।। মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ রহমানী ।।
এতক্ষণ পর্যন্ত আমরা দুটি মসজিদের আলোচনা করছিলাম। মসজিদে কুব্বাতুস সাখরা এবং মসজিদে আকসা। এ দুটি মসজিদের দৃশ্যের সাথে আমরা মোটামুটি পরিচিত। কারণ, এগুলো প্রায় সময় ছবিতে আমাদের সামনে দৃশ্যমান হয়। পরদিন আমরা পুনরায় মসজিদে আকসায়, মূলত মসজিদে আকসার প্রাচীনতম অংশে প্রবেশ করি। যা দৃশ্যমান মসজিদে আকসার যথেষ্ট নিচে এবং গভীরে অবস্থিত। সিঁড়ি ভেঙে যার বারান্দায় পৌঁছাতে হয়। আমরা সেখানে পৌঁছার সৌভাগ্য অর্জন করলাম। এটাও অনেক বড় একটি মসজিদ। দ্বিতল। একটা উপরের অংশ, বাকিটা নিচের মূল অংশ।
এই মসজিদের পিলারগুলো পাথরের। পাথরগুলো এতই গোলাকার এবং চওড়া যে, একজন মানুষ দাঁড়িয়ে পিলারের উপর দু’হাত বিছিয়ে দিলেও পিলারকে পূর্ণ আয়ত্তে নেয়া তার জন্য সম্ভব হবে না। জমিন থেকে ছাদ পর্যন্ত সোজা একটি পিলার। সমগ্র মসজিদ জুড়ে এরকম চার/পাঁচটি পিলার আছে। এগুলোর ব্যাপারে বলা হয়ে থাকে যে, হযরত সুলাইমান (আ.)এর নির্দেশে জিন জাতি এগুলো তৈরি করেছিল। পবিত্র কুরআনেও সেদিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। হযরত সুলাইমান (আ.) জিন জাতির মাধ্যমে কাজ নিতেন। (সূরা নামাল- ৩৮/৪০)। কারণ, হযরত সুলাইমান (আ.)এর যুগে পাথর বহন করার জন্য না ছিল কোনো গাড়ি, ভারি জিনিস উপরে উঠানোর জন্য ছিল না উন্নত টেকনলোজি। সে সময় মানুষের জন্য এত বড় বড় পাথর খন্ডিত করা এবং সেগুলো এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করে তার উপর ছাদ নির্মাণ করা কার্যত অসম্ভব বলা যায়। আল্লাহ তাআলাই সর্বজ্ঞ।
মেহরাবে যাকারিয়া (আ.)
মসজিদে আকসার এই অংশের কেবলার দিকে মেহরাব আছে। বলা হয়ে থাকে এই জায়গায় সেই মেহরাব ছিল, যেখানে হযরত যাকারিয়া (আ.) নামায পড়তেন এবং দুআ করতেন। আমরাও এখানে কয়েক রাকাত নফল পড়ার সৌভাগ্য অর্জন করলাম। হয়তো আল্লাহ তাআলার প্রিয় নবীর পদাঙ্কের স্পর্শে গুনাহগার বান্দাদের কপালে যদি কিছু জুটে যায়! সফরসঙ্গীদের উদ্দেশ্যে বললাম, যেহেতু এখানে হযরত যাকারিয়া (আ.) সন্তান লাভের জন্য দুআ করেছেন এবং আল্লাহ তাআলা তাঁর দুআ কবুলও করেছিলেন, সুতরাং যাদের সন্তান হচ্ছে না কিংবা কারো কোনো আত্মীয়ের সন্তান না হলে এখানে সন্তান লাভের দুআ করা উচিত।
কূপ
মেহরাবের বাম দিকে দুই ফুট উঁচুতে একটা হল আছে। এই হলে একটা কূপ আছে। এই কূপের রহস্য হচ্ছে, হযরত মায়মুনা (রাযি.) যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট জিজ্ঞেস করলেন, যদি আমি বাইতুল মুকাদ্দাস যেতে না পারি, তাহলে কী করবো? তখন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “তেল পাঠিয়ে দাও। যার দ্বারা আলোর ব্যবস্থা করা হবে। ওখানের (মসজিদে আকসা) জন্য তেল পাঠানো ওখানে যাওয়ার মতোই। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস- ১৪০৭)।
অতঃপর মানুষ বাইতুল মুকাদ্দাসের (মসজিদে আকসা) জন্য তেল পাঠাত। সেই তেল দিয়ে বাইতুল মুকাদ্দাসে আলোর ব্যবস্থা করা হত। রাত্রে সেখানে প্রতিদিন ৭০০ প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করা হত। মানুষের পাঠানো তেলগুলো এই কূপে সংরক্ষণ করা হত। বর্তমান সময়ে কূপের উপর লোহার জালি লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। ঝুঁকে দেখলে ভেতরে প্রবাহিত কিছু জিনিস দেখা যায়। হয়তো এগুলো সংরক্ষিত তেলের অবশিষ্ট অংশ।
প্রথম কিস্তি পড়ুন- মসজিদে আকসা সফর: পুণ্যভূমির পথে পথে..
