মধ্যপ্রাচ্যে নতুন সমীকরণ

।। রাকিবুল হাসান ।।

৯/১১ যেমন গোটা বিশ্বের গতিপ্রকৃতি পাল্টে দিয়েছে, অনুরূপ ১৯৭৯ সাল আরববিশ্বের চিরায়ত চেহারা পাল্টে দিয়েছে। এটি ছিল আরববিশ্বের নাইন-ইলেভেনতুল্য বছর। পরপর তিনটি ঘটনা তাদেরকে নাড়িয়ে দিয়েছে। অতঃপর অতিক্রান্ত হয়েছে চার দশক, রেশ এখনো ফুরোয়নি। হয়ত বইতে হবে আরও বহুকাল। ঘটনাগুলো হচ্ছে- ইরানি বিপ্লব, মসজিদুল হারামে হামলা এবং সোভিয়েতদের আফগান আগ্রাসন।

সে বছর ফেব্রুয়ারিতে ইরানে বিপ্লব এবং নভেম্বর-ডিসেম্বরে আবদুল্লাহ আল কাহতানির নেতৃত্বে মক্কা মুকাররামায় হামলা আহলে সৌদের ভিত কাঁপিয়ে দেয়। অন্যসময় হলে হয়ত কাহতানির আক্রমণ নিছক ‘দুর্ঘটনা’ হিসেবে ইতিহাসে ঠাই পেত। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ঘটনাটি দুর্ঘটনার তালিকায় না গিয়ে, ইতিহাসের বাঁক বদলে দেয়া ঘটনায় পরিণত হয়।

ঘরে-বাইরে সৌদ পরিবারের রাজনীতির ধারা, শত্রুমিত্র নির্ধারণ এবং এমনকি আত্মপরিচয়ের দিগদর্শনও বাতলে দেয় ঘটনাগুলো। আঞ্চলিক রাজনীতিতে শিয়া-সুন্নি দ্বৈরথের সূচনা হয়। অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সরকার আলেমদের শরণাপন্ন হয়। সরকার-স্কলার সম্পর্ক নতুন মাত্রা পায়। সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা যায় মাযলুম ফিলিস্তিনিদের উপর দিয়ে। কারণ, এই ঘটনার পর নাসেরের প্রস্তাবিত প্যান-আরাবিজম বা সর্ব-আরব ঐক্যের বদলে ‘আরব-ন্যাশনালিজম’ শক্তি পায়।

সৌদি হয়ে উঠে শুধু সৌদিয়ানদের, মিশর মিশরিদের, জর্দান জর্দানিদের, ফিলিস্তিন ‘ফিলিস্তিনিদের’। ফিলিস্তিনিরা গোটা অঞ্চলের সাথে তাদের ‘আরব’ সংযোগ হারিয়ে ফেলে। মুসলিম সংযোগ হারিয়ে গিয়েছিল নাসেরের প্যান-আরাবিজমেরও বহু পূর্বে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালে। আরও বহুভাবে ১৯৭৯ আরববিশ্বে স্থায়ী ক্ষত তৈরি করেছিল।

সেই আশির দশক আরব বসন্ত পাড়ি দিয়ে এখন নতুন দিগন্তে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। একের পর এক তীব্র গতিতে দৃশ্যপট পরিবর্তিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে বেশকিছু উপাদান চালকের আসনে।

প্রথমত, বাইডেনের ক্ষমতারোহণ। মধ্যপ্রাচ্যে ট্রাম্প-বাইডেনের ফরেন পলিসির সবচেয়ে বড় বিভাজনরেখা হচ্ছে- ইহুদিপ্রীতি। ট্রাম্প ছিল একনিষ্ঠ ইজরায়েলপূজারী। রাজধানী স্থানান্তরের মতো স্পর্শকাতর ইস্যুসহ হেন কোন জায়নবাদি এজেন্ডা নেই যাতে ট্রাম্প সায় দেয়নি। মূল অনুঘটকের কাজ করেছে তার ইহুদি জামাতা জেরড কুশনার।

