ধন্য আমি নারী

।। মুশতারী তাসনীম মুন্নী ।।

এক সময় নারী কেবলই ভোগ্যপণ্য তথা জৈবিক চাহিদাপূরণের হাতিয়ার ছিলো। তাদের ছিলো না অধিকার, সম্মান বা ন্যূনতম স্বাধীনতা। জাহেলী যুগ নারীর ওপর অত্যাচারে সর্বাধিক এগিয়ে ছিলো। সেই আইয়ামে জাহেলিয়াতে সর্বপ্রথম পৃথিবীর বুকে নারীর সম্মান, নারীর মর্যাদা ফিরিয়ে আনে ইসলাম। সামান্য দাসীর মর্যাদা যেখানে ছিলো না, সেখানে ইসলামই আমাকে পরিচয় দেয় মায়ের, মেয়ের কিংবা স্ত্রীর। কখনও মর্যাদার গন্ডি আমাকে জান্নাতের সুউচ্চ মাকামে নিয়ে যায়। কখনও আমি নারী হয়ে জন্ম নেওয়ার জন্য নিজেকে ধন্য মনে করি। এ পর্যায়ে আসুন ইসলামে নারীর সম্মান ও অবস্থানগুলোতে একবার চোখ বুলিয়ে নেই।

মা হিসেবে নারী

পৃথিবীর সমস্ত পুরুষ একজন নারীর গর্ভ হতেই দুনিয়ায় আগমন করে। এই গর্ভে ধারণ করার জন্য নারী মা। নারীর অসাধারণপ্রাপ্তি এটা। যুগে যুগে যত বীর, যত যোদ্ধা, যতো আবিষ্কারক কিংবা দেশপ্রধানই আসুক, সবই নারী হতে প্রাপ্তি। একজন মায়ের সম্মান কুরআন হাদীস উভয় ক্ষেত্রে পাওয়া যায়। মহান আল্লাহ তাআলা মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেশত নির্ধারণ করেছেন। ইসলাম যতো মর্যাদা দিচ্ছে, মুসলিম মর্যাদার ততোটাই গুরুত্ব দিবে- এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ইসলামের এই আধুনিকতার যুগে আমরা এড়িয়ে যাই সব দায়িত্ব। স্ত্রীর কাঁধে নিজের মা বাবার দায়িত্ব দিয়ে অনেক ছেলে সন্তান মুক্ত। না এটা আপনার ধারণা। আপনার মা, আপনার হক, আপনার বেহেশত। আপনি ছেলে হোন কিংবা মেয়ে; প্রতিদিনের রুটিন হওয়া উচিত আপনার মা বাবার খেদমত। রুটিন হওয়া উচিত তাদের যোগ্য মর্যাদা দেয়ার। মা ও বাবাকে সম্মান দিন, খেদমত করুন। এতে দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহ তাআলা আপনার মর্যাদা বাড়িয়ে দিবেন।

নারী হিসেবে আমার অধিকার

আমি নারী। দুনিয়ায় এসে মা আর বাবার সান্নিধ্যে বড় হই। আমার অধিকার এখান হতেই শুরু। একজন পিতা আমার ভালো মন্দের অভিভাবক। আমার শিক্ষা, আমার খাদ্য, আমার বস্ত্রভার এবং আমার চিকিৎসা ও নিরাপত্তার দেখভাল তার ওপর বর্তায়। এটা আমার ইসলামপ্রদত্ত অধিকার। কোনো দেশের আইন বা কোনো ব্যক্তিকেন্দ্রিক অধিকার নয়। তেমনি বাল্যকাল পেরিয়ে আমার বিয়ে, আমার ভবিষ্যৎ জীবনসঙ্গী নির্বাচন করাও তাঁর দায়িত্বের অংশ। পিতার সারাজীবনের অর্জিত সম্পদেও রয়েছে আমার অধিকার। আমি নারী, আমি লজ্জিত নই, আমি অবহেলিত নই। বরং আমার অধিকার সুস্পষ্ট। ইসলাম ধাপে ধাপে আমার অভিভাবক আর সম্পদে আমায় স্বচ্ছল ও গৌরবান্বিত করেছে।

