।। আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন ।।
মহান আল্লাহ সূরা ত্ব-হার ৮৩-৮৯নং আয়াতে ইরশাদ করেন
وَ مَاۤ اَعۡجَلَکَ عَنۡ قَوۡمِکَ یٰمُوۡسٰی ﴿۸۳﴾ قَالَ هُمۡ اُولَآءِ عَلٰۤی اَثَرِیۡ وَ عَجِلۡتُ اِلَیۡکَ رَبِّ لِتَرۡضٰی ﴿۸۴﴾ قَالَ فَاِنَّا قَدۡ فَتَنَّا قَوۡمَکَ مِنۡۢ بَعۡدِکَ وَ اَضَلَّهُمُ السَّامِرِیُّ ﴿۸۵﴾ فَرَجَعَ مُوۡسٰۤی اِلٰی قَوۡمِهٖ غَضۡبَانَ اَسِفًا ۬ۚ قَالَ یٰقَوۡمِ اَلَمۡ یَعِدۡکُمۡ رَبُّکُمۡ وَعۡدًا حَسَنًا ۬ؕ اَفَطَالَ عَلَیۡکُمُ الۡعَهۡدُ اَمۡ اَرَدۡتُّمۡ اَنۡ یَّحِلَّ عَلَیۡکُمۡ غَضَبٌ مِّنۡ رَّبِّکُمۡ فَاَخۡلَفۡتُمۡ مَّوۡعِدِیۡ ﴿۸۶﴾ قَالُوۡا مَاۤ اَخۡلَفۡنَا مَوۡعِدَکَ بِمَلۡکِنَا وَ لٰکِنَّا حُمِّلۡنَاۤ اَوۡزَارًا مِّنۡ زِیۡنَۃِ الۡقَوۡمِ فَقَذَفۡنٰهَا فَکَذٰلِکَ اَلۡقَی السَّامِرِیُّ ﴿ۙ۸۷﴾ فَاَخۡرَجَ لَهُمۡ عِجۡلًا جَسَدًا لَّهٗ خُوَارٌ فَقَالُوۡا هٰذَاۤ اِلٰـهُکُمۡ وَ اِلٰهُ مُوۡسٰی ۬ فَنَسِیَ ﴿ؕ۸۸﴾ اَفَلَا یَرَوۡنَ اَلَّا یَرۡجِعُ اِلَیۡهِمۡ قَوۡلًا ۬ۙ وَّ لَا یَمۡلِکُ لَهُمۡ ضَرًّا وَّ لَا نَفۡعًا ﴿۸۹﴾
অনুবাদ: (৮৩) ‘হে মূসা! তোমার সম্প্রদায়কে পেছনে ফেলে (তুর পাহাড়ে আসতে) তুমি জলদি করলে কেনো?’
(৮৪) মূসা বলল, ‘এই তো তারা আমার পদচিহ্ন ধরে আসছে, আমি আপনার কাছে জলদি এলাম, হে আমার প্রতিপালক! যাতে আপনি সন্তুষ্ট হন’।
(৮৫) তিনি বললেন, ‘তোমার অনুপস্থিতিতে আমি তোমার সম্প্রদায়কে পরীক্ষা করেছি আর সামিরী তাদেরকে গোমরাহ করেছে।
(৮৬) তখন মূসা রাগে-দুঃখে তার জাতির কাছে ফিরে গেল। সে বলল, ‘হে আমার জাতি! তোমাদের প্রতিপালক কি তোমাদের সঙ্গে ওয়াদা করেননি, এক উত্তম ওয়াদা। ওয়াদা (পূরণের সময় আসতে) কি তোমাদের নিকট সুদীর্ঘ মনে হয়েছে, নাকি তোমরা চেয়েছো যে, তোমাদের প্রতি তোমাদের প্রতিপালকের শাস্তি নেমে আসুক, যে কারণে তোমরা আমার কাছে দেওয়া তোমাদের ওয়াদা ভঙ্গ করলে?’