পাশাপাশি আমেরিকার মনযোগের কেন্দ্রবিন্দু মধ্যপ্রাচ্য থেকে সরে এখন চীনকেন্দ্রিক হতে যাচ্ছে। সত্তর ও আশির দশকে আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যে একচ্ছত্র আধিপত্য চেয়েছিল মূলত মার্কিন নাগরিকদের ‘জীবনমান’ ঠিক রাখতে! তাদের কলকারখানা, যানবাহন, উৎপাদন, প্রতিদিনের বার্গার-কোকাকোলার নিরবচ্ছিন্ন যোগান দিতে প্রয়োজন বিপুল তেল। মার্কিনিদের জীবনমানের বলি হয়েছে গোটা মধ্যপ্রাচ্য- টানা চল্লিশবছর। কিন্তু এখন একদিকে ক্লিন এনার্জির ব্যবহারবৃদ্ধি, অপরদিকে খনিজসম্পদের বহুমাত্রিক উৎসের ফলে মধ্যপ্রাচ্য তুলনামূলক গুরুত্ব হারিয়েছে। তার চেয়েও বড় কথা এখন চীনকে রুখতে হবে। ফলে মার্কিন পররাষ্ট্রকৌশলে মধ্যপ্রাচ্য কেন্দ্রবিন্দুতে নেই।

দ্বিতীয়ত, আরব রাষ্ট্রগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়ননীতি। সৌদি, মিশর, আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের তেলনির্ভর দেশগুলো এখন অত্যাসন্ন সঙ্কট অনুধাবন করতে পারছে। ফলে সবাই অর্থনীতির বহুমাত্রিকীকরণ, দেশের উন্নয়ন, গবেষণাসহ সব সেক্টরে মনোনিবেশ করতে শুরু করেছে। তেল বেচে পা নাচিয়ে খাওয়ার দিন ফুরিয়ে আসছে।

কিন্তু অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য সবচেয়ে বেশি যা প্রয়োজন- শান্তি ও স্থিতিশীলতা। আশেপাশের দেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা থাকলে তা গোটা অঞ্চলকে প্রভাবিত করে। সৌদি আরব ইয়েমেন সঙ্কটের উত্তাপ এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। আরামকোর তেলক্ষেত্রে হুথিদের মিসাইল আক্রমণ দেখিয়ে দিয়েছে- সীমান্তের ওপারে শান্তি না থাকলে রিয়াদের অর্থনীতি অচল। সব দেশই যেহেতু অর্থনৈতিক ভিশন নিয়েছে, তাই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে যেসব প্রি-কন্ডিশন প্রয়োজন সেগুলোর প্রতিও তাদের উপলব্ধি এবং অলিখিত সমর্থন রয়েছে।

তৃতীয়ত, তুরস্কের উত্থান। মধ্যপ্রাচ্যের শাসকদের পক্ষবদলে তুরস্কের সক্ষমতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কাতার অবরোধের সময় একদিকে তুরস্কের অকাতর সহায়তা এবং নিঃশর্ত সহমর্মিতা, অপরদিকে ট্রাম্পের ভ-ামি আরব শাসকদের হুঁশ ফিরিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার সবচেয়ে বড় সামরিকঘাঁটি কাতারে। কিন্তু তা কাতারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। তীব্র সম্ভাবনা ছিল যদি তুরস্ক সেনাসহায়তা না পাঠাত, কাতার সরাসরি আগ্রাসনের শিকার হতো।

তুরস্ক যখন তার ক্ষুদ্র মিত্র কাতারকে নিরঙ্কুশ সমর্থন দিয়েছে, ট্রাম্প তখন আরবদের পকেট থেকে টাকা খসাতে ব্যস্ত। তার নীতি ছিল ফ্রি নিরাপত্তাপ্রদানের দিন শেষ, এখন নিরাপত্তা ‘কিনতে’ হবে। বহু উচ্চমূল্যে। তবু নিশ্চয়তা নেই। কাতারের মতো নির্মম প্রতারণার শিকার সৌদিও হতে পারে, আমিরাতও। এবার যদিও মার্কিন অনুকম্পা সৌদি-আমিরাত ব্লকের পক্ষে ছিল, কিন্তু তারা বাস্তবতা অনুধাবন করতে ভুল করেনি।

তুরস্কের সক্ষমতাও চোখে পড়ার মতো। সুই-সুতা থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক ড্রোনসহ মাঝারিপাল্লার সবধরনের সমরাস্ত্র যোগান দেয়ার সক্ষমতা তাদের রয়েছে। আরব-ইজরাইল সম্পর্কে এটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। আরব স্বৈরশাসকরা মূলত আমেরিকাকে তুষ্ট করতেই ইসরাইলকে চাটত। সমরাস্ত্র কিনতে, স্পাইওয়্যার কিনতে এবং জনমত দমনে ‘সক্ষমতা’ অর্জন করতে। এখন যদি তুরস্ক থেকে আধুনিক অস্ত্রের সরবরাহ পাওয়া যায়, আমেরিকার গুরুত্ব স্বাভাবিকভাবেই হ্রাস পাবে। পাশাপাশি উচ্চপ্রযুক্তি সরবরাহের জন্য আছে কোল্ড ওয়ারের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠা রুশ-ভল্লুক, উদীয়মান চীন।

