।। আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন ।।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনের সূরা মারইয়ামের ৫৯-৬৩ নং আয়াতে ইরশাদ করেন-
فَخَلَفَ مِنۡۢ بَعۡدِهِمۡ خَلۡفٌ اَضَاعُوا الصَّلٰوۃَ وَ اتَّبَعُوا الشَّهَوٰتِ فَسَوۡفَ یَلۡقَوۡنَ غَیًّا ﴿ۙ۵۹﴾ اِلَّا مَنۡ تَابَ وَ اٰمَنَ وَ عَمِلَ صَالِحًا فَاُولٰٓئِکَ یَدۡخُلُوۡنَ الۡجَنَّۃَ وَ لَا یُظۡلَمُوۡنَ شَیۡئًا ﴿ۙ۶۰﴾ جَنّٰتِ عَدۡنِۣ الَّتِیۡ وَعَدَ الرَّحۡمٰنُ عِبَادَهٗ بِالۡغَیۡبِ ؕ اِنَّهٗ کَانَ وَعۡدُهٗ مَاۡتِیًّا ﴿۶۱﴾ لَا یَسۡمَعُوۡنَ فِیۡهَا لَغۡوًا اِلَّا سَلٰمًا ؕ وَ لَهُمۡ رِزۡقُهُمۡ فِیۡهَا بُکۡرَۃً وَّ عَشِیًّا ﴿۶۲﴾ تِلۡکَ الۡجَنَّۃُ الَّتِیۡ نُوۡرِثُ مِنۡ عِبَادِنَا مَنۡ کَانَ تَقِیًّا ﴿۶۳﴾
অনুবাদ: (৫৯) তারপর তাদের স্থলাভিষিক্ত হলো এমন লোক, যারা নামায নষ্ট করল এবং ইন্দ্রিয়-চাহিদার অনুগামী হল। সুতরাং তারা অচিরেই তাদের পথভ্রষ্টতার সাক্ষাত পাবে।
(৬০) অবশ্য যারা তাওবা করেছে, ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে, তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের প্রতি বিন্দুমাত্র জুলুম করা হবে না।
(৬১) (তারা প্রবেশ করবে) এমন স্থায়ী উদ্যানরাজিতে, দয়াময় আল্লাহ নিজ বান্দাদেরকে যার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাদের অলক্ষ্যে। নিশ্চয়ই তার প্রতিশ্রুতি এমন যে, তারা সে পর্যন্ত অবশ্যই পৌঁছবে।
(৬২) তারা সেখানে শান্তিমূলক কথা ছাড়া কোন বেহুদা কথা শুনবে না এবং তারা সেখানে সকাল-সন্ধ্যায় জীবিকা লাভ করবে।
(৬৩) এটাই সেই জান্নাত- যার ওয়ারিশ বানাবো আমার বান্দাদের মধ্যে যারা মুত্তাকী তাদেরকে।
ব্যাখ্যা: আল্লাহর পুরস্কারপ্রাপ্ত বান্দাদের আলোচনার পর ঐ সমস্ত লোকদের আলোচনা করা হচ্ছে- যারা এর বিপরীত আল্লাহর আদেশের অন্যথাচরণ করে ও বিমুখতা অবলম্বন করে। যারা সৎ কাজের পরিবর্তে অসৎ কাজ করত। সালাত আদায় করতো না এবং প্রবৃত্তির পূজা করতো। তাদের জন্য রয়েছে মন্দ পরিণাম।
সালাত নষ্ট করার অর্থ সালাতকে সম্পূর্ণভাবে বর্জন করা, অথবা সালাতের আরকান-আহকাম যথাযথভাবে আদায় না করা অথবা সালাত যথাসময়ে আদায় না করা।
সঠিক সময়ে নামায আদায় না করা, যখন ইচ্ছা পড়বো, বিনা ওযরে দুই বা ততোধিক নামাযকে একত্রে পড়া, অথবা কখনো দুই, কখনো চার, কখনো এক, কখনো পাঁচ ওয়াক্তের নামায এক সাথে পড়া। এ সমস্ত নামায বিনষ্ট করার অর্থে শামিল।
কেউ কেউ বলেন- সমস্ত সালাতের আদব ও শর্র্তসমূহের মধ্যে কোনটিতে ত্রুটি করা সালাত নষ্ট করার শামিল, আবার কারও কারও মতে ‘সালাত নষ্ট করা’ বলে জামাআত ছাড়া নিজ গৃহে সালাত পড়া বোঝানো হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
فَوَیْلٌ للْمُصَلِّیْن. الَّذِیْنَ ھُمْ عَنْ صَلَا تِھِمْ سَاھُوْنَ . الَّذِیْنَ ھُم یُرَا۬ءُوْنَ.