(৮৭) তারা বলল, ‘আমাদের সাধ্য থাকা পর্যন্ত আমরা তোমার প্রতি দেওয়া ওয়াদা ভঙ্গ করিনি, কিন্তু আমাদের উপর লোকদের অলংকারের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল, আর আমরা তা নিক্ষেপ করেছিলাম (আগুনে), এমনিভাবে সামিরীও নিক্ষেপ করেছিল।
(৮৮) তখন সে (আগুন থেকে) গো-বৎসের প্রতিকৃতি বের করল, মনে হতো সেটা যেন হাম্বা রব করছে। অতঃপর তারা বলল, ‘এটাই তোমাদের ইলাহ আর মূসারও ইলাহ, কিন্তু মূসা ভুলে গেছে।
(৮৯) তারা কি দেখে না যে, এটা তাদের কোন কথার জবাব দিতে পারে না, আর তাদের কোন ক্ষতি বা উপকার করার ক্ষমতাও রাখে না?
ব্যাখ্যা: (৮৩-৮৫) হে মূসা! আপনার সম্প্রদায়কে পেছনে ফেলে আপনাকে তাড়াহুড়ো করতে বাধ্য করল কে? তিনি বললেন, তারা তো আমার পেছনেই আছে।
আল্লাহ তাআলার উল্লিখিত প্রশ্নের জবাবে মূসা আলাইহিস সালাম বললেন, আমার সম্প্রদায়ও পেছনে পেছনে আছে। এখানে ‘তারা আমার পেছনে’ বলে কারও কারও মতে বুঝানো হয়েছে যে, তারা আমার পেছনেই আমাকে অনুসরণ করে আসছে। অপর কারও কারও মতে, তারা আমার পেছনে আমার অপেক্ষায় আছে। (দেখুন, ফাতহুল কাদীর)। কোন কোন মুফাসসির বলেন, এখানে কাওমের সত্তর জন লোকের কথা বলা হচ্ছে যাদেরকে মূসা আলাইহিস সালাম সাক্ষী হিসেবে নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু পর্বতের কাছাকাছি এসে তিনি তাদেরকে রেখে আল্লাহর কথা শোনার আগ্রহে তাড়াতাড়ি এসে পড়েছিলেন। (বাগভী)। অথবা আমি একটু দ্রুত এসে গেছি। কারণ, নির্দেশ পালনে অগ্রে অগ্রে থাকা নির্দেশদাতার অধিক সন্তুষ্টির কারণ হয়ে থাকে। আপনাকে খুশী করার জন্যই আমি তাড়াতাড়ি এসেছি।
আরও পড়তে পারেন-
- নূপুর শর্মা, হেট স্পিচ ও বাকস্বাধীনতা
- রাসূলুল্লাহ (সা.)এর সাথে হযরত আয়েশা (রাযি.)এর সংসার ও দাম্পত্য জীবন
- প্রাকৃতিক দুর্যোগঃ ইসলাম কী বলে?
