।। আলতাফ পারভেজ ।।
আসামের পত্রপত্রিকা যারা পড়েন এবং সেখানকার সমাজ জীবনের যারা খোঁজখবর রাখেন তারা অবশ্যই জানবেন, সেখানে বাংলাদেশ একটা বড় ইস্যু হয়ে আছে বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ। অসমীয়া শাসক পরিসরে একটা বড় প্রচারণা আছে, বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে মুসলমান ধর্মাবলম্বীরা আসাম যেয়ে ভরে যাচ্ছে। হামেশাই জোরেশোরে বলা হয়, সীমান্ত পেরিয়ে আসা ‘অবৈধ অভিবাসীদের চাপে’ আসামের জনমিতি বদলে যাচ্ছে। কিন্তু আসামের অর্থনীতি ও বাংলাদেশের অর্থনীতির তুলনামূলক চিত্র বাংলাদেশ থেকে বড় আকারে অভিবাসনের ধারণা কতটা সমর্থন করে?
আসাম ভারতের অন্যতম দরিদ্র প্রদেশ। উপরন্তু সেখানে রয়েছে তীব্র অর্থনৈতিক অসাম্য। ভারতে ২৮টি রাজ্য এবং ৮টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল রয়েছে। তার মধ্যে আয়তন ও জনসংখ্যার সঙ্গে জিডিপির তুলনা করলে সর্বভারতীয় পটভূমিতে আসামের অবস্থা বোঝা যায়। ভারতের জনসংখ্যায় আসামের হিস্যা (২০১১-এর হিসাবে) ২.৫৮ শতাংশ। আয়তনে হিস্যা ২.৩৯ শতাংশ। কিন্তু জিডিপিতে হিস্যা মাত্র ১.৭০ শতাংশ।
আয়তন ও জনসংখ্যার সাথে জিডিপির হিস্যাগত এই তুলনায় আসামের অবস্থান ভারতে ১৯তম। অর্থাৎ খুবই নীচের দিকে। এই চিত্রের সবচেয়ে উদ্বেগজনক দিক হল, ১৯৫০-৫১ অর্থবছরে মাথাপিছু আয়ে আসাম ভারতীয় গড়ের চেয়ে ৪ শতাংশ ওপরে ছিল। ৭০ বছর পরের দৃশ্যটি হল, ভারতে যখন মাথাপিছু আয়ের গড় ১ লাখ ৩ হাজার ৮৭০ রুপি, আসামে তা ৬৭ হাজার ৬২০ রুপি।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, সেখানকার অর্থনীতিতে যেরূপ অসাম্য ও শ্রেণিবঞ্চনা বিদ্যমান, তাতে নতুন করে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য অঞ্চল থেকে দরিদ্র মানুষ কেন যাবে ওদিকে? এই প্রশ্নের সামান্য উত্তর দেয়ার আগে ভারতীয় নীতিনির্ধারকদের এ সংক্রান্ত অপর একটা স্ববিরোধিতার কথা বলতেই হয়।
বর্তমানে আনুষ্ঠানিক হিসাবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে (প্রবাসী ভারতীয় এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত মিলে) প্রায় সোয়া তিন কোটি ভারতীয় বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে আছে। অনানুষ্ঠানিক হিসাবে অঙ্কটা আরও বড়। ভারত তার উন্নয়নে প্রবাসীদের ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতিবছর ৯ জানুয়ারি ‘প্রবাসী ভারতীয় দিবস’ পালন করে থাকে। এই উৎস থেকে তাদের বছরে প্রায় ৭০ বিলিয়ন ডলার আসে।
অভিবাসী জনসংখ্যার বিশ্ব হিসাবে ভারতের নাগরিকরা প্রথম স্থানে রয়েছে। কেবল আরব আমিরাতের সঙ্গে ভারতের সপ্তাহে ১,০৬৫টি ফ্লাইটের রেকর্ড আছে। কেবল এই একটি দেশে প্রায় ৩৫ লাখ ভারতীয় অবস্থান করে। দেশটির জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশই এখন ভারতীয়রা। মরিশাস, ফিজি, ত্রিনিদাদ, টোবাগো, গায়ানা ও সুরিনাম প্রভৃতি দেশেও জনসংখ্যার বড় এক হিস্যা ভারতীয়রা। যুক্তরাষ্ট্রেও অন্য দেশীয়দের মধ্যে মেক্সিকোর পরই ভারতীয়দের অবস্থান।
