-মাংসে হিন্দুস্তানী হবে, কিন্তু তাদের মন-মস্তিষ্ক হবে পাশ্চাত্যের। বর্তমানেও আমাদের উপর যে শিক্ষা ব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা সাধারণ কিছু পরিবর্তন ব্যতীত সব পূর্বের মতোই আছে। যে কারণে পশ্চিমাদের গোলামি আমাদের সমাজের উপর; বরং আমাদের জাতির উপর সওয়ার হয়ে আছে। ফলশ্রুতিতে বর্তমানে সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিতগণ ইসলামি জ্ঞান এবং আকীদা-বিশ্বাসকে পশ্চাদপদ বা সেকেলে মনে করে। মুসলিম সমাজে তাদের জন্ম হয়েছে বিধায় তারা এক প্রকার বাধ্য হয়ে ইসলামের বিধানগুলো বিশ^াস করলেও, আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত অধিকাংশের অবস্থা এমন যে, তাদের অন্তর ইসলামের শিক্ষা ও বিধানকে আগ্রহ বা শ্রদ্ধাভরে গ্রহণ করে না।
আল্লামা কাশ্মিরী (রহ.)এর আশ্চর্যজনক মন্তব্য!
আমি আমার আব্বাজান (মুফতি মুহাম্মদ শফি রহ.)এর মুখ থেকে হযরত আল্লামা আনোওয়ার শাহ (রহ.)এর একটি বাক্য শুনেছি। আল্লামা কাশ্মিরী (রহ.) বলতেন, ‘আজকালের আধুনিক শিক্ষিতদের আমরা এই ভিত্তিতে মুসলমান মনে করি যে, তাদের কুফরি আমাদের জানা নেই’। আশ্চর্যজনক মন্তব্য!
অবস্থা এমন যে, আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিতরা একপ্রকারের বাধ্য হয়ে নিজেকে মুসলমান মনে করে। যদি আকীদার কথা জিজ্ঞেস করা হয়, তাহলে বলবে, আখেরাতের উপর ঈমান রাখি। কিন্তু তাদের ঈমান এরকম যে, একবার আমি উড়োজাহাজে সফর করছিলাম। আমার পাশের আসনে এক ব্যক্তি বসা ছিল। তিনি বললেন, “মাওলানা সাহেব! আমি একজন মুসলমান। কিন্তু আমাকে বলুন, আখেরাত বলতে কি বাস্তবেই কোনো কিছু আছে? এ ধরণের কিছু হবে? মরার পর কি আমাদেরকে দ্বিতীয়বার জীবিত করা হবে? এবং আমাদের কোনো হিসাব নিকাশ হবে?”
এই বেচারা তো নিজের অবস্থা মুখে প্রকাশ করে দিয়েছেন। কিন্তু বেশিরভাগের অবস্থাই এরকম। তারা জিজ্ঞেস করে না আবার জিজ্ঞেস করতেও শরম করে, বরং এক ধরনের দোদুল্যমান মানসিকতা নিয়ে তারা বসে থাকে। তারা মনে করে আমরা তো ডগমেটিক মানুষ। যে বিশ্বাস আমরা তৈরি করেছি, কোনো চিন্তা-ভাবনা ছাড়াই আমরা সেটা নিয়ে বসে আছি। চাই সেটা যুক্তি অনুযায়ী হোক কিংবা যুক্তির বিপরীত। চাই সেটা বর্তমান সময়ে আমলযোগ্য হোক কিংবা না। আমরা তো এমনিতেই বসে আছি। বাস্তবিক উন্নতি ও অগ্রগতির সব তো পশ্চিমেই হচ্ছে।