- আল্লাহর অসীম কুদরত ও মহিমা আত্মোপলব্ধির উৎকৃষ্ট উপায়
- যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আলেম সমাজের প্রস্তুতি
আর হে আমার রব! আমি তাড়াতাড়ি আপনার কাছে আসলাম, আপনি সন্তুষ্ট হবেন এ জন্য।
তিনি বললেন, আমরা তো আপনার সম্প্রদায়কে পরীক্ষায় ফেলেছি আপনার চলে আসার পর। আর সামেরী তাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছে।
কোন কোন মুফাসসির বলেন, সামেরী কোন ব্যক্তির নাম নয়; বরং সে সময় সামেরী নামে এক গোত্র ছিল এবং তাদের এক বিশেষ ব্যক্তি ছিল বনি ইসরাঈলের মধ্যে স্বর্ণ নির্মিত গো-বাছুর পূজার প্রচলনকারী এ সামেরী। সে তাদেরকে গো-বাছুর পূজার আহ্বান জানিয়েছিল এবং শিরকে নিপতিত করেছিল। (ফাতহুল কাদীর)।
(৮৬) অতঃপর মূসা তার সম্প্রদায়ের কাছে ফিরে গেলেন ক্রুদ্ধ ও ক্ষুব্ধ হয়ে। এ বাক্য থেকে বুঝা যাচ্ছে, নিজ সম্প্রদায়কে পেছনে রেখে মূসা আলাইহিস সালাম আল্লাহর সাথে মোলাকাতের আগ্রহের আতিশয্যে আগে চলে গিয়েছিলেন। তুরের ডান পাশে যেখানকার ওয়াদা বনি ইসরাঈলদের সাথে করা হয়েছিল। সেখানে তখনো কাফেলা পৌঁছতে পারেনি। ততক্ষণে মূসা একাই রওয়ানা হয়ে আল্লাহর সামনে হাজিরা দিলেন। এ সময় আল্লাহ ও বান্দার সাথে যা ঘটে তার বিস্তারিত বিবরণ দেয়া হয়েছে সূরা আল-আরাফের ১৪৩-১৪৫নং আয়াতে। মূসা (আ.)এর আল্লাহ তাআলার সাথে সাক্ষাতের আবেদন জানানো এবং আল্লাহর একথা বলা যে, আপনি আমাকে দেখতে পারবেন না। তারপর আল্লাহর একটি পাহাড়ের উপর সামান্য তাজাল্লি নিক্ষেপ করে তাকে ভেঙে গুঁড়ো করে দেওয়া এবং মূসার বেহুঁশ হয়ে পড়ে যাওয়া, তারপর পাথরের তখতিতে লেখা বিধান লাভ করা- এসব সেই সময়েরই ঘটনা। এখানে এ ঘটনার শুধুমাত্র বনি ইসরাঈলের গো-বাছুর পূজার সাথে সম্পর্কিত অংশটুকুই বর্ণনা করা হয়েছে।
তিনি বললেন, হে আমার সম্প্রদায়! তোমাদের রব কি তোমাদেরকে এক উত্তম প্রতিশ্রুতি দেননি। এর দুটি অর্থ হতে পারে- এক, ভালো ওয়াদা করেননিও হতে পারে। তখন অর্থ হবে, তোমাদেরকে শরীয়ত ও আনুগত্যনামা দেওয়ার যে ওয়াদা করা হয়েছিল তোমাদের মতে তা কি কোন কল্যাণ ও হিতসাধনের ওয়াদা ছিল না? মূলত, এই ওয়াদার জন্যই তিনি বনি-ইসরাঈলকে নিয়ে তুর পর্বতের দক্ষিণ পার্শ্বে রওয়ানা হয়েছিলেন। সেখানে পৌঁছার পর আল্লাহর পক্ষ থেকে তাওরাত প্রাপ্তির কথা ছিল। বলাবাহুল্য, তাওরাত লাভ করলে বনি-ইসরাইলের দুনিয়া ও আখেরাতের মঙ্গল এসে যেত। (কুরতুবী, ফাতহুল কাদীর)।
দ্বিতীয় অর্থ হচ্ছে, আজ পর্যন্ত তোমাদের রব তোমাদের সাথে যেসব কল্যাণের ওয়াদা করেছেন তার সবই তোমরা লাভ করে এসেছো। তোমাদের নিরাপদে মিসর থেকে বের করেছেন। দাসত্ব মুক্ত করেছেন। তোমাদের শত্রুকে তছনছ করে দিয়েছেন। তোমাদের জন্য তাই মরুময় ও পার্বত্য অঞ্চলে ছায়া ও খাদ্যের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এ সমস্ত ভালো ওয়াদা কি পূর্ণ হয়নি? (ইবনে কাসীর)।