গাইড আমাদেরকে কূপ সংলগ্ন এলাকা থেকে আরো নিচে ডান দিকে এমন একটি জায়গা প্রদর্শন করালেন, যেখানে থলের মতো একটি পাথর রাখা আছে। বলা হল, হযরত মারয়াম (রাযি.) হযরত ঈসা (আ.)কে জন্ম দেয়ার পর এই জায়গায় অবস্থান করেছেন। এখানেই তিন দিন বয়সী শিশু হযরত ঈসা (আ.) অলৌকিকভাবে কথা বলেছেন। যারা হযরত মারয়ামের উপর অপবাদ দিয়েছিল, তাদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি আল্লাহর বান্দা। আল্লাহ তাআলা আমাকে নবী হিসেবে পাঠিয়েছেন।” (সূরা মারয়াম- ৩০)।
বাবুর রাহমাহ হয়ে আমরা মসজিদে প্রবেশ করেছিলাম এবং এদিক দিয়েই বের হয়েছিলাম। রাস্তার বাম দিকে একটা বড় চৌবাচ্চা আছে। যেখানে সাবরাহ এবং শাতিলার* সেই সব মযলুম নারী-শিশু এবং পুরুষের কবর আছে, যাদের উপর অভিশপ্ত ইহুদিরা গণহত্যা চালিয়েছিল। আমরা এখানে বিশেষভাবে ফাতিহা পড়লাম। মযলুম ফিলিস্তিনিদেরকে আল্লাহ সাহায্য করুন। সর্বপ্রকার বিপদ থেকে হেফাজত করুন এবং অভিশপ্ত ইহুদিদেরকে ধ্বংস করুন। আমীন।
[* ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দের ১৬-১৮ সেপ্টেম্বর লেবাননের সাবরাহ এবং শাতিলা শরণার্থী শিবিরে সন্ত্রাসী ইসরাইল এবং খ্রিস্টান মিলিশিয়ারা গণহত্যা চালিয়ে প্রায় ৫০০০ মযলুম ফিলিস্তিনিকে শহীদ করে দেয়Ñ অনুবাদক]
ওয়ের্স্টান ওয়াল-কাঁদো দেওয়াল
৮ জানুয়ারী সকালে আমরা নিজ অবস্থানস্থল থেকে বের হয়ে আরো একবার মসজিদে আকসায় গেলাম। এবারের যাত্রাটা হল ওয়েস্টার্ন ওয়ালের (কাঁদো দেওয়াল) পাশ দিয়ে। যেখানে ইহুদিরা ইবাদত-বন্দেগি করেন। তাদের ধারণা এবং কল্পনা অনুযায়ী হাইকালে সুলাইমানীর সর্বশেষ ধ্বংসাবশেষ হচ্ছে এই দেওয়ালটি। তারা এটাকে পবিত্র এবং দুআ কবুল হওয়ার জায়গা মনে করে। দেওয়ালটি একটা প্রশস্ত বারান্দায় অবস্থিত। মাঝে জালি দিয়ে ঘেরা। একপাশে পুরুষ দাঁড়ায়, অন্যপাশে নারী। মহিলারা অধিকাংশই কালো গাউন পরিহিত হয়।
আশ্চর্য! যারা বিশ্বজুড়ে নারীদের অবাধ স্বাধীনতার জন্য গলা ফাটিয়ে চেচাঁমেচি করছে, যারা নারী-পুরুষের মিশ্র জীবন বাস্তবায়নের প্রতি উৎসাহ দেয়, যারা ইসলামের পর্দার বিধানকে বাকা চোখে দেখে, খোদ তাদের ধর্মীয় স্থানে ইবাদত-বন্দেগিতে নারী পুরুষের পৃথক ব্যবস্থা; কল্পনা করা যায়! এমনকি কঠোরভাবে এই নিয়ম বাস্তবায়নও করা হয়। এখানে একটা জিনিস দেখতে পেলাম যে, সাধারণ ইহুদি এবং সামরিক ও পুলিশ ইহুদি কর্মকর্তাদের অনেকের মুখ শুশ্রু মন্ডিত। তাদের ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব যাদেরকে রাব্বি বলা হয় তাদের দাঁড়ি তো একদম সীনাও অতিক্রম করেছে।
যায়তুন পাহাড়ের চূড়ায়