এই ফিতনার কারণে, যখন পশ্চিম থেকে ইসলামে জোড়াতালি লাগানোর কিংবা ইসলামকে বিকৃত করার জন্য কোনো নতুন চিন্তাধারা আসে, সেটাকে বাস্তবায়ন করার জন্য পশ্চিমা প্রভাবিত মানুষগুলোই প্রথমে লাব্বাইক বলে। কারণ, তার মাঝে তখন এক ধরনের জোশ থাকে। একদিকে সে সমাজে মুসলিম পরিচয় ধারণ করে থাকতে চায়, আবার অন্যদিকে ইসলামের বিধানগুলো সে গ্রহণ বা আত্মস্থ করতে চায় না। এ কারণেই যখন হাদীস অস্বীকারকারীরা আওয়াজ দেয়, তখন এই শ্রেণি বলে ওঠে, ভালো কথা! অনেক মুসলমান এমনও তো আছে, যারা হাদীস মানে না। আবার কেউ এসে বলে, আমরা হাদীস মানি, তবে শর্ত হচ্ছে, যুক্তি দিয়ে আমরা তা নিরীক্ষা করবো। যুক্তি দিয়েই সিদ্ধান্ত নেবো হাদীস সহীহ কি গায়রে সহীহ। এই সনদগুলো তো এমনিতেই অনর্থক। এগুলোর উপর ঐতিহাসিক তানকিদ হওয়া চাই। মোটকথা, এ ধরনের হাজারো অভিযোগ তারা করে। এটা এজন্যই করে যে, তাদের অন্তরে ইসলামী বিধান সম্পর্কে শ্রদ্ধাবোধ বা আস্থা নেই। কারণ, তাদের মস্তিষ্কে পশ্চিমা প্রভাব চেপে বসেছে।
পশ্চিমা প্রযুক্তির প্রভাব
এ সমস্যার অন্যতম কারণ হচ্ছে, প্রযুক্তিতে পশ্চিমাদের উন্নতি। এ বিষয়ে সন্দেহ নেই যে, বর্তমান সময়ে পশ্চিমাদেশগুলোর বস্তু উন্নতি এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতি হয়েছে, তা মানুষের চোখের সামনেই আছে। আজ আমরা এখানে বসে আছি। কিন্তু আমাদের হাতের ঘড়ি, মোবাইল যা আমাদের সামনে আছে, এগুলো প্রত্যেকটিই পশ্চিম থেকে এসেছে। এই সময়ে আমাদের যতগুলো নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস আছে, সব পশ্চিম থেকেই এসেছে। অবশ্য এসব জিনিসের শুরু মুসলিমদের মাধ্যমেই হয়েছিল। এগুলো আবিষ্কারের নিয়ম নীতি মুসলমানরাই তৈরি করেছিলেন। কিন্তু মুসলমানদের পরিবর্তে এখন এগুলো থেকে ফায়দা উঠাচ্ছে পশ্চিমারা।
আজ আমাদের কোথাও সফর করতে হলে মোটরসাইকেল লাগে। প্রাইভেট কার লাগে। ট্রেন কিংবা উড়োজাহাজ লাগে। এগুলো সবই তো তাদের তৈরি। অথচ প্রযুক্তির ময়দানে মুসলমানরা এখন শূন্য। এ ময়দানে পশ্চিমাদের অগ্রগতি সামগ্রিকভাবে অবশ্যই প্রশংসনীয়। কিন্তু সমস্যার শুরু এখান থেকেই। যদি কোনো ব্যক্তি প্রযুক্তির দিক দিয়ে দক্ষ হয়, তাহলে সে কি মেটাফিজিক্স বিষয়ে দক্ষ হয়ে ওঠবে? এখান থেকেই লাইন পরিবর্তন হয়ে যায়। এই যে নতুন নতুন যেসব জিনিস আবিষ্কার হচ্ছে, এগুলো সবকিছুই মাদ্দা (বস্তু)র সাথে সম্পৃক্ত। কিন্তু বস্তুবাদের বাইরেও একটা জগত আছে। যেটাকে প্রাচীন দর্শনের পরিভাষায় ‘মা ওয়ারা আত্তাবিইয়্যাত’ বলা হয়। আধুনিক পরিভাষায় যাকে মেটাফিজিক্স বলা হয়।
আরও পড়তে পারেন-
- নূপুর শর্মা, হেট স্পিচ ও বাকস্বাধীনতা
- রাসূলুল্লাহ (সা.)এর সাথে হযরত আয়েশা (রাযি.)এর সংসার ও দাম্পত্য জীবন
- প্রাকৃতিক দুর্যোগঃ ইসলাম কী বলে?
- আল্লাহর অসীম কুদরত ও মহিমা আত্মোপলব্ধির উৎকৃষ্ট উপায়
- যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আলেম সমাজের প্রস্তুতি
আমাদের অঞ্চলে একটা রিদম তৈরি হয়েছে। কোনো ব্যক্তি যদি একটা বিষয়ে দক্ষ হয়ে ওঠে, উঁচু স্থানে পৌঁছে যায়, তখন তাকে প্রত্যেক বিষয়ে দক্ষ মনে করা হয়। প্রত্যেক বিষয়ে সমাজে সে অনুসরণীয় হয়ে যায়। এই কল্পনাটাই সর্বনাশা বয়ে এনেছে আমাদের মন-মস্তিষ্কের উপর। পশ্চিমারা যেহেতু টেকনলোজিতে দক্ষ হয়ে ওঠেছে, তাই সমাজে তাদেরকেই সব বিষয়ে অনুসরণীয় ভাবা হয়। সুতরাং মেটাফিজিক্স তথা রুহানিয়াত বিষয়েও তাদেরকে অনুসরণীয় মনে করা হয়।
এক শাস্ত্রের দক্ষকে প্রত্যেক শাস্ত্রে দক্ষ মনে করা
এক বিষয়ে দক্ষ ব্যক্তিকে প্রত্যেক বিষয়ে দক্ষ মনে করা, এটা বড় ভুল। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, দক্ষিণ আফ্রিকার আহমদ দিদাত। তিনি খ্রিস্টবাদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট কাজ করেছেন। তার হাতে অসংখ্য খ্রিস্টান মুসলিম হয়েছে। অনুরূপভাবে ডা. জাকির নায়েক। তিনি যখন খ্রিস্টবাদ বিষয়ে বিশ্বজোড়া ব্যাপক খ্যাতি লাভ করেছেন, তখন সবাই ভাবতে লাগলো এবং তিনি নিজেও ভেবে নিয়েছেন যে, তিনি সব বিষয়ে দক্ষ। খ্রিস্টবাদ বিষয়ে তিনি যেমন দক্ষ, হাদিস, ফিকহ ও দর্শন বিষয়েও তিনি দক্ষ। তদ্রƒপ পশ্চিমাদের সাথেও এই আচরণ করা হচ্ছে। তারা বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে দক্ষ হয়ে ওঠেছে, তাই অন্য বিষয়েও তাদেরকে দক্ষ ভাবা হচ্ছে। রুহানিয়াত বিষয়েও তাদেরকে দক্ষ মনে করা হচ্ছে। একজন দক্ষ কারিগর। যিনি গাড়ি তৈরি করেন। তাই বলে কি তিনি সব বিষয়ে অনুসরণীয় হয়ে যাবেন? দর্শন ও রুহানিয়াত বিষয়েও কি তাকে দক্ষ বলা হবে? তিনি যাই বলবেন, সব সত্য হয়ে যাবে? আমাদের যে শিক্ষাব্যবস্থা। এই শিক্ষাব্যবস্থা আমাদের মস্তিষ্কে এ ধারণাই বসিয়ে দিচ্ছে যে, পশ্চিমারা যা কিছু বলে কিংবা করে সবই সত্য, সবই অনুসরণযোগ্য এবং শ্রেষ্ঠ।
ইসলামের রুহানিয়াত এবং পশ্চিমের বস্তুবাদের মাঝে সমঝোতা
এখন মুসলমানদের উচিত ছিল, পশ্চিমাদেরকে এ কথা বলা যে, ভাই! তোমরা তো অনেক বড় কারিগর। তোমরা অনেক কিছুই আবিষ্কার করছ। প্রযুক্তি বিষয়ে তোমরা অনেক দক্ষ। কিন্তু রুহানিয়াত বিষয়ে তোমরা দক্ষ নও। তোমরা বস্তু বিষয়ে দক্ষ। রুহানিয়াত তো আমাদের কাছে আছে। আমাদের কুরআনে আছে, হাদিস আছে। আমাদের জ্ঞান-বিজ্ঞানে রুহ আছে। সুতরাং রুহ তোমরা আমাদের কাছ থেকে অর্জন করো। আর আমরা তোমাদের কাছ থেকে বস্তু অর্জন করি। যদি তাদের সাথে এ ধরনের সমঝোতা হতো, তাহলে পুরো বিশ্ব নিরাপত্তার নীড় হয়ে যেতো। কিন্তু মুসলমান এ কাজ না করে উল্টোটা করলো। তারা বললো, ভাই! তোমরা তো জবরদস্ত কারিগর। তোমরাই অনুসরণযোগ্য। তোমাদের পোশাকও অনুসরণীয়; চাই তা দিয়ে সতর দেখা যাক। তোমাদের জীবন-যাপন পদ্ধতিও অনুসরণীয়; চাই সেটা আমাদের সুন্নাতের বিপরীত হোক না কেন। তোমাদের চিন্তাধারা-দর্শনও অনুসরণীয়; কেননা, এই দর্শন দিয়ে তোমরা উন্নতির শিখরে পৌঁছে গেছো। এই মোল্লা-মৌলভিরা যা বলে, তাদের না দুনিয়ার খবর আছে, না টেকনোলজির কোনো দক্ষতা আছে, না তাদের অগ্রসরমান কোনো নতুন চিন্তা-চেতনা আছে। কাজেই তারা বিসমিল্লাহর গম্বুজে বসে যে সবক পড়ায়, তাদেরকে পড়াতে দাও। সাধারণ জীবন যাপনে তাদের কোনো অবদান নেই। কার্যত এমনই সুরতহাল উম্মতের মাঝে তৈরি হয়ে গেছে।
হীনমন্যতায় ডুবে আছে মুসলমান
বর্তমান সময়ের ফিতনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় ফিতনা হচ্ছে, পশ্চিমা ফিতনা। এবং এই ফিতনা থেকেই নানান রকমের সমস্যা তৈরি হচ্ছে, যেগুলো মানুষকে ইলহাদের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। নাস্তিক্যবাদের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। যে সকল যুবক আগে লজ্জায় পড়ে হলেও নিজেকে মুসলিম পরিচয় দিতো, তারা এখন প্রকাশ্যে নিজেকে নাস্তিক পরিচয় দিচ্ছে। এতে তারা গর্ববোধও করছে। প্রতি বছর হাজারো আলেম দ্বীনি মাদারিস থেকে বের হচ্ছেন। কিন্তু তাদের মধ্যে কজন এমন আছেন, যে পশ্চিমাদের ফিতনার সয়লাবের উপর বাঁধ নির্মাণ করার যোগ্যতা রাখবেন। যদি সত্য বলা হয়, তাহলে বলতে হবে, উলামাদের মধ্যেও অনেকে এমন আছেন, যারা পশ্চিমাদের মোকাবেলায় নিজের মধ্যে হীনমন্যতার শিকার।
পশ্চিমা সয়লাব ও আমাদের গাফিলতি
পশ্চিমা সয়লাব আমাদেরকে এ পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দিয়েছে যে, হীনমন্যতা আমাদের ভেতরে চেপে বসেছে। আফসোস হয়! আমাদের ভেতর কতো দল-উপদলে আমরা বিভক্ত! আহলে হাদিস ফিরকা, বেরেলভী ফিরকা। খোদ দেওবন্দীদের মধ্যেও হায়াতি, মামাতি দল রয়েছে। তাদের পারস্পরিক ঝগড়া এই সয়লাব থেকে চোখ বন্ধ করে আছে। এই সয়লাব তো পুরো উম্মতের উপর হামলা করার জন্য প্রস্তুত। কে দেওবন্দী, কে আহলে হাদীস, কে বেরেলভী তা দেখবে না। এই ফিতনা সবাইকে তার আয়ত্তে নিয়ে আসবে। সুতরাং পশ্চিমা এই ফিতনা সম্পর্কে আমাদের সচেতন হতে হবে। আমাদের তালিবুল ইলমদের কমপক্ষে এতটুকু ধারণা রাখতে হবে, যাতে করে তারা জানতে পারে, পশ্চিমাদের ফিতনার গোড়া কোথায়? কোথা থেকে এই ফিতনার শুরু। কোন জিনিস থেকে এই ফিতনা বিশ্বব্যাপী ছেয়ে গেছে এবং সেখানে কী কী গোমরাহী আছে? গোমরাহীর দরজাগুলো আমাদের চিহ্নিত করতে হবে, যেগুলোর মাধ্যমে এই সয়লাব আমাদের সমাজে বিস্তার লাভ করছে। এভাবে মুসলিম উম্মাহ যদি সচেতন না হন, তাহলে এই পশ্চিমা ফিতনার স্রোতের অতলে আমাদের ঈমান-আকীদা বিলীন হয়ে যাবে। আল্লাহ আমাদের ক্ষমা ও সাহায্য করুন। আমিন।
[মূল উর্দু থেকে সংক্ষেপিত]
ভাষান্তর- মুফতি ইসহাক ওমর কাসেমী
শিক্ষক- জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম হাটহাজারী ও সহকারী সম্পাদক- মাসিক মুঈনুল ইসলাম।
#মাসিক মুঈনুল ইসলাম/এমএ
মাসিক মুঈনুল ইসলাম পড়তে ক্লিক করুন-
https://mueenulislam.com/