তবে কি প্রতিশ্রুতিকাল তোমাদের কাছে সুদীর্ঘ হয়েছে? এর দু’টি অর্থ হতে পারে। এক; তোমাদের নিকট কি দিনগুলো দীর্ঘতর মনে হয়েছে। অর্থাৎ তোমাদের প্রতি আল্লাহ তাআলা এই মাত্র যে বিরাট অনুগ্রহ করেছেন, এরপর কি অনেক বেশি সময় অতীত হয়ে গেছে যে, তোমরা তাঁকে ভুলে গেলে? তোমাদের বিপদের দিনগুলো কি সুদীর্ঘকাল আগে শেষ হয়ে গেছে যে, তোমরা পাগলের মতো বিপথে ছুটে চলেছো? দ্বিতীয় অনুবাদ এও হতে পারে, ওয়াদা পূর্ণ হতে কি অনেক বেশি সময় লাগে যে, তোমরা অধৈর্য হয়ে পড়েছো? অর্থাৎ- তাওরাত প্রদানের মাধ্যমে পথনির্দেশনা দেওয়ার যে ওয়াদা করা হয়েছিল তা পূর্ণ হতে তো কোন প্রকার বিলম্ব হয়নি, যাকে তোমরা নিজেদের জন্য ওজর বা বাহানা হিসেবে দাঁড় করাতে পারো। (ইবনে কাসীর)।
না তোমরা চেয়েছো তোমাদের প্রতি আপতিত হোক তোমাদের রবের ক্রোধ। অর্থাৎ- ভুলে যাওয়ার অথবা অপেক্ষা করে ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার তো কোন সম্ভাবনা নেই; এখন এ ছাড়া আর কী বলা যায় যে, তোমরা নিজেরাই স্বেচ্ছায় এমন কাজ করতে চেয়েছো- যা তোমাদের রবের ক্রোধের উদ্রেক করবে? (ফাতহুল কাদীর)।
যে কারণে তোমরা আমাকে দেয়া অঙ্গীকার ভঙ্গ করলে? এ ওয়াদা হচ্ছে, তিনি তুর থেকে ফিরে আসা পর্যন্ত আল্লাহর আনুগত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা। অথবা তাদের কাছ থেকে তিনি ওয়াদা নিয়েছিলেন যে, তোমরা আমার পেছনে পেছনে আসো, কিন্তু তারা না এসে সেখানেই অবস্থান করে। (ফাতহুল কাদীর)।
(৮৭) তারা বলল, আমরা আপনাকে দেওয়া অঙ্গীকার স্বেচ্ছায় ভঙ্গ করিনি। উদ্দেশ্য এই যে, আমরা গো-বৎস পূজায় স্বেচ্ছায় লিপ্ত হইনি; বরং সামেরীর কাজ দেখে বাধ্য হয়েছি। বলাবাহুল্য, তাদের এই দাবি সর্বৈব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। (ইবন কাসীর)। সামেরী অথবা তার কর্ম তাদেরকে বাধ্য করেনি, বরং তারা নিজেরাই চিন্তা-ভাবনার অভাবে তাতে লিপ্ত হয়ে পড়ে। তবে এটা সত্য যে, সামেরী তাদের গো-বাছুর পূজার কারণ ছিল।
তবে আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল লোকের অলংকারের বোঝা। তাই আমরা তা আগুনে নিক্ষেপ করি। যারা সামেরীর ফিতনায় জড়িয়ে পড়েছিল এটি ছিল তাদের ওজর। তাদের বক্তব্য ছিল, আমরা অলংকার ছুঁড়ে দিয়েছিলাম। এরপর যা ঘটেছে তা আসলে এমন ব্যাপারই ছিল যে, সেগুলো দেখে জাতির পথভ্রষ্ট লোকেরা বলতে লাগল যে, এটাই ইলাহ। অনুরূপভাবে সামেরীও সেখানে কিছু মাটি নিক্ষেপ করে। (ইবনে কাসীর)।
(৮৮) অতঃপর সে তাদের জন্য গড়লো এক বাছুর, এক অবয়ব, যা হাম্বা রব করত। তখন তারা বলল, এ তোমাদের ইলাহ এবং মূসারও ইলাহ, অতঃপর সে (মূসা) ভুলে গেছে।
এর কয়েকটি অর্থ হতে পারে। এক. মূসা নিজেই তার ইলাহকে ভুলে দূরে খুঁজতে চলে গেছে। দুই. মূসা ভুলে গেছে তোমাদেরকে বলতে যে, এটাই তার ইলাহ। তিন. সামেরী ভুলে গেল যে সে এক সময় ইসলামে ছিল, অতঃপর সে ইসলাম ছেড়ে শিরকে প্রবেশ করল। (ইবনে কাসীর)।
(৮৯) তবে কি তারা দেখে না যে, ওটা তাদের কথায় সাড়া দেয় না এবং তাদের কোন ক্ষতি বা উপকার করার ক্ষমতাও রাখে না?