মসজিদে আকসা থেকে বের হয়ে আমাদেরকে যায়তুন পাহাড়ের চূড়ায় নিয়ে যাওয়া হল। এটি কুদস শহরের সবচেয়ে বড় এবং উঁচু পাহাড়। এর চূড়া থেকে কুব্বাতুস সাখরা (সোনালি গম্বুজ) অনিন্দ্য সৌন্দর্য নিয়ে দৃষ্টিগোচর হয়। নিচে সবুজ-শ্যামল যাইতুন গাছের চোখ জুড়ানো বাগান। এই পাহাড়ের নিচে ইহুদীদের বড় একটা কবরস্থান আছে। তারাও মুসলমানদের মত মৃতকে মাটিতে দাফন করে। এই পাহাড়ে বিখ্যাত সাহাবী হযরত সালমান ফারসী রাযি.-এর নামে একটা গম্বুজ নির্মাণ করা হয়েছে। এটা উনার কবর নয়; বরং উনি এখানে কিছুদিন অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। এর সন্নিকটে হযরত রাবেয়া আদাবিয়্যা বাসরী (রহ.)এর নামে একটি মসজিদ আছে। মসজিদের পাশে লাগোয়া একটি গুহায় তাঁর কবর। বলা হয়ে থাকে, এই গুহায় তিনি ইবাদত-বন্দেগি করতেন, এখানেই তাঁর ইন্তিকাল হয়।
আরও পড়তে পারেন-
- মুসলমানদের জন্য রোগ-ব্যাধিতে চিকিৎসা করানো সুন্নাত
- করোনা মহামারি ও আমাদের করণীয়
- জান্নাত পেতে চাইলে শিরকমুক্ত নেক আমল করতে হবে
- দুর্দিন ও দুঃসময়ে নবী জীবন থেকে সান্ত্বনা
- মাহে মুহাররম ও আশূরা: করণীয় ও বর্জনীয় আমলসমূহ
ফিলিস্তিন, মিসর এবং জর্দানের অধিকাংশ কবরগুলো গুহা অথবা মাটির গভীরে হয়। ভূ-পৃষ্ঠের উপর নিদর্শন স্বরূপ লাকড়ি দেয়া হয়। লাকড়ির উপর চাদর, তার উপর পাথর দেয়া হয়। অথবা একেবারে কবরের উপর রড-সিমেন্ট দিয়ে গম্বুজ তৈরি করা হয়। যেসব জায়গায় কবর আছে সেগুলোকে মাকবারা বলা হয়। আর যেসব জায়গায় কোনো কবর নেই, শুধু বিশিষ্ট কোনো ব্যক্তি এসে অবস্থান করেছেন সেখানেও এরকম গম্বুজ তৈরি করে দেয়া হয়। সেসব স্থানকে মাকাম বলা হয়।
হারমে খলীল
হযরত রাবেয়া বাসারিয়্যার কবর যিয়ারত শেষে আমরা আল-খলীল শহরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম। ইহুদীরা এটাকে হেবরন বলে। আল-কুদস থেকে প্রায় দুই ঘন্টার ড্রাইভ দূরত্বের পথ। এটাকে হারমে ইবরাহীমিও বলা হয়। কেননা, এখানে হযরত ইবরাহীম (আ.) শায়িত আছেন। হযরত ইবরাহীম (আ.)এর কবর বড় একটি এলাকাজুড়ে অবস্থিত। সেখানে একটি প্রশস্ত মসজিদও আছে। এই এলাকাটি দূর্গ সাদৃশ্য। চতুর্দিকে পাথরের দেয়াল। আমরা মসজিদে দুই রাকাআত নামায আদায় করলাম। নামায পড়ে হযরত ইবরাহীম (আ.)এর কবর যিয়ারত করলাম। কবরটি লোহার জালি এবং গ্লাসের বেষ্টনি দ্বারা আবদ্ধ। কবরের বেশিরভাগ অংশ মুসলমানদের নিয়ন্ত্রণে। বাকি আংশ ইহুদিদের হাতে। সেদিকে তারা যিয়ারত করে। এখানে যেহেতু অধিকাংশ সময় মুসলমানদের সাথে ইহুদিদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, তাই উভয় পাশের মাঝখানে দেওয়াল দিয়ে আড়াল করা হয়েছে, যাতে করে সংঘর্ষ এড়ানো যায়।