অতিসম্প্রতি মার্কিন স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে গবেষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সৌদি আরব হয়ত চীনের সহায়তায় নিজস্ব মিসাইল ফ্যাসিলিটি গড়ে তুলেছে। যদি ঘটনা সত্য হয়- তবে আমেরিকার প্রস্থান তরান্বিত হবে।

এগুলোসহ আরও বহু কারণে মধ্যপ্রাচ্যে তীব্র গতিতে ‘দলবদল’ ঘটছে। ইয়েমেন আক্রমণ এবং কাতার অবরোধ দুটোতেই সৌদি আরবের ডি ফ্যাক্টো শাসক মুহাম্মদ বিন সালমান আমিরাতের যুবরাজ মুহাম্মদ বিন যায়েদ কর্তৃক ভয়ঙ্কর বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছে। ইয়েমেন আক্রমণে আমিরাতের একচেটিয়া সমর্থন পেয়ে বিন সালমান ভেবেছিল- নির্ভরযোগ্য মিত্র পেলাম। কিন্তু ঘটনা গভীরতর হতেই দেখা গেল আমিরাতের চোখ এডেন বন্দর এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক এলাকায়। হুতিদের নিয়ে তার কোন মাথাব্যথা নেই। কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ এলাকার দখল নিতে বিন যায়েদ ইয়েমেনকে দুইভাগে বিভক্ত করতেও দ্বিধা করেনি। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ইয়েমেন উত্তর-দক্ষিণে বিভক্ত ছিল। একীভূত হওয়ার পরও দক্ষিণে সর্বদা একটা বিচ্ছিন্নতাবাদি ভাব ছিল। আমিরাতিরা শেকড় গেড়ে বসার পর সেখানকার বিচ্ছিন্নতাকামীদেরকে সরাসরি সমর্থন দিতে শুরু করেছে।

আরও পড়তে পারেন-

ফলে দেখা গেল সৌদির ইরানরোধ আদৌ আমিরাতের কোন উদ্দেশ্য নয়; বরং যখন ইরানের সাথে যোগসাজশের অভিযোগে আমিরাত এবং মিশর সৌদিকে কাতারের উপর অবরোধ দিতে রাজি করায়, তখনো ইরানের সাথে আমিরাতের বাণিজ্য কাতারের চেয়ে ঢের বেশি ছিল। সৌদি মূলত কোন সুস্পষ্ট লক্ষ্য ছাড়াই অবরোধে যোগ দিয়েছিল।

বৃটিশ-ফিলিস্তিনি সাংবাদিক, আল হিওয়ার টিভি চ্যানেলের প্রধান নির্বাহি আযযাম তামিমি কাতার অবরোধের পর তীব্র শ্লেষাত্মক এক প্রতিবেদন লেখেছিলেন। সৌদিকে আমিরাতের পাপেট বলে অভিহিত করেন এবং বলেন, বিন যায়েদ বিন সালমানকে টোপ দেখাচ্ছে যে তার ‘সুপরামর্শ’ গ্রহণ করলে দ্রুত সৌদির গদিলাভের সৌভাগ্য হবে। যদি এই পথে বিন সালমান ক্ষমতায় যায়ও, সম্ভবত সে-ই হবে সৌদ পরিবারের শেষ ‘রাজা’। অবাক করা বিষয় হচ্ছে তিনি তখনই বলেছিলেন- সৌদি সর্বপ্রথম এবং সবচেয়ে বেশি প্রতারিত হবে আমিরাতকর্তৃক! নিবন্ধটি মিডল ইস্ট আইতে প্রকাশিত হয়েছিল।

তার পূর্বাভাষের সত্যতা মেলে যখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সৌদিকে সর্বপ্রথম গুডবাই জানায়- আমিরাত। তুরস্কের আঞ্চলিক শত্রুপক্ষের মধ্য থেকে সর্বপ্রথম তুরস্কের সাথে হাত মিলিয়েছে আমিরাত। সৌদি, মিশরসহ অন্যান্য দেশ যখন এরদোয়ানকে নিজ দেশে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে, আগমনের অপেক্ষা করছে, বিন যায়েদ সেই অপেক্ষায় বসে না থেকে নিজেই ছুটে গেছে তুর্কি ‘সুলতানের’ দরবারে।