এ বাক্যে তাদের নির্বুদ্ধিতা ও পথভ্রষ্টতা বর্ণনা করা হয়েছে যে, বাস্তবে যদি একটি গো-বৎস জীবিত হয়ে গরুর মতো আওয়াজ করতে থাকে, তবে এই জ্ঞানপাপীদের এই কথা তো চিন্তা করা উচিত ছিল যে, এর সাথে ইলাহ হওয়ার কী সম্পর্ক? যে ক্ষেত্রে গো-বৎসটি তাদের কথার কোন জবাব দিতে পারে না এবং তাদের কোন উপকার অথবা ক্ষতি করার ক্ষমতা রাখে না, সে ক্ষেত্রে তাকে ইলাহ মেনে নেওয়ার নির্বুদ্ধিতার পেছনে কোন যুক্তি আছে কি? ইবনে আব্বাস (রাযি.) বলেন, এর শব্দ তো আর কিছুই নয় যে, বাতাস এর পেছন দিয়ে ঢুকে সামনে দিয়ে বের হয়। তাতেই আওয়াজ বের হতো। এ মুর্খরা যে ওজর পেশ করেছে তা এতই ঠুনকো ছিল যে, তা যে কোন লোকই বুঝতে পারবে।
তারা কিবতী কাওমের স্বর্ণালংকার থেকে বাঁচতে চেয়ে সেগুলোকে নিক্ষেপ করল, অথচ তারা গো বৎসের পূজা করল। তারা সামান্য জিনিস থেকে বাঁচতে চাইল, অথচ বিরাট অপরাধ করল। (ইবনে কাসীর)। আব্দুল্লাহ ইবনে উমর এর কাছে এক লোক এসে বলল, মশার রক্তের বিধান কী? ইবনে উমর বললেন, তোমার বাড়ি কোথায়? লোকটি বলল, ইরাকের অধিবাসী। তখন ইবনে ওমর বললেন, দেখ ইরাকবাসীদের প্রতি! তারা আল্লাহর রাসূলের মেয়ের ছেলেকে হত্যা করেছে, আর আমাকে মশার রক্ত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছে। (বুখারী- ৫৯৯৪)।
এ আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, যিনি রব ও ইলাহ হবেন তাঁকে অবশ্যই কথা বলার মতো গুণবিশিষ্ট হতে হবে। যার এ গুণ নেই তিনি ইলাহ হওয়ার উপযুক্ত নন। তাই আল্লাহ তাআলাকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত কথাবলার গুণে গুণান্বিত বলে বিশ্বাস করে। এটা এ গুণের স্বপক্ষে একটা দলিল। এটা ছাড়াও কুরআন ও হাদিসে এ বিষয়ে বহু দলিল-প্রমাণাদি রয়েছে।
#মাসিক মুঈনুল ইসলাম/এমএ
মাসিক মুঈনুল ইসলাম পড়তে ক্লিক করুন-
https://mueenulislam.com/