নবীপ্রেমের মাপকাঠি ও প্রচলিত জশনে জুলুস

।। আল্লামা মুফতি জসিম উদ্দীন ।।

রাসূলুল্লাহ (সা.)এর আদর্শে আদর্শবান হওয়া যেমন সাওয়াবের কাজ তেমনি নবীর আদর্শের আলোচনা করা এবং তাঁর জন্ম বৃত্তান্ত আলোচনা করাও বরকতের বিষয়। কিন্তু তা হতে হবে সাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈন ও তাবে তাবেঈনের তরীকা মতো। অন্যথায় তা বিদআতে পরিণত হবে। যেমন প্রখ্যাত বুযুর্গ সাহাবী হযরত হুযাইফা (রাযি.) বর্ণনা করেন, অর্থাৎ- “যে ইবাদত রাসূলের সাহাবীগণ করেননি তোমরাও তা করো না, বরং পূর্বসূরী সাহাবীগণের তরীকা অবলম্বন কর”।

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাযি.) বর্ণনা করেন, “তোমরা সাহাবাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করো। নতুন নতুন ইবাদত আবিষ্কার করো না। তোমাদের আগেই ইবাদতের সীমা-পরিসীমা নির্ধারণ করা হয়ে গেছে”।

হযরত আনাস (রাযি.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, তোমাদের মধ্যে কেউ এ পর্যন্ত মু’মিন হতে পারবে না যে পর্যন্ত তার নিকট আমার মুহাব্বত তার পিতা, সন্তান-সন্ততি ও অন্যান্য লোকের চেয়ে বেশি না হবে।

রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, তিনটি বিষয় এমন আছে, যার মধ্যে তা পাওয়া যাবে সে ঈমানের স্বাদ পেয়ে যাবে। (১) দুনিয়ার সব কিছু থেকে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের মুহাব্বত বেশি হওয়া। (২) যার সাথে মুহাব্বত করবে একমাত্র আল্লাহকে রাজি করার জন্য করবে। (৩) কুফরীর দিকে যেতে এত প্রচণ্ড ভয় পাওয়া- যেমন আগুনে ঝাপ দিতে ভয় করা হয়।

রাসূলুল্লাহ (সা.)এর মুহাব্বত ঈমানের পূর্বশর্ত। কিন্তু রাসূলের মুহাব্বতের পদ্ধতি ও তরীকা এরূপ হতে হবে যেরূপ রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর সাহাবীগণকে শিক্ষা দিয়েছেন।

ইবাদত যেরূপ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে নির্ধারিত তদ্রƒপ ইবাদত করার তরীকাও রাসূলুল্লাহ (সা.)এর তরীকায় হতে হবে। অন্যথায় তা ইবাদতের পরিবর্তে বিদআতে পরিণত হবে। যেমন হাঁচির পর ‘আলহামদুলিল্লাহ্’ বলা সুন্নাত। রাসূলুল্লাহ (সা.)এর ইন্তিকালের পর একদিন এক সাহাবী হাঁচির পর ‘আলহামদুলিল্লাহি ওয়াস্সালাতু ওয়াসসালামু আলা রাসূলিল্লাহ’ বলেন। এটা শুনে সাথে সাথে আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযি.) তাঁকে নিষেধ করে বললেন, আমরা রাসূলের যামানায় শুধু ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলেছি। ‘আসসালাতু ওয়াসসালামু আলা রাসূলিল্লাহ’ বলিনি। সুতরাং তা বিদআত। তদ্রƒপ নবীর মুহাব্বতও একটি মহান ইবাদত। এ ইবাদতকেও সীমার ভিতরে রাখতে হবে।