এই মসজিদে হযরত ইসহাক (আ.) এবং তাঁর স্ত্রী হযরত রিফকার কবর রয়েছে। যে অংশ দখলদার ইহুদিদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যেখানে মুসলমানদের যেতে দেয়া হয় না। সেখানে হযরত ইয়াকুব (আ.), হযরত ইউসুফ (আ.) এবং তাঁর আম্মা হযরত লাইয়্যা (রাযি.)এর কবর আছে। আমরা হযরত ইসহাক (আ.), তার স্ত্রী এবং আরো যাদের কবর পর্যন্ত- দখলদার ইহুদিদের বাঁধার কারণেÑ পৌঁছা সম্ভব হয়নি, দূর থেকে তাদের উপর ফাতিহা পড়লাম। মসজিদে খলিলের একপাশে মুসলিম বসতি, অন্যপাশে দখলদার ইহুদীদের বসতি। এখানে প্রায় সময় ইহুদিরা মুসলমানদের সাথে সংঘর্ষে জড়ায়। এখানকার দোকানপাটগুলো বন্ধ। রাস্তাসমূহ বিরাণ হয়ে আছে। পথে পথে বিপুল সংখ্যক ইসরাইলী বাহিনী চোখে পড়ছে। এখান থেকে বাইতুল মুকাদ্দাস ফিরে যাওয়ার সময় পথে হযরত ইউশা (আ.)এর কবর পড়ল। সেখানে ফাতিহা পড়ার সৌভাগ্য হল। তিনি বনী ইসরাইলের নিকট নবী হিসেবে প্রেরিত হয়েছিলেন।
এসব এলাকা পরিদর্শনের পর আমরা ‘লুদ’ নামক জায়গায় গেলাম। যেখানে বর্তমানে ইসরাইলের বিমানবন্দর অবস্থিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই জায়গার ব্যাপারে ভবিষ্যতবাণী করেছিলেন যে, এই জায়গায় হযরত ঈসা (আ.) দাজ্জালকে হত্যা করবেন। ইসরাইলের রাজধানী এই জায়গা থেকে খুব নিকটে। সঙ্গীদের অতিরিক্ত আগ্রহের কারণে অনিচ্ছা সত্ত্বেও সেখানে গেলাম। অনেকে তো সেখান থেকে কিছু কেনাকাটাও করার ইচ্ছা করেছিল। কিন্তু আল্লাহর মানশা ছিল ভিন্ন কিছু। প্রচ- বৃষ্টির কারণে কেউ বাস থেকে নিচে নেমে আসার সুযোগ পর্যন্ত পায়নি। তেল’আবিবে কিছু আরব বস্তিও আছে। সেগুলোর পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সুযোগ হয়েছে।
জাতিসংঘ কর্তৃক যেসব অঞ্চল ইসরাইলের জন্য স্বীকৃত, সে সব অঞ্চলে ইসরাইল অনেক উন্নতি করেছে। যেসব মরুভূমিতে ধূলোবালি উড়তো, তারা সেখানে সবুজ-শ্যামল বাগান, সুজলা-সুফলা ক্ষেত তৈরি করেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী বড় বড় দালান, চার লেনের সড়ক এবং দোতলা বিশিষ্ট মেট্রোরেল তৈরি করেছে। জায়গায় জায়গায় অনেক মিল-কারখানাও স্থাপন করেছে। সারিবদ্ধভাবে দৃষ্টিনন্দন খেজুর বাগান এতই ঘন ছিলো যে, উপসাগরীয় অঞ্চলের আরব দেশগুলোতেও এরকম দৃশ্য দেখা যায় না। ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলো যথেষ্ট উর্বর, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিক দিয়ে রাস্তাঘাটও অনেক উন্নত। কিন্তু ইসরাইলের তুলনায় তা অনেক নিম্নমানের। ইসরায়েলের সাথে লাগোয়া মিসরের শাসনাধীন সিনাই এলাকার মরভূমিতে এখনো ধূলোবালি উড়ে। উন্নতির কোনো নাম নিশানাও নেই! আফসোসের বিষয়! মুসলিম রাষ্ট্রসমূহ পাশ্চাত্য থেকে প্রযুক্তি এবং টেকনোলজি ক্রয় না করে তাদের সংস্কৃতি এবং কালচার গ্রহণ করেছে এবং এটাকেই তারা গর্ব এবং অহংকারের বিষয় ভেবে থাকে।
[সফরনামা বাইতুল মুকাদ্দাস থেকে অনূদিত]
ভাষান্তর: আবু আব্দির রহমান
#মাসিক মুঈনুল ইসলাম/এমএ
মাসিক মুঈনুল ইসলাম পড়তে ক্লিক করুন-
https://mueenulislam.com/