বহুদিন থেকেই বিশ্ব অর্থনীতির অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ বৈধ-অবৈধ অভিবাসন। ভারতীয়রা এর বড় এক সুবিধাভোগী। কিন্তু নিজ দেশে অভিবাসনবিরোধিতা তাদের বড় এক রাজনৈতিক পণ্য। আরও সরাসরি বললে, আসামে তথাকথিত ‘বাংলাদেশি’দের নিয়ে রাজনীতি ভারতের ভোটের রাজনীতিতে সোনার হাঁসের মত ফল দিচ্ছে। এবারের বিধানসভা নির্বাচনেও আসামে ঐ ধারার রাজনীতিই বিজয়ী হয়েছে। সেখানে সংখ্যালঘু মুসলমানদের বাংলাদেশী হিসেবে প্রতিনিয়ত সন্দেহ করা একটা সামাজিক সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। যা বাংলাদেশের জন্য বিব্রতকর এবং হাস্যকরও বটে। কারণ, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন এমন জায়গায় নেই যে, মানুষ এখান থেকে দারিদ্র্যপীড়িত আসাম যাবে ভাগ্য পরিবর্তনে।
এটা সকলেরই জানা, একটি জনপদ থেকে অপর জনপদে অনুপ্রবেশের মূলে কাজ করে উন্নত জীবনের হাতছানি। তবে অর্থনীতিই এ ক্ষেত্রে একমাত্র শর্ত থাকে না। বহু ধরনের আর্থ-সামাজিক কারণ কাজ করে অভিবাসনে। জাতি, বর্ণ বা ধর্মগত নিরাপত্তাহীন অবস্থা বা অন্য কোন সহিংস পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে অনেক সময় মানুষ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পাড়ি জমায়। পরিবেশগত কোন সংকটে বাস্তুহারা হয়ে, সন্তানদের জন্য উন্নত ভবিষ্যতের সন্ধানে কিংবা উন্নত শিক্ষা পরিবেশের লক্ষ্যেও মানুষ এক দেশ থেকে আরেক দেশে পাড়ি জমায়। প্রশ্ন ওঠে, বাংলাদেশ থেকে আসামে পাড়ি জমানোর ক্ষেত্রে উপরের কোন কারণ কি প্রাসঙ্গিক?
বিগত দশকগুলোতে আসাম ও উত্তর-পূর্ব ভারতে বাংলাদেশের চেয়ে বহুগুণ বেশি সহিংস পরিস্থিতি বিরাজমান ছিল এবং আছে। পরিবেশগত ক্ষেত্রেও আসাম বাংলাদেশের চেয়ে নাজুক জনপদ। এ ক্ষেত্রে আসাম ও বাংলাদেশের সর্বশেষ অর্থনৈতিক অবস্থাটি তুলনা করব আমরা।
জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ ভারতের চেয়ে সামান্য পিছিয়ে থাকলেও আসামের চেয়ে তার অবস্থান এগিয়ে। ২০১৮ সালে প্রকাশিত মানব উন্নয়ন সূচকে ১৮৯ দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান ছিল ১৩০ এবং বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৩৬। তবে আসামের সঙ্গে তুলনা করলে মানব উন্নয়নের অধিকাংশ মৌলিক সূচকে (এইচডিআই) বাংলাদেশের অবস্থা অনেক ভাল। এইচডিআইয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য ও অঞ্চলের মধ্যে আসামের অবস্থান ৩০তম। এই সূচকে আসামের অর্জন দশমিক ৬০৫ এবং বাংলাদেশের অবস্থান দশমিক ৬০৮। মাতৃমৃত্যুর হার আসামে বাংলাদেশের চেয়ে দ্বিগুণÑ লাখে ৩২৮ জন । নবজাতকের মৃত্যুতেও প্রায় অনুরূপ চিত্র- বাংলাদেশের চেয়ে আসামে তা প্রায় দ্বিগুণ। সেখানে বেঁচে থাকার গড় সর্বোচ্চ বয়স ৬২ বছর। বাংলাদেশে তা ৭২।
আরও পড়তে পারেন-
- মুসলমানদের জন্য রোগ-ব্যাধিতে চিকিৎসা করানো সুন্নাত
- করোনা মহামারি ও আমাদের করণীয়
- জান্নাত পেতে চাইলে শিরকমুক্ত নেক আমল করতে হবে
- দুর্দিন ও দুঃসময়ে নবী জীবন থেকে সান্ত্বনা
- মাহে মুহাররম ও আশূরা: করণীয় ও বর্জনীয় আমলসমূহ
বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় দুই হাজার ডলার অতিক্রম করেছে, আসামে এখনও তা এক হাজার ডলারের কাছাকাছি। এই লেখা তৈরির সময়ও আসামে প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে পড়ে ছিল। গড় ভারতীয় হারের চেয়ে সেটা প্রায় ১০ শতাংশ বেশি। অর্থাৎ আসামে এখনও এক-তৃতীয়াংশ মানুষই দরিদ্র। এর মধ্যে আবার মুসলমানপ্রধান এলাকাগুলো অধিক দরিদ্র। অন্যদিকে বাংলাদেশে ২০১৮-র হিসাবে দারিদ্র্যের হার প্রায় ২২ শতাংশ। করোনার সময় সেটা কিছুটা বেড়েছে। করোনার কারণে ভারতেও দারিদ্র্য বাড়ছে। কিন্তু বাংলাদেশে যে হারে গত দশকগুলোতে দারিদ্র্য কমেছে, আসামে কমেছে তার চেয়ে অনেক কম হারে। ভারতে ২০১৮ সালে প্রথমবারের মত নীতি কমিশনের (ঘওঞও অধুড়ম) সর্বভারতীয় যে উন্নয়ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হল, তাতে দেখা যায়, যে তিনটি প্রদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবচেয়ে পিছিয়ে, তাতে আছে আসাম (অন্য দুটি হল বিহার ও উত্তর প্রদেশ)।
এসব তথ্য-উপাত্ত কোনভাবে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ থেকে দলে দলে মানুষের কাজের সন্ধানে আসামে যাওয়াকে সমর্থন করে না। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনে আসামের অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বাস্তবতাও অভিবাসনে আগ্রহীদের জন্য তা মোটেই আগ্রহোদ্দীপক স্থান নয়। আসামে রয়েছে অধিক বৃষ্টি ও বন্যার প্রাদুর্ভাব। জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে আসাম যে অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করেছে তাতে দেখা যায়, গত ৬০ বছরে এখানে গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ০.৫৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০৫০ নাগাদ এটা ১.৭ থেকে ২.২ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে। একই সময়ে বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে বর্তমান অবস্থা থেকে ৩৮ শতাংশ বেশি।
স্বাভাবিকভাবেই এ রকম একটা স্থান দরিদ্রদের বাড়তি আয়ের জন্য প্রলুব্ধ করে না। ফলে কেবল নিকট অতীতে নয়Ñ আগামীতেও আসামে বাংলাদেশ থেকে অভিবাসনে অগ্রহী হওয়ার কোন বিজ্ঞানসম্মত কারণ দেখা যায় না। তারপরও কয়েক দশকের ‘বাংলাদেশি খেদাও’ আন্দোলনকে ন্যায্যতা দিতে আসামে ইতোমধ্যে নাগরিকপঞ্জি তৈরির নামে প্রায় ৪০ লাখ মানুষকে ‘বিদেশি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর আসামে ‘বিদেশি’ মাত্রই ধরে নেয়া হয় তারা ‘বাংলাদেশি’। কিন্তু বাস্তবতা হলো বাংলাদেশের সঙ্গে আসামের যে জেলাগুলো সীমান্তবর্তী, সেখানে মুসলমানদের মধ্যে অবৈধ নাগরিকতার হার অতি কম। এ বিষয়ে বর্তমান লেখক ২০২০ সালে চূড়ান্ত এনআরসির তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করে ‘মিয়া অসমিয়া এনআরসি’ নামে (‘প্রথমা’ থেকে প্রকাশিত) একটি গবেষণা-পুস্তকের মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে দেখিয়েছেন- কীভাবে আসামে লাখ লাখ বাংলাদেশী মুসলমানের অবৈধ অবস্থানের দাবি অসত্য।
আসামে যদি বাংলাদেশের মুসলমানরা দলে দলে অবৈধভাবে প্রবেশ করে থিতু হতো, তাহলে তারা নিশ্চয়ই সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতেই থাকতো। কিন্তু তাদের সীমান্তবর্তী চূড়ান্ত এনআরসির তথ্য-উপাত্ত সেটা সমর্থন করেনি। ফলে আসামে এতদিনের ‘লাখ লাখ অবৈধ বাংলাদেশী’ থাকার প্রচারণা গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলে। যার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এখন নতুন করে সেখানে এনআরসি করার আওয়াজ উঠেছে। বলা হচ্ছে, আগের এনআরসি তৈরি হয়েছে ১৯৭১ সালকে ভিত্তি ধরে- এবার নতুন এনআরসি করা হবে ১৯৫১ সালকে ভিত্তি ধরে।