স্ত্রী হিসেবে আমার অধিকার

আমি যখন বাবার গৃহ ছেড়ে একজন অজানা অচেনা পুরুষের জীবনে আসি, তখনই আমার পরিচয় আসে স্ত্রী হিসেবে। এ এক পবিত্রতম ও মর্যাদার অধ্যায়। বরকতপূর্ণ জীবনের সূচনালগ্ন। আল্লাহ এখানে আমাকে কতো সম্মান দিয়েছেন। যেমন পরিচয় দিয়েছেন স্ত্রীর, তেমনই সম্পদ দিয়েছেন মহর। মহর সম্পর্কে দু’কথা না বললেই নয়। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় মহরের ব্যাপারে কোনো সচেতনতাই নেই। এটা যেনো নিছক কবুল বলার মতোই একটা রেওয়াজ মাত্র। এ সমাজ নফল ইবাদতকে এর চেয়েও বেশি গুরুত্ব দেয়। অথচ বিয়ের ফরয বিধানের মধ্যে এটা অন্যতম। মহরের আইন বড়ো কঠিন। কিন্তু বাসরঘরের আবেগঘন পরিবেশে বউয়ের কাছ থেকে মাফ চেয়ে নিলেই যেনো কেল্লাফতে!

এমন ধারণা আর সময় হতে বেরিয়ে আসুন। মহর আমাকে আপনার জন্য হালাল করেছে। মহর আমার মর্যাদার নিরিখে আল্লাহ ঠিক করেছেন। এর হিসাব তো বিয়ের আসনেই মিটিয়ে দেওয়ার কথা। যে মহর আমাকে স্ত্রী হিসেবে আপনাকে দিলো, আপনি তা সন্তুষ্টির সাথে মেনে নিয়ে এখন কেনো দিতে পারছেন না বা নানা তালবাহানা করছেন?

আর মহর দিলেই আপনি আমাকে পুরোপুরি কিনে নিলেন, এটাও তো ভাবা যাবে না। কেননা, মহর দিয়ে দাম্পত্য জীবনের হালাল যাত্রার সূচনা হলো।

এরপরে স্বামীর যেমন হক রয়েছে, প্রতিটি বিপরীত দিকে স্ত্রীরও তেমনই হক রয়েছে। স্ত্রীর ভরণপোষণ ও চিকিৎসা, স্ত্রীর মর্যাদা ও নিরাপত্তাগত সুরক্ষা নিশ্চিত করা, স্ত্রীর প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া আপনার দায়িত্ব। আমাদের অধিকার। আর এই অধিকার স্বয়ং আল্লাহ নির্ধারণ করেছেন। এর হেরফের হলে আখিরাত জবাব নিবে।

প্রতিটি পাড়ায় বা মহল্লায় প্রতিটি জুমআয় স্বামীর প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য নিয়ে বেশ আলোচনা শোনা যায়। কিন্তু কখনও আমি নারী, আমার মহর, আমার অধিকার; এগুলো যথাযথভাবে আদায় করা হচ্ছে কি না- কেনো আলোচনার উপলক্ষ্য হয় না? এগুলো তো আমি তৈরি করিনি। কুরআন-হাদীসের এই বাণীসমূহ নিরবে কেনো চেপে যাওয়া হয়।

সমাজকে ইসলামসম্মত উপায়ে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় উদ্বুব্ধকরণে একজন ইমামের অবস্থান অনেক গুরুত্ববহ। প্রফেশনাল অপ্রফেশনাল ছোট বড় সব ধরনের মানুষ তার পেছনে দাঁড়িয়ে নামায পড়েন ও খুতবা শুনেন। একজন ইমাম জনগণকে শরীয়ত নির্ধারিত মহরের বিধান বিষয়ে সজাগ হতে সাহায্য করতে পারেন। ইসলাম এ ব্যাপারে কী বলে তা নিয়ে সাপ্তাহিক জুমার বয়ানে আলোচনা করতে পারেন। স্ত্রীর কাছ থেকে স্বামীদের খেদমত ও সহযোগিতা গ্রহণ করে গেলেই কেবল হবে না, বরং স্ত্রীর প্রতিও যে স্বামীর দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে সেটাও স্মরণ করিয়ে দিতে পারেন। শ্রদ্ধাভাজন ইমাম সাহেবদের প্রতি অনুরোধ করবো, স্ত্রীর সাথে সহানুভূতিশীল সম্পর্ক তৈরিতে স্বামীদের সজাগ ও মানবিক করতে দয়া করে সাহায্য করুন।