“সুতরাং দুর্ভোগ সে সব মুসল্লীদের জন্য- যারা নিজেদের সালাতের ব্যাপারে উদাসীন থাকে। তারা যাবতীয় কাজ-কর্ম শুধু লোক দেখানোর জন্যই করে”। (সূরা মাউন- ৪-৭)।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আরজ করা হলো- কোন আমল উত্তম? তিনি ইরশাদ করলেন-
الصَّلَاةُلِأَوَّلِ وَقْتِهَا
অর্থাৎ- ‘সালাত প্রথম ওয়াক্তে আদায় করা’। (জামে তিরমিয়ী- ১৭০)।
দ্বিতীয় খলীফা ওমর ফারুক (রাযি.) সকল সরকারী কর্মকর্তার কাছে এই নির্দেশনামা লিখে প্রেরণ করেছিলেন- “আমার কাছে তোমাদের সব কাজের মধ্যে সালাত সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। অতএব, যে ব্যক্তি সালাত নষ্ট করে সে দ্বীনের অন্যান্য বিধি-বিধান আরও বেশি নষ্ট করবে। (মুয়াত্তা মালেক- ৬)।
তদ্ররুপ হযরত হুযাইফা (রাযি.) এক ব্যক্তিকে দেখলেন যে, সে সালাতের আদব ও রোকন ঠিকমতো পালন করছে না। তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কবে থেকে এভাবে সালাত আদায় করছ? লোকটি বলল- চল্লিশ বছর ধরে। হুযায়ফা (রাযি.) বললেন- “তুমি একটি সালাতও পড়নি। যদি এ ধরনের সালাত পড়ে তুমি মারা যাও, তবে মনে রেখো মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আনিত আদর্শের বিপরীতে তোমার মৃত্যু হবে”। (সহীহ ইবনে হিব্বান- ১৮৯৪)।
অনুরূপভাবে অন্য হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, “ঐ ব্যক্তির সালাত হয় না, যে সালাতে ‘ইকামত’ করে না”। অর্থাৎ যে ব্যক্তি রুকু ও সিজদায়, রুকু থেকে ভালোভাবে সোজা দাঁড়ানো (দাঁড়ায় না) অথবা দুই সিজদার মধ্যস্থলে অথবা সোজা হয়ে বসাকে গুরুত্ব দেয় না, তার সালাত হয় না। (জামে তিরমিযী- ২৬৫)।
মোটকথা, সালাত আদায় ত্যাগ করা অথবা সালাত থেকে গাফেল ও বেপরোয়া হয়ে যাওয়া প্রত্যেক উম্মতের পতন ও ধ্বংসের প্রথম পদক্ষেপ।
সালাত আল্লাহর সাথে মুমিনের প্রথম ও প্রধানতম জীবন ও কার্যকর সম্পর্ক জুড়ে রাখে। এ সম্পর্ক তাকে আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের কেন্দ্রবিন্দু থেকে বিচ্যুত হতে দেয় না। এ বাঁধন ছিন্ন হবার সাথে সাথেই মানুষ আল্লাহ থেকে দূরে বহু দূরে চলে যায়। এমন কি কার্যকর সম্পর্ক খতম হয়ে গিয়ে মানসিক সম্পর্কেরও অবসান ঘটে।
হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, “বান্দা ও শিরকের মধ্যে সীমারেখা হলো সালাত ছেড়ে দেয়া’। (সহীহ মুসলিম- ৮২)।
আরও বলেছেন, “আমাদের এবং কাফিরদের মধ্যে একমাত্র সালাতই হচ্ছে পার্থক্যকারী বিষয় (তাদের কাছ থেকে এরই অঙ্গীকার নিতে হবে)। সুতরাং যে কেউ সালাত পরিত্যাগ করল সে কুফরি করল। (জামে তিরমিযী- ২৬২১)।
‘কু-প্রবৃত্তি’ বলতে বুঝায় এমন কাজ যা মানুষের মন চায়, মনের ইচ্ছানুরূপ হয় এবং যা থেকে সে তাকওয়া অবলম্বন করে না।
যেমন হাদীসে এসেছে, “জান্নাত ঘিরে আছে অপছন্দনীয় বিষয়াদিতে, আর জাহান্নাম ঘিরে আছে কু-প্রবৃত্তির চাহিদায়”। (সহীহ মুসলিম- ২৮২২)।
আরও পড়তে পারেন-
- বাংলায় হিন্দু রেনেসাঁস: প্রগতিশীলতা ও ইসলামবিদ্বেষ
- পরিবেশ বিপর্যয়— রুশ সাম্রাজ্যের শাপে বর?
- মাহে রমযান: সিয়াম সাধনা, তাকওয়া ও আত্মশুদ্ধি অর্জনের মাস
- আল্লাহর অসীম কুদরত ও মহিমা আত্মোপলব্ধির উৎকৃষ্ট উপায়
- যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আলেম সমাজের প্রস্তুতি
অনুরূপভাবে এখানেও ‘কু’ প্রবৃত্তি বলে দুনিয়ার সে সব আকর্ষণকে বোঝানো হয়েছে, যেগুলো মানুষকে আল্লাহর স্মরণ ও সালাত থেকে গাফেল করে দেয়।
হযরত আলী (রাযি.) বলেন, বিলাসবহুল গৃহ নির্মাণ, পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণকারী যানবাহনে আরোহণ এবং সাধারণ লোকদের থেকে স্বতন্ত্র মূলক পোশাক আয়াতে উল্লিখিত কু-প্রবৃত্তির অন্তর্ভুক্ত। (তাফসীরে কুরতুবী)।
আরবী ভাষায় প্রত্যেক অকল্যাণকর ও ক্ষতিকর বিষয়কে غي বলা হয়। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ বলেন- ‘গাই’ জাহান্নামের এমন একটি গর্তের নাম যাতে সমগ্র জাহান্নামের চাইতে অধিক আযাবের সমাবেশ রয়েছে। হযরত ইবনে আব্বাস (রাযি.) বলেন, ‘গাই’ জাহান্নামের এমন একটি গুহা জাহান্নামও এর থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করে। (তাফসীরে কুরতুবী)।
জান্নাতের নিয়ামত
তৎপরবর্তীতে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, তবে যারা এ সকল খারাপ কাজ ছেড়ে দিয়ে আল্লাহ তাআলার দিকে ফিরে আসবে
অর্থাৎ, যে ব্যক্তি তওবা করে নামায ত্যাগ ও খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করা হতে ফিরে আসবে এবং ঈমান ও সৎ কাজের দাবীসমূহ পূরণ করবে, তারা উল্লিখিত অশুভ পরিণাম হতে পরিত্রাণ লাভ করবে। আল্লাহ তাআলা তাদেরকে চিরস্থায়ী জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। সেখানে তাদের প্রতি কোন যুলুম করা হবে না।
তারা স্থায়ী জান্নাতের মালিক হবে। এটি তাদের ঈমান ও ইয়াকীনের দৃঢ়তা যে, তারা জান্নাত তো দেখেইনি; বরং আল্লাহর অদৃশ্য দেয়া প্রতিশ্রুতির উপর ভরসা করে জান্নাত পাওয়ার আশায় ঈমান ও তাকওয়ার পথ অবলম্বন করেছে।
জান্নাতবাসীগণ অনর্থক ও অসার কথাবার্তা গালি-গালাজ এবং পীড়াদায়ক বাক্যালাপ শুনবে না। যেমন দুনিয়াতে কখনও কখনও মানুষ এটা শুনে থাকে। জান্নাতবাসিগণ এ থেকে পবিত্র থাকবে। কোনরূপ কষ্টদায়ক কথা তাদের কানে ধ্বনিত হবে না।
অন্য আয়াতে এসেছে-
لَايَسْمَعُون فِيهَالَغْوًاوَلَاتَأْثِيمًا. إِلَّاقِيلًاسَلٰمًاسَلٰمًا.
সেখানে তারা শুনবেনা কোন অসার বা পাপ বাক্য। ‘সালাম’ আর ‘সালাম’ বাণী ছাড়া। (সূরাআল-ওয়াকি’আহ- ২৫-২৬)।
জান্নাতিগণ একে অপরকে সালাম করবে এবং আল্লাহর ফেরেশতাগণ তাদের সবাইকে সালাম করবে। তারা দোষ-ত্রুটি মুক্ত হবে। জান্নাতে মানুষ যে সমস্ত নিয়ামত লাভ করবে তার মধ্যে একটি বড় নিয়ামত হবে এই যে, সেখানে কোন আজে বাজে, অর্থহীন ও কটূকথা কোন অনর্থক ও বাজে কথা, মিথ্যা, গীবত, চোগলখুরী, অপবাদ, গালি, অহংকার ও বাজে গালগল্প বিদ্রুপ ও উপহাস, তিরস্কার ও বদনামমূলক কথাবার্তা শোনা থেকে রক্ষা পাবে। তারা শুধু তা-ই শুনবে যা তাদেরকে শান্তি দেয়।
জান্নাতে সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত এবং দিন ও রাত্রির অস্তিত্ব থাকবে না। সদা সর্বদা একই প্রকার আলো থাকবে। কিন্তু বিশেষ পদ্ধতিতে দিন, রাত্রি ও সকাল সন্ধ্যার পার্থক্য সূচিত হবে। এই রকম সকাল-সন্ধ্যায় জান্নাতবাসীরা তাদের জীবনোপকরণ লাভ করবে। তাদের চাহিদা অনুযায়ী খাদ্য ও অন্যান্য আরামপ্রিয় বস্তুসামগ্রী সর্বদা উপস্থিত থাকবে।
সহীহ হাদীসে এসেছে, হযরত আবূ হুরায়রা (রাযি.) বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে দল প্র্রথমে জান্নাতে প্রবেশ করবে তাদের চেহারা পূর্ণিমার রাতের চাঁদের মতো উজ্জ্বল হবে। তারা সেখানে থুথু ফেলবে না, নাক ঝাঁড়বে না, মলমূত্র ত্যাগ করবে না। সেখানে তাদের পাত্র হবে স্বর্ণের; তাদের চিরুণী হবে স্বর্ণ ও রৌপ্যের, তাদের ধুনুচিতে থাকবে সুগন্ধি কাষ্ঠ। তাদের গায়ের ঘাম মিশকে আম্বর থেকেও সুগন্ধময় হবে। তাদের প্রত্যেকের জন্য এমন দু’জন স্ত্রী থাকবে, যাদের রূপ-লাবণ্য, কমনীয়-মোহনীয়তা, সুগঠিত দেহপল্লব দেখে জান্নাতী পুরুষগণ অমীয় সুখ অনুভব করবে। তাদের মধ্যে কোন মতভেদ থাকবে না; পরস্পর হিংসা-বিদ্বেষ থাকবে না। তাদের সকলের অন্তর এক অন্তরের মতো হবে। তারা সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর তাসবীহ পাঠ করতে থাকবে’। (সহীহ বুখারী- ৩২৪৫)।
এর পর মহান আল্লাহ বলেন -তাকওয়ার অধিকারীদের জন্যই জান্নাত,তারাই জান্নাতের ওয়ারিশ হবে। সূরা আল-মুমিনুনের প্রারম্ভে মুমিনদের গুণাগুণ বর্ণনা করে শেষে বলা হয়েছে-
أُولٰٓئِكَ هُمُ الْوٰرِثُونَ . الَّذِينَ يَرِثُونَ الْفِرْدَوْسَ هُمْ فِيهَا خٰلِدُونَ.
অর্থাৎ- “তারাই হবে অধিকারী, অধিকারী হবে ফিরদাউসের যাতে তারা স্থায়ী হবে”। (সূরা আল-মুমিনূন- ১১)। আরো এসেছে-
وَ سَارِعُوۡۤا اِلٰی مَغۡفِرَۃٍ مِّنۡ رَّبِّکُمۡ وَ جَنَّۃٍ عَرۡضُهَا السَّمٰوٰتُ وَ الۡاَرۡضُ ۙ اُعِدَّتۡ لِلۡمُتَّقِیۡنَ ﴿۱۳۳﴾ۙ
অর্থাৎ- ‘তোমরা তীব্র গতিতে চলো নিজেদের প্রতিপালকের ক্ষমার দিকে এবং সে জান্নাতের দিকে যার বিস্তৃৃতি আকাশ ও পৃথিবীর সমান, যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে মুত্তাকীদের জন্য।’ (সূরা আলে ইমরান- ১৩৩)।
অন্যত্র বলা হয়েছে-
وَ سِیۡقَ الَّذِیۡنَ اتَّقَوۡا رَبَّهُمۡ اِلَی الۡجَنَّۃِ زُمَرًا ؕ
অর্থাৎ- ‘আর যারা তাদের প্রতিপালকের তাকওয়া অবলম্বন করত তাদেরকে দলে দলে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে’। (সূরা আয-যুমার- ৭৩)। সুতরাং তাকওয়া অবলম্বনকারীরা জান্নাতের অধিকারী হবে। সেখানে তারা স্থায়ী বসবাস করবে।
লেখক: মুহাদ্দিস, মুফাসসির, মুফতি ও সহযোগী পরিচালক- আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।
#মাসিক মুঈনুল ইসলাম/এমএ
মাসিক মুঈনুল ইসলাম পড়তে ক্লিক করুন-
https://mueenulislam.com/