ইয়েমেনে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে, এখন সেখানে সৌদির প্রধান প্রতিপক্ষ হুতিরা নয়- বরং আমিরাত! এই বৈরিতার উত্তাপ ইয়েমেনের মূল ভূখ- ছাপিয়ে চারশ কি.মি. দূরের সুকুত্রা দ্বীপেও অনুভূত হচ্ছে। আমিরাত ইয়েমেনি ছাত্রদেরকে প্রচুর স্কলারশিপ দিচ্ছে, জেলেদেরকে নৌকা দিচ্ছে, গবেষকদেরকে ফান্ড দিচ্ছে, কৃষকদেরকে বীজ ও চারা দিচ্ছে, গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎ আর স্কুল করে দিচ্ছে। সৌদিও পিছিয়ে নেই। ফলে দেখা যাচ্ছে সুকুত্রা দ্বীপের প্রধান সড়ক, রাজধানি সানার সড়কের চেয়েও জমকালো। রাস্তার দুই পাশে বহুতল-সুবিশাল দুই স্কুল, একটিতে উড়ছে আমিরাতি পতাকা, অপরটিতে সৌদির। দুই স্কুলের কোনোটিতেই পড়ার মতো পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী নেই। আঞ্চলিক আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ঠায়। কলাটা ভোগ করছে আমিরাত। আর সীমান্তে অস্ত্রধারীদের ঠেলা সামলাচ্ছে সৌদি, অস্থির এবং যুদ্ধের ফলে নিয়ন্ত্রণহীন ইয়েমেন হয়ে আসা আফ্রিকান শরণার্থীদের বোঝা টানছে সৌদি, মিসাইলের শব্দে কান ঝালাপালা হচ্ছে সৌদিয়ানদের।

ফেব্রুয়ারিতে এরদোয়ান মধ্যপ্রাচ্য সফরে বের হওয়ার কথা। নিজেই জানিয়েছেন সৌদিতে যাবেন। খাশুগজি হত্যাকা-ের ফলে সৃষ্ট বরফ গলতে শুরু করেছে। মধ্যপ্রাচ্যের দুই প্রভাবশালি দেশ কাছাকাছি আসতে শুরু করেছে। সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হচ্ছে সৌদি-ইরান সম্পর্কে। ইরাকের মধ্যস্থতায় আলোচনার সূচনা হয়েছে। বাগদাদ রাউন্ড নামে পরিচিত ছয়দফা বৈঠক হয়েছে। যদিও তা থেকে কোন সিদ্ধান্ত আসেনি, এত দ্রুত আসবে তা আশা করাও বোকামি।

চল্লিশবছরের বৈরিতা কাটিয়ে উঠতে, মধ্যপ্রাচ্যের ‘কোল্ড ওয়ারে’ ইতি টানতে দুইদেশের কর্মকর্তাদের ঘনঘন বৈঠক হচ্ছে। ওআইসি সম্মেলনের সাইডলাইনেও দুইদেশের প্রতিনিধিরা মিলিত হয়েছেন, কোন সুযোগ হাতছাড়া করতে চাচ্ছে না কেউ। তেহরান জানিয়েছে কূটনৈতিক সম্পর্ক ঠিক হলে মাশহাদ থেকে তেহরান হয়ে জেদ্দা পর্যন্ত রেললাইন হবে। যদিও সৌদি এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেনি।

তুরস্ক, কাতার, সৌদি, ইরান, আমিরাত, মিশর যখন এক কাতারে দাঁড়াবে- কেমন হবে সেই মধ্যপ্রাচ্যের চেহারা? উম্মাহ কি তাদের প্রত্যাশার কিছুমাত্র প্রতিনিধিত্বও দেখতে পাবে না এতে?

লেখক: শিক্ষার্থী- আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, তাকমিল- মাদরাসা বাইতুল উলূম ঢালকানগর।

#মাসিক মুঈনুল ইসলাম/এমএ

মাসিক মুঈনুল ইসলাম পড়তে ক্লিক করুন-
https://mueenulislam.com/

ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা ও মাসআলা-মাসায়েলবিষয়ক লেখা পেতে ‘মাসিক মুঈনুল ইসলাম-এর ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।