আবুদাঊদ শরীফে হযরত আবু উমামা (রাযি.) কর্তৃক  বর্ণিত, “রাসূলুল্লাহ (সা.) একদা নিজের লাঠির উপর ভর করে ঘর থেকে বের হয়ে আসলেন। আমরা তাঁর সম্মানে দাঁড়িয়ে গেলাম। তিনি বললেন, আজমী (অনারব) লোকেরা পরস্পরকে দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করে, তোমরা সেরূপ সম্মানার্থে দাঁড়াবে না।” (আবু দাউদ-২/৩৬৩)।

সুতরাং বোঝা গেল, রাসূলুল্লাহ (সা.)কে কীভাবে মুহাব্বত করতে হবে তা তিনি সাহাবীগণকে শিখিয়ে দিয়েছেন এবং সাহাবায়ে কেরামও রাসূলের শেখানো তরীকায় তাঁকে সবচেয়ে বেশি ভালবেসেছেন।

রাসূলের প্রতি সাহাবীগণের মুহাব্বতের দৃষ্টান্ত

এক দিন মক্কার মুশরিকরা হযরত আবুবকর (রাযি.)কে খুবই প্রহার করেছিল। সারা দিন তিনি জ্ঞানহারা হয়ে পড়েছিলেন। রাতে যখন তাঁর হুঁশ ফিরে এলো, তখন সর্বপ্রথম কথা বললেন, ‘রাসূলের কী খবর’? তাঁর মা তার জন্য কিছু দুধ নিয়ে এসেছিলেন। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সা.)এর চেহারা না দেখা পর্যন্ত আমি এ দুধ পান করবো না। দেখুন! রাসূলের প্রতি হযরত আবু বকরের কী অগাধ ভালবাসা! ভয়াবহ অত্যাচারে গুরুতর অসুস্থতার ক্লান্তির পরও নবীজির চেহারা দর্শনের জন্য তিনি কতই না ব্যাকুল।

উহুদের শহীদগণের কথা যখন মদীনায় ছড়িয়ে পড়ে তখন মহিলারা পর্যন্ত ঘর থেকে বের হয়ে এসেছিলেন। এক মহিলা একথা জিজ্ঞেস করতে করতে আসছিলেন যে, নবীর খবর কী? একজন বললেন, তোমার আব্বা শহীদ হয়েছেন। তিনি বললেন, আমাকে বলো নবীজির খবর কী? অপর একজন বললেন, তোমার স্বামী শহীদ হয়েছেন। তিনি ভ্রƒক্ষেপ না করে বললেন, নবীজির সংবাদ কী? অপর একজন বললেন, তোমার ছেলে শহীদ হয়েছে। মহিলা শুধু বলে যাচ্ছেন, রাসূলের সংবাদ বলো। অতঃপর মহিলা বলল, রাসূলকে জীবিত দেখে আমার সকল মুসীবত দূর হয়ে গেছে।

হুযূর (সা.)এর শরীরের রক্ত দাফন করার জন্য হযরত আব্দুল্লাহ বিন যুবাইর (রাযি.)কে দিয়েছিলেন। তিনি হুযূর (সা.)এর মুহাব্বতে তা পান করে ফেলেছিলেন। সাহাবী হযরত মালেক বিন সিনান (রাযি.) হুযূর (সা.)এর শরীর থেকে প্রবাহিত রক্ত চেটে খেয়ে ফেলেছেন।

একদা হযরত আলী (রাযি.)এর নিকট জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি হুযূর (সা.)কে কতটুকু মুহাব্বত করতেন? তিনি বলেন, আল্লাহর ক্বসম! হুযূর (সা.) আমাদের নিকট আপন জান-মাল, পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি ও পিপাসার্ত অবস্থায় ঠাণ্ডা পানির চেয়েও অধিক প্রিয় ছিলেন।