সমাজে প্রতিবেদন তৈরি করতে যদি যাই, একশ জনে ক’জন পাবো যে মহর শোধ করেছে? বিয়ের সূচনাতেই যদি স্ত্রীর হক ঠিকমতো আদায় না হয়, তাহলে বিয়ের পরবর্তী হকসমূহ সঠিকভাবে আদায় হবে; এটা আশা করা যায়?

একটু ভিন্নভাবে মহরের বিষয়ে আসি। আমাদের সমাজে মহর অত্যধিক পরিমাণ নির্বাচন করা হয়। এটা একটা অসঙ্গতি। অনেকে চাইলেও মহরের পুরো টাকা শোধ করতে পারেন না। কী প্রয়োজন ছিল এই বিশাল মহর নির্ধারণের, যেটা স্বামীর স্বাভাবিক আর্থিক সামর্থ্যে থাকে না। মহর নির্ধারণ করতে হবে স্বামীর আর্থিক সামর্থ্য অনুপাতে। এখনকার মহর বিয়ের জন্য নয়, ডিভোর্স থেকে সুরক্ষার জন্য নির্ধারণ হয়। এমনটাই আমার ধারণা। নয়তো ব্যাপক ফুটানির কী প্রয়োজন। অথচ এর কোনটাই ঠিক নয়। মহর নির্ধারণ হবে স্ত্রীর মর্যাদা ও স্বামীর সামর্থ্যের ভারসাম্য বজায় রেখে; যেটা স্বামী বিয়ের ইজাব-কবুলের পরপরই আদায় করে দিবেন। আপনি মহর দিবেন সন্তুষ্ট চিত্তে, আমিও নিবো আগ্রহের সাথে। এটাই ইসলাম। এটাই সম্মান। আসুন সমাজে মহরের বিষয়ে ইমাম, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং ধর্মীয় আলোচনায় সবাইকে অবহিত করি। এর সহজলভ্য দিক তুলে ধরি।

মহর আদায় না করা ব্যক্তি কিয়ামতের দিন ব্যভিচারী ব্যক্তি হিসেবে উঠবেন। কেনো একটু গাফিলতির জন্য আপনি হালাল ভক্ষণ করেও এমন তকমা নিবেন!

মহর আমার জন্য সম্মানের। এখানে আমার অধিকার রয়েছে। স্বামীর পুরো জীবনেই আমি জুড়ে আছি। আমার জন্য স্বয়ং আল্লাহ তাকে অভিভাবকের দায়িত্ব দিয়েছেন। দায়িত্ব পালনে আপনি সজাগ তো?

নারী যখন বোন

বোন হিসেবে একজন নারীর মর্যাদা যদি হাদীসের ভাষায় বলি, তাহলে এভাবে আসে- হযরত আবু সাঈদ খুদরী  (রাযি.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমাদের মধ্যে যে কারও যদি তিনটি বোন বা কন্যা থাকে, আর সে তাদের উত্তম উপায়ে দেখাশোনা করে, তবে সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে! (তিরমিযী- ১৯১৬)।

একজন বিধবার অধিকার

বিধবা মানেই সমাজে অবহেলিত। চরমভাবে নিগৃহীত। এরা যেনো অপয়া বা বাড়তি বোঝা। তাকদীরের লড়াই এদের জন্য অবধারিত। ইসলাম এখানে সর্বোত্তমভাবে তাদের দায়িত্ব নিয়ে থাকে। আবু হুরায়রা (রাযি.) হতে বর্ণিত, নবী কারীম (সা.) ইরশাদ করেছেন, যারা বিধবা নারীর ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নেয়, তারা যেনো আল্লাহর পথে জিহাদকারী এবং নিরলস নামাযী ও সদা রোযা পালনকারী। (বুখারী- ৫৩৫৩)।

সুতরাং কে বলবে এরপরও ইসলাম নারীকে সম্মান দেয়নি?

সম্পত্তিতে নারীর অধিকার

একজন নারী পূর্ববর্তী কোনো ধর্মে সম্পত্তির অধিকার পায়নি। সামাজিক, পারিবারিক কিংবা ধর্মীয় দৃষ্টিতে নারী বরাবরই ভিন্নধর্মে অবহেলিত ছিলো। ইসলামই প্রথম নারীকে সম্পদশালী করেছে। সম্মান ও সম্ভ্রম দিয়েছে। একজন নারী পিতা, ভাই, স্বামী, সন্তানদের সম্পদে নির্দিষ্ট পরিমাণে অংশীদারিত্বের অধিকারী। এখানে সমাজ বা ব্যক্তি তাকে এ অধিকার হতে বঞ্চিত করার কোনো সুযোগ পাবে না।

অথচ ইসলাম নির্ধারিত নারীদের ন্যায্য অধিকার লুকিয়েছে পশ্চিমা পুঁজিবাদে আসক্ত সমাজ ও সমাজপতিরা। ইসলামে কোনো লুকোচুরি নেই, নেই কোনো ধামাচাপা। এখানে স্পষ্টভাবে নারীদের প্রাপ্য সম্মান আর ন্যায্য অধিকারের কথা বলা আছে।

ইসলাম যেখানে মায়ের সাথে সদ্ব্যবহারের আদেশ করে থাকে, পিতার শুশ্রƒষার কথা বলে, স্ত্রীর কাছে প্রিয়ভাজন হতে বলে, স্ত্রীর হক রাখার আদেশ দেয়, পিতাকে কন্যা সন্তান প্রতিপালনে জান্নাতের ওয়াদা করা হয়, ভাইদের প্রতি বোনদের সদ্ব্যবহারের প্রতিদান জান্নাতের কথা বলা হয়, সমস্ত পুরুষ অভিভাবকের সম্পদে অংশীদারিত্বের কথা রাখা হয়, সেই সমাজে কেনো নারী অসম্মানের মুখোমুখি হয়? কেনো সেই সমাজেই নারী মুখ থুবড়ে পড়ে?

নারীর পথে নিরাপত্তা নেই, ঘরে শান্তি নেই, নারীর কাছে নারীর সম্মান নেই। এগুলো কেনো?

এগুলোর জন্য দায়ী আমাদের যথাযথ দ্বীনি সহীহ বুঝ ও জ্ঞানের অভাব। দ্বীনকে সরিয়ে, ইসলামী আইনকে সরিয়ে আমরা নিজেরা নিজেদের দায়িত্ব নিতে চাই, শরীয়তের বিধানকে আড়ালে রেখে নিজেদের মতো করে সমস্যার সমাধান করতে চাই।

মনে রাখুন, নারী তথা স্ত্রীদের পদদলিত করে সভ্যতার শিখরে যাওয়া যায় না। ইসলাম এটা অনুমোদন করে না। নারী বা স্ত্রী কখনো ঘরের শোপিস নয়। তাদেরকে তাদের পরিসরে গুরুত্ব দিন, শরীয়ত অনুমোদিত তাদের অধিকারগুলো পূরণ করুন এবং তাদের সাথে কোমল আচরণ করুন। এতে করে আপনি যেভাবে রাখবেন সেভাবেই তারা স্বাচ্ছন্দে থাকবে।

আজকাল নারীদের ন্যায্য অধিকারের বিষয়ে কথা বলতে গেলে কোন কোন মুসলমানকেও দেখা যায় অস্বস্তিবোধ করেন, বাকাচোখে দেখেন। আমার প্রশ্ন, কেনো ভাই