বলাবাহুল্য এর মাধ্যমে কিছু মানুষ আবার নতুন করে হয়রানির শিকার হবে হয়তো। যেহেতু এক কালে আসাম ও পূর্ববাংলা একই দেশ ছিল। ফলে সেখানে আসামের সর্বত্রই বাংলাভাষীদের যাতায়াত ও বসবাস ছিল। ব্রহ্মপুত্রের ক্রমাগত ভাঙ্গনের কারণে এদের অনেকেই জমিজমা-বসতবাড়ি হারিয়েছেন। সেই সঙ্গে ওসব জমির খাজনা ইত্যাদি দেয়ার রশিদও নাই অনেকের কাছে। যদিও এটা আসামের একান্ত অভ্যন্তরীণ ব্যাপার- কিন্তু আসামের এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ থেকে উদ্বিগ্ন বোধ করার বড় কারণ, সেখানকার পরিস্থিতি নিকট অতীতের আরাকান পরিস্থিতির কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।
আসামের গুণীজনদের পর্যবেক্ষণ হলো, ভারতীয় প্রান্তিক এই রাজ্যের প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার ও ভোগ নির্বিঘ্ন করতেই সেখানকার প্রভাবশালী মহল অবৈধ অভিবাসনের ইস্যুটি জীবন্ত রাখে। এই কৌশলকে সঠিক প্রমাণ করতে সেখানে লাখ লাখ মানুষের নাগরিকত্বের জন্য ‘প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই’ বলে সাব্যস্ত করা হয়।
কিন্তু ভারতের কোন বাসিন্দার কাছে ‘নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র’ না থাকলেই কেন ধরে নিতে হবে তারা ‘বাংলাদেশি’? এই প্রশ্নের কোন সদুত্তর পাওয়া যায় না প্রচারমাধ্যমে। বাংলাদেশ আসামের প্রতিবেশীÑ এটা কী বাংলাদেশের অপরাধ? ভারতীয় আসামে কারো অবৈধ প্রমাণিত হওয়ার মানেই কেন সে বাংলাদেশী হবে?
আসামের সঙ্গে ভারতীয় সাতটি রাজ্যের সীমান্ত রয়েছে। এগুলো অধিকাংশ ভারতীয় অর্থনীতির পিছিয়ে পড়া রাজ্য। সীমান্ত আছে ভুটানেরও। অথচ আসামে কারো হাতে নাগরিকত্বের সকল সনদ না থাকার দায় যেন কেবল বাংলাদেশের!
বিজ্ঞানের এটা এক গবেষণাসত্য যে, দরিদ্র জনগোষ্ঠীতে জন্মহার বেশি থাকে। কিন্তু এটা খুবই অদ্ভুত ব্যাপার যে, আসামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্মহার বৃদ্ধির জন্যও বাংলাদেশের দিকে ইঙ্গিত করা হয়।
আসামের নীতিনির্ধারকদের এরকম মনোভাব বাংলাদেশকে অনিবার্যভাবেই আরাকানের পরিস্থিতির অভিজ্ঞতা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। সেখানেও রোহিঙ্গাদের বিতাড়নের পূর্বে তাদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছিল রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন বর্ণবাদী প্রক্রিয়ায়। সেখানেও বলা হয়েছিল বাংলাদেশ থেকে বাংলাভাষীরা আরাকানে যেয়ে রোহিঙ্গা পরিচয় ধারণ করেছে। কিন্তু চট্টগ্রামের মতো সমৃদ্ধ একটা জায়গা ছেড়ে আরাকানের নিরাপত্তাহীন পরিবেশে কেন বাংলাদেশের বাংলাভাষীরা যাবে- সে প্রশ্নের অর্থনৈতিক দিকটি কেউ খতিয়ে দেখতে চায় না।
একই অবস্থা আসামের ক্ষেত্রে। আসামের নাগরিকতার সমস্যা নানান ঐতিহাসিক ভৌগলিক ও রাজনৈতিক কারণে তৈরি হয়েছে। এসব তাদের নিজস্ব ব্যাপার। তার দায় বাংলাদেশের নয় কোনভাবেই। সুতরাং এর জন্য বাংলাদেশকে অভিযুক্ত করার ধারা অবসান হওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশ সবসময় সীমান্ত-শান্তির জন্য দায়বদ্ধ একটা দেশ।
– আলতাফ পারভেজ, ইতিহাস বিষয়ে গবেষক।
#মাসিক মুঈনুল ইসলাম/এমএ
মাসিক মুঈনুল ইসলাম পড়তে ক্লিক করুন-
https://mueenulislam.com/