রাসূলের জন্ম দিবস পালন

উপরে রাসূলের সাথে সাহাবীগণের মুহাব্বত ও ভালবাসার যে কিঞ্চিৎ বর্ণনা দেওয়া হলো, সে রকম হাজারো ঘটনা রয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সা.)কে কীভাবে সালাম দিতে হবে, কীভাবে তাঁর উপর দরূদ পাঠ করতে হবে- তার সবই তিনি তাঁর সাহাবীগণকে শিখিয়ে গেছেন এবং এও শিক্ষা দিয়েছেন, কীভাবে তাঁকে তা’যীম করতে হবে। তাঁর সম্মানে যখন সাহাবীগণ দাঁড়িয়ে গেলেন তিনি তাদেরকে নিষেধ করলেন। এসকল বিষয় দ্বারা দিবালোকের ন্যায় প্রমাণিত হয় যে, যদি হুযূর (সা.)এর জন্ম দিবস পালন করা ইবাদতের কাজ হতো বা মুহাব্বতের পরিচায়ক হতো, তাহলে রাসূলুল্লাহ (সা.) যেভাবে তাঁকে মুহাব্বত করার কথা বলেছেন, তাঁর উপর দরূদ পাঠ করার কথা বলেছেন, তদ্রƒপ জন্ম দিবস পালনের কথাও অবশ্যই বলতেন।

সুতরাং রাসূলুল্লাহ (সা.)এর জন্মদিবস পালন করা যেমন ভিত্তিহীন ও বিদআত, তেমনি তা অযৌক্তিকও বটে। কেননা, রাসূলুল্লাহ (সা.)এর জন্মদিবস পালন করা হয় রবীউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ। অথচ রবীউল আউয়াল মাসে হুযূর (সা.)এর জন্ম নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। কারো মতে রবীউল আখির মাসে এবং কারো মতে সফর মাসে হুযূর (সা.) জন্মগ্রহণ করেছেন। দ্বিতীয়তঃ রবীউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ নিয়ে ঐতিহাসিকদের মাঝে প্রচণ্ড মতভেদ দেখা যায়। তন্মধ্যে ৮ রবীউল আউয়ালের মতটি বিশুদ্ধ বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত। যেমন প্রসিদ্ধ আল্ বিদায়া ওয়ান্ নিহায়া গ্রন্থে ৮ তারিখকেই বিশুদ্ধ বলা হয়েছে।

আরও পড়তে পারেন-

পক্ষান্তরে হুযূর (সা.)এর ইন্তিকালের তারিখ সর্বসম্মতিক্রমে ১২ রবীউল আউয়াল। এক্ষেত্রে কোন ঐতিহাসিকের দ্বিমত নেই। সুতরাং ১২ রবীউল আউয়ালকে যদি হুযূর (সা.)এর জন্ম তারিখ মেনে নেওয়া হয়, তাহলেও একই তারিখে হুযূর (সা.)এর ইন্তিকাল হওয়ার কারণে জন্মদিবস পালনার্থে উৎসব করার কোন যৌক্তিকতা থাকে না। বরং যারা এ দিনে তাঁর জন্মোৎসব পালন করেন, তাদের এ সন্দেহ করার অবকাশ থেকে যায় যে, তারা কি জন্মের উৎসব করছেন, নাকি ইন্তিকালের কারণে।

বস্তুতঃ রবীউল আউয়ালের ১২ তারিখকে হুযূর (সা.)এর জন্মদিবস মেনে নিলেও এটি আল্লাহ তাআলার একটি বিশেষ হিকমত যে, তিনি তাঁর হাবীবের জন্ম ও ইন্তিকাল একই তারিখে সংঘটিত করে উৎসব ও বিলাপ দু’টোরই আনুষ্ঠানিকতার পথ রুদ্ধ করে দিয়েছেন।

বর্তমান প্রচলিত মিলাদ মাহফিল, ঈদে মিলাদুন্নবী, জশ্নে জুলুস ইত্যাদি কুরআন, হাদীস, ইজমা, ক্বিয়াস এবং অনুসরণীয় তিন সোনালি যুগ তথা মহান চার খলীফা- সাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈন ও তাবে তাবেঈনের আমল দ্বারা প্রমাণিত নয়। এমনকি উম্মতের পরবর্তী বড় বড় চার ইমাম তথা ইমাম আবু হানীফা, ইমাম শাফিঈ, ইমাম মালেক ও ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (রহ.), অতঃপর যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিসগণ যেমন- ইমাম বুখারী, ইমাম মুসলিম, ইমাম তিরমিযী, ইমাম আবুদাঊদ (রহ.), অতঃপর বড় বড় বুযুর্গ ব্যক্তিগণ যথা বড়পীর হযরত আব্দুল কাদির জিলানী, খাজা মুঈনুদ্দীন চিশ্তী (রহ.) প্রমুখ যুগবরেণ্য সুফী-সাধকগণের আমলেও এগুলোর কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না। তাহলে প্রশ্ন জাগে, এই মিলাদের সূত্র কী? এর জন্ম কোথায়?

এ ব্যাপারে ব্যাপক অনুসন্ধানে দেখা যায়, ৬০৪ হিজরী সনে ইরাকের মসুল শহরে তৎকালীন বাদশা আবু সাঈদ মুজাফ্ফর কওকরি আবুল খাত্তাব উমর ইব্নে দিহ্ইয়া নামক জনৈক দরবারী আলেম দ্বারা সর্বপ্রথম এর গোড়াপত্তন হয়। ১২ রবীউল আউয়াল ভিত্তিক এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ছিল আনন্দ-উৎসব করা এবং হুযূর (সা.)এর জন্য ঈসালে সাওয়াবের উদ্দেশ্যে যিয়াফতের ব্যবস্থা করা। (তারীখে ইব্নে কাসীর-১৩/১৩৬, তারীখে ইব্নে খাল্লিকান-৪/১১৭)।

মিলাদের গোঁড়া সমর্থক মৌলভী আহমদ রেযা খান বেরলভীর বিশিষ্ট খলীফা মৌলভী আব্দুস্সমী রামপুরীও এ কথা স্বীকার করেছেন। তার ভাষায়- রবীউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখকে আনন্দ-উল্লাস ও মীলাদ মাহফিলের আয়োজন অনুষ্ঠানের জন্য যে নির্দিষ্ট করা হয়, তার প্রচলন শুরু হয় ছয়শ’ হিজরী সালের শেষ ভাগে। (আন্ওয়ারে সাতেআ- ১৬৩ পৃষ্ঠা)।

সুতরাং ঐতিহাসিক আলোচনা দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, প্রচলিত মীলাদ মাহফিলের গোড়াপত্তন হয়েছিল তাবেঈন, তাবে তাবেঈন, আইম্মায়ে মুজতাহিদীন ও সালফে সালিহীনের অনেক পরে এক অপব্যয়ী বাদশা ও তার দোসর এক স্বার্থপর আলেম দ্বারা। এর উদ্দেশ্য ছিল বিপুল অর্থ ব্যয়ে ধর্মের নামে লোকদের আকৃষ্ট করা এবং উদরপূর্তির একটি উসীলা সৃষ্টি করা। যা পরবর্তীতে মীলাদ পড়ূয়া মৌলভীদের মধ্যেও প্রকটভাবে দেখা যাচ্ছে। তাই এটি সাওয়াবের কাজ নয়। বরং ঘৃণ্য বিদআত তথা ইসলামে নতুন সংযোজিত একটি বিষয়। হযরত ইমাম মালেক (রহ.) অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে বলেছেন, যে আমল হুযূর (সা.)এর সাহাবীগণের যুগে ছিল না তা আজ দ্বীন হতে পারে না। (আল্ ই’তিসাম- ১/৪৯)।

অবাক হওয়ার মতো কথা হচ্ছে যে, শরীয়তে যার কোন ভিত্তিই নেই, সেই মিলাদ মাহফিলের সাথে ইদানিং ‘ঈদ’ শব্দটিও যুক্ত করা হয়েছে। অথচ ইসলামের ইতিহাসে ঈদুল ফিত্র ও ঈদুল আযহা ব্যতীত তৃতীয় কোন ঈদের অস্তিত্ব নেই। এক হাদীসে বর্ণিত আছে, হুযূর (সা.) মদীনায় আসার পর দেখলেন মদীনাবাসী বছরে দু’টি দিনে আনন্দ-উৎসব করে। তারপর রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, আল্লাহ তাআলা জাহিলিয়্যাতের দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদেরকে উত্তম দু’টি দিন দান করেছেন। একটি ঈদুল ফিত্র, অপরটি ঈদুল আযহা। (মিশ্কাত শরীফ- ১২৬)।

সুতরাং মুসলমানদের ঈদ কেবল দু’টি। অন্য কোন ঈদ নেই। সাহাবী, তাবেঈন এবং আহ্লে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের হক্কানী উলামায়ে কেরাম উক্ত দু’দিন ছাড়া আর কোন দিনের সাথে ঈদ শব্দ যোগ করেননি। সুতরাং তৃতীয় কোন ঈদের উদ্ভাবন দ্বীনের বিকৃতি ছাড়া কিছুই নয়।

বর্তমান কোন কোন এলাকায় ঈদে মীলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে লক্ষ লক্ষ টাকা অপচয় করে বিপুল আয়োজনে জুলুস ও শানদার মিছিলের আয়োজন করা হচ্ছে। যুক্তি দেখানো হয় যে, এতে ইসলামের শান-শওকত প্রকাশ পায় এবং মুসলিম সমাজে নবচেতনা জাগ্রত হয়। অথচ এ ধরনের জুলুস ও মিছিলের মাধ্যমে যদি শান-শওকত প্রকাশ পেত, তাহলে ইসলামের মহান দুই ঈদের দিনেই তা সংযুক্ত হওয়া অধিক যুক্তিযুক্ত ছিল। আর একথা সকলেই জানেন যে, দুই ঈদের দিনে এ জাতীয় কোন জুলুস বা মিছিলের অবকাশ শরীয়তে নেই। বরং কেউ তা করতে চাইলে তাকে গোমরাহ বলে প্রত্যাখ্যান করা হবে।

তাই ঈদে মীলাদুন্নবী উদ্যাপনে যদি শরয়ী কল্যাণের কিছু থাকতো বা নবী প্রেমের সত্যিকারের আলামত ও নিদর্শন হতো, তাহলে সাহাবায়ে কেরাম কোন অবস্থাতেই এ কাজ থেকে বিরত থাকতেন না। কারণ তাঁদের চেয়ে অধিক নবীপ্রেমী পৃথিবীর বুকে আর কেউ ছিলেন না। তাঁরা নিজেদের জান-মাল সব কিছু নবীর জন্য বিসর্জন দিয়েছিলেন। নবীর প্রতিটি সুন্নাত তাঁদের কাছে দুনিয়ার সব কিছুর চেয়েও মূল্যবান ছিল। এতদসত্ত্বেও তাঁরা ঈদে মীলাদুন্নবী, ক্বিয়াম প্রভৃতি রসম ও রেওয়াজে জড়িত হননি।

তাই আসুন আমরা বিদ্আত বর্জন করি এবং রাসূলের সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরে প্রকৃত নবী প্রেমের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই। আল্লাহ আমাদের সহীহ বুঝ দান করুন। আমিন।

লেখক: সহযোগী পরিচালক- আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী, চট্টগ্রাম, সহসভাপতি- বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ।

#মাসিক মুঈনুল ইসলাম/এমএ

মাসিক মুঈনুল ইসলাম পড়তে ক্লিক করুন-
https://mueenulislam.com/

ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা ও মাসআলা-মাসায়েলবিষয়ক লেখা পেতে ‘মাসিক মুঈনুল ইসলাম-এর ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।