পাশ্চাত্য শিক্ষা বনাম কওমি শিক্ষা (২)


।। শায়খুল হাদীস আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুক ।।

[পূর্ব প্রকাশিতের পর]

কওমি শিক্ষাই আমাদের শিক্ষার মূলধারা
আল্লাহ তাআলা এই শিক্ষাকে আমাদের জন্য নির্ধারণ করেছেন। এই শিক্ষা দিয়ে তিনি রাসূল (সা.)কে প্রেরণ করেছেন। এই শিক্ষার মধ্যেই আলো, মানবতা ও জাতীয়তা। এই শিক্ষার মাধ্যমেই আল্লাহ তাআলাকে জানা যায় এবং রাসূল (সা.)এর পরিচয় লাভ করা যায়। এই শিক্ষাই আমাদের দিশারী, তার মাধ্যমেই দুনিয়া-আখেরাতের মঙ্গল-অমঙ্গল সম্পর্কে অবগত হওয়া যায়। তাই শিক্ষার জগতে এই শিক্ষাই মুসলমানদের শিক্ষার মূলধারা।

১২শত বছর যাবত এই শিক্ষাই মুসলমানদের একক শিক্ষা ছিলো। এই শিক্ষার মাধ্যমেই মুসলমানরা বিশ্ব পরিচালনা করেছেন। অন্যান্য শিক্ষা সহায়ক শিক্ষা; থাকলে খুবই ভালো, না থাকলে ক্ষতি সীমিত।

শিক্ষার বিষয়বস্তু
কওমি শিক্ষার বিষয়বস্তুর সর্বাগ্রে হলো, ঈমান ও আক্বিদা বিশ্বাস। যা কোন জাতির মূল ভিত্তি। শিক্ষা জগতে আক্বিদা-বিশ্বাসের প্রাধান্য যুক্তিসঙ্গত। কারণ, শিক্ষা হলো অজানাকে জানার নাম। সমস্ত অজানার মাঝে সর্বপ্রথম কোন অজানাকে আমার জানতে হবে; তা হলো, আমি অস্তিত্ব লাভ করলাম কেমন করে? এখানেই আমার সৃষ্টিকর্তার পরিচয় বের হয়ে আসবে। মানসম্পন্ন ও যুক্তিযুক্ত শিক্ষা ওই শিক্ষা, যার মাঝে সৃষ্টিকর্তার পরিচয়ের বিষয় প্রাধান্য পায়।

আমাদের কওমি মাদরাসার প্রথম বিষয় আল্লাহকে জানা। অর্থাৎ- আক্বিদা-বিশ্বাসের সাবজেক্ট। কওমি শিক্ষার দ্বিতীয় বিষয় আমার সৃষ্টিকর্তার সাথে আমার সম্পর্ক কী হবে? এই সাবজেক্টের নাম ইবাদত। কওমি শিক্ষার তৃতীয় বিষয় হলো, আমার পরিবারে ও পরিবারের বাইরের লোকজনের সাথে আমার সম্পর্ক ও আচার-আচরণ কী হবে- নির্ধারণ করা। এই সাবজেক্টের নাম আখলাক। কুরআন-হাদীসে এই তিন বিষয় নিয়ে বিভিন্ন আদেশ-নিষেধের আলোচনা করা হয়েছে।

কওমি মাদরাসা শিক্ষার বিষয়বস্তু এগুলোই এবং পরকালে তার ফলাফল কী হবে এসব বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়। অর্থাৎ, মানুষের ভবিষ্যতের অনন্ত অফুরন্ত জীবন কল্যাণকর ও মঙ্গলজনক কেমন করে হবে, তার পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন সম্পর্কে কওমি মাদ্রাসায় শিক্ষা-দীক্ষা দেওয়া হয়।

ঈমান, ইবাদত ও আখলাক এই তিন বিষয় জেনে ইসলামের দিক-নির্দেশনায় যদি কেউ জীবন যাপন করতে পারে, তাহলে তার জন্য পৃথিবীতে শান্তি, কবরের আযাব থেকে মুক্তি, কিয়ামতের দিনের ৫০ হাজার বছরে মহা শান্তি, তারপর অনন্ত অসীম কালের জন্য জান্নাতে রাজকীয় জীবন-যাপনের পুরস্কার লাভ অবধারিত।

লেখার প্রথম অংশ পড়ুন- পাশ্চাত্য শিক্ষা বনাম কওমী শিক্ষা

আর যদি কেউ এই তিন বিষয় না জানে এবং ইসলামের দিকনির্দেশনায় জীবন-যাপন না করতে পারে, তাহলে তার কবর হবে অগ্নিকু-। সর্প ও ফেরেশতাদের আক্রমণ তার উপর চলতে থাকবে চল্লিশ হাজার বছর।

কিয়ামতের দিন কবরের চেয়ে বেশি কষ্টে থাকতে হবে ৫০ হাজার বছর। অতঃপর কোটি কোটি বছর থাকতে হবে জাহান্নামে। সেখানে এমপি-মন্ত্রী, দারোয়ান, শিল্পপতি ও ভিক্ষুকের মাঝে কোন ফরক থাকবে না।

পক্ষান্তরে জেনারেল শিক্ষায় জীবনের জরুরি ও প্রয়োজনীয় বিষয়বস্তু নিয়ে কোন আলোচনা নেই। এখানে বাসন-বাটি, জামা-কাপড় ও ঔষধপত্র প্রভৃতি বস্তু তৈরির শিক্ষা দেওয়া হয় এবং রুজি রোযগারের জন্য চাকরি-নওকরির কৌশল শেখানো হয়।

বাইসাইকেল চালানোর ট্রেনিং আর বিমান চালানোর ট্রেনিং উভয়টাই ট্রেনিং। তবে মান মর্যাদা, দায়িত্ব ও ফলাফলের দিক দিয়ে উভয়ের মাঝে আকাশ পাতালের ব্যবধান।

ঠিক তদ্রুপ কওমি মাদরাসার শিক্ষাও শিক্ষা, জেনারেল শিক্ষাও শিক্ষা। কিন্তু মান-মর্যাদা, দায়িত্ব ও ফলাফলের দিক দিয়ে উভয়টার মধ্যে আকাশ-পাতালের ফরক রয়ে গেছে। আল্লাহ তাআলা উভয়ের পার্থক্যকে কুরআন মাজিদে তুলে ধরেছেন এইভাবে-

قل هل يستوي الاعمیٰ والبصير أم هل تستوي الظلمات والنور
অর্থাৎ- বলুন, অন্ধ ও চক্ষু ওয়ালা সমান হয়? অথবা অন্ধকার ও আলো কি সমান হয়?

আরো ইরশাদ করেন-
امن هو قانت آناء الليل ساجدا وقائما يحذر الآخرة ويرجوا رحمة ربه قل هل يستوي الذين يعلمون والذين لايعلمون.إنما يتذكر اولوا الالباب
অর্থাৎ- যে ব্যক্তি রাত্রিকালে সিজদার মাধ্যমে অথবা দাঁড়িয়ে ইবাদত করে, পরকালের আশঙ্কা রাখে এবং তার পালনকর্তার রহমত প্রত্যাশা করে, সে কি তার সমান, যে এরূপ করে না? বলুন, যারা জানে আর যারা জানে না, তারা কি সমান হতে পারে? চিন্তা ভাবনা তারাই করে যারা বুদ্ধিমান। (সূরা যুমার, ৯ আয়াত)।

উল্লিখিত আয়াতদ্বয়ে কুরআন-সুন্নাহর শিক্ষায় শিক্ষিতদের অর্থাৎ, কওমি শিক্ষায় শিক্ষিতদের আল্লাহ তাআলা দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন, আলো, ইবাদতকারী, শিক্ষিত ও বুদ্ধিমান বলে আখ্যায়িত করেছেন।

শিক্ষার উদ্দেশ্য
পাশ্চাত্য শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো টাকা পয়সা রুজি-রোযগার করে চল্লিশ পঞ্চাশ বছর স্বাচ্ছন্দে জীবনযাপন করা।

কিন্তু জীবনযাপনকে উদ্দেশ্য করে শিক্ষা লাভ করা অযৌক্তিক ও বিবেক বহির্ভূত। কারণ, আদম (আ.) থেকে নিয়ে অদ্যাবধি হাজার হাজার কোটি মানুষ শিক্ষা ছাড়াই যদি খেয়ে পরে পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়, আর বর্তমানে পৃথিবীর সংখ্যাগরিষ্ঠ লোক শিক্ষা ছাড়াই জীবন যাপন করছে, তাহলে আমরাও খেয়ে-পরে পৃথিবী থেকে বিদায় নিবো। তাই থাকা-খাওয়াকে শিক্ষার উদ্দেশ্য বানানো হাস্যকর ব্যাপার।

কওমি শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো, আমাদের সৃষ্টিকর্তা ও আমাদের রিযিকদাতা আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন করা। যাতে করে ভবিষ্যতের কোটি কোটি বছরের বিপদমুক্ত হয়ে রাজকীয় জীবন অর্জন করতে পারি।

যদি এই উদ্দেশ্যে ছাত্ররা শিক্ষা লাভ করে, তাহলে যত সময় সে শিক্ষা অর্জনে ব্যস্ত থাকবে, তাকে ইবাদতে ব্যস্ত বলে গণ্য করা হবে। এই রাস্তায় সে মারা গেলে শাহাদাতের মর্যাদা পাবে এই শিক্ষা অর্জন ইবাদত। তাই কেউ যদি মান মর্যাদা ও চাকরি-নওকরির উদ্দেশ্যে এই শিক্ষা লাভ করে, তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
من تعلم علما ممايبتغي به وجه الله لايتعلمه الا ليصيب به عرضا من الدنيا لم يجد عرف الجنة يوم القيامة يعني ريحها
অর্থাৎ, যে শিক্ষা দ্বারা আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভ করা হয়, এই শিক্ষাকে কেউ যদি দুনিয়া কামানো বা মান মর্যাদার জন্য লাভ করে, তবে সে কেয়ামত দিবসে জান্নাতের গন্ধও পাবে না। (আবু দাউদ, ৩৬৬৪)।

যেহেতু, দ্বীনি শিক্ষা অর্জন ইবাদত, তাই এই ইবাদত শুধু আল্লাহর জন্য হতে হবে। লেশ মাত্র অন্য কোন উদ্দেশ্য যদি অন্তরে থাকে, তবে আল্লাহ তাআলা এই ইবাদতকে কবুল করবেন না। কেননা, আল্লাহ তাআলা শেয়ারে ইবাদত কবুল করেন না।

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
وجعلوا لله من ما ذرء من الحرث والانعام نصيبا فقالوا هذا لله بزعمهم وهذا لشركائنا فما كان لشركائهم فلا يصل الى الله وما كان لله فهو يصل الى شركائهم ساء ما يحكمون.
অর্থাৎ- আল্লাহ যে সব শস্য ক্ষেত্র ও জীবজন্তু সৃষ্টি করেছেন, সেগুলো থেকে তারা এক অংশ আল্লাহর জন্য নির্ধারণ করে। অতঃপর নিজ ধারণা অনুসারে বলে, এটা আল্লাহর এবং এটা আমাদের অংশীদারদের। অতঃপর যে অংশ তাদের অংশীদারদের তা তো আল্লাহর দিকে পৌঁছে না এবং যা আল্লাহর তা তাদের উপাস্যদের দিকে পৌঁছে যায়। তাদের বিচার কতই না মন্দ। (সূরা আনআম, ১৩৬ আয়াত)।

যখন এই শিক্ষার উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ, তাই এই শিক্ষাকে কোন সরকারের স্বীকৃতি দান করা আর না করার মধ্যে কোন তফাৎ নেই। কারণ, আল্লাহর সন্তুষ্টির সাথে স্বীকৃতির কোন সম্পর্ক নেই; বরং ডায়াবেটিস রোগীর জন্য মিষ্টি যেভাবে ক্ষতিকর, কওমি শিক্ষার জন্য সরকারি স্বীকৃতি অনুরূপ ক্ষতিকর। কারণ, এই স্বীকৃতি অনেক ছাত্রের নিয়তকে নষ্ট করে দেবে। তখন তো এই ছেলের জীবনটাই নষ্ট হয়ে যাবে।

আল্লাহ তাআলা আমাদের শিক্ষা অর্জন কবুল করুক এবং স্বীকৃতির অভিশাপ থেকে আমাদের হেফাজত করুক। আমিন!

শিক্ষার মান মর্যাদা
আল্লাহ তাআলার মর্যাদা সমস্ত সৃষ্টির উপর; তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই; বরং মাখলুকাতের মধ্যে যার যত মর্যাদা ও সম্মান, তা তিনিই দান করেছেন। তিনিই মান-মর্যাদার উৎস।

قل اللهم مالك الملك تؤتي الملك من تشاء ، وتَنْزِع الملك ممن تشاء ، وتُعِزّ مَن تشاء ، وتُذِلّ من تشاء ، بيدك الخير إنك على كل شيء قدير
অর্থাৎ- বলুন, ইয়া আল্লাহ তুমিই সার্বভৌম শক্তির অধিকারী। তুমি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান করো এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজ্য ছিনিয়ে নাও এবং যাকে ইচ্ছা সম্মান দান করো, আর যাকে ইচ্ছা অপমানে পতিত কর। তোমার হাতে রয়েছে যাবতীয় কল্যাণ। নিশ্চয়ই তুমি সর্ববিষয়ে ক্ষমতাশীল। (সূরা আলে ইমরান, ২৬ আয়াত)।

আরও পড়তে পারেন-

আল্লাহ যেভাবে মর্যাদাশীল, তাঁর প্রেরিত শিক্ষাও মর্যাদাশীল। তাছাড়া এই শিক্ষার মান মর্যাদার আরো বহুবিদ কারণ রয়েছে।

১. শুধু এই শিক্ষাকেই আল্লাহ তাআলা নূর বলেছেন-
ياآيها الناس قدجاءكم برهان من ربكم وانزلنا اليكم نورا مبينا

২. এই শিক্ষার অনুসরণকারীকে আল্লাহ মুফলিহুন কল্যাণকামী বলেছেন-
فالذين آمنوا به وعزروه ونصروه واتبعوا النور الذي انزل معه أولئِك هم المفلحون*
কিন্তু পাশ্চাত্য শিক্ষার অনুসারীকে আল্লাহ তাআলা কল্যাণকামী বলেননি।

৩. এই শিক্ষার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি পাওয়া যায়, পাশ্চাত্য শিক্ষায় আল্লাহর সন্তুষ্টির কোন ওয়াদা নেই।

৪. এই শিক্ষা ব্যতীত হালাল-হারাম জানার বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই।

৫. এই শিক্ষা ব্যতীত আল্লাহর মর্জি মতো জীবনযাপনের বিকল্প কোন রাস্তা নেই, পাশ্চাত্য শিক্ষায় জীবনযাপনের কোনো কর্মসূচি নেই।

৬, এ শিক্ষাকে হিদায়াত বলা হয়েছে, অন্য কোন শিক্ষা হিদায়াত নয়।
ذالك الكتاب لاريب فيه هدی للمتقين

৭. এই শিক্ষা নবীওয়ালা শিক্ষা।
৮. এই শিক্ষা সাহাবাদের শিক্ষা।
৯. এই শিক্ষা পীর-আউলিয়াদের শিক্ষা।
১০. এই শিক্ষার দ্বারা আদর্শ মানুষ তৈরি হয়।
১১. রাসূল (সা.) এই শিক্ষার ফযীলত বর্ণনায় ইরশাদ করেছেন-
ومن سلك طريقا يلتمس فيه علما سهل الله له طريقا به إلى الجنةগ্ধ (رواه مسلم)
অর্থাৎ- যে দ্বীনি শিক্ষা লাভ করতে চলবে, আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতের রাস্তায় চালাবেন। (মুসলিম)।

১২. وان الملائكة لتضع اجنحتها رضا لطالب العلم
ফেরেশতাগণ এই শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে তাদের ডানা বিছিয়ে দেন।
১৩. وان العالم يستغفرله من في السماوات والارض حتي الحيتان في جوف الماء
পানির মৎস্যসহ ভূম-ল ও নভোম-লের সব কিছু উলামাদের মাগফিরাতের দুআ করে।
১৪. وان فضل العالم علی العابد كفضل القمر ليلة البدر علی سائرالكواكب
পূর্ণিমার চাঁদের, তারকা-রাজির উপর যে প্রাধান্য, আবেদের উপর আলেমের সেই প্রাধান্য।

১৫. وان فضل العالم علي العابد كفضلي علي ادناكم
তোমাদের সাধারণ একজনের মর্যাদার উপর আমার মর্যাদার যে তফাত, আবেদের উপর আলেমের মর্যাদার সেরূপ তফাত।
১৬. وان العلماء ورثة الانبياء
উলামাগণ আম্বিয়াদের উত্তরসূরী।
১৭. من يردالله خيرا يفقهه في الدين
আল্লাহ তাআলা যার কল্যাণ চান, তাঁকে দ্বীনি শিক্ষায় বিচক্ষণতা দান করেন।

১৮. وما اجتمع قوم في بيت من بيوت الله يتلون كتاب الله ويتدارسونه بينهم الانزلت عليهم السكينة
যে মজলিসে কুরআন মাজিদের তিলাওয়াত ও শিক্ষা দান করা হয় সেখানে রহমত-বরকত অবতীর্ণ হয়।
১৯. وغشيتهم الرحمة
এবং আল্লাহর রহমত এই মজলিসকে বেষ্টন করে নেয়।
২০. وحفتهم الملائكة
এবং ফেরেস্তাগণ চতুর্দিকে তাদেরকে ঘিরে রাখে।
২১. فقيه واحد اشد علي الشيطان من الف عابد
একজন বিচক্ষণ আলেম শয়তানের বিরোধিতায় হাজারো আবেদের চেয়ে শক্ত ও উত্তম।
ইলমের মান মর্যাদা সম্পর্কে মুসলিম ও অমুসলিম স্কলারদের হাজারো মন্তব্য হয়েছে। [চলবে]

লেখক: প্রবীণ আলেমে-দ্বীন, শায়খুল হাদীস, জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা, ঢাকা।

#মাসিক মুঈনুল ইসলাম/এমএ

মাসিক মুঈনুল ইসলাম পড়তে ক্লিক করুন-
https://mueenulislam.com/

ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা ও মাসআলা-মাসায়েলবিষয়ক লেখা পেতে ‘মাসিক মুঈনুল ইসলাম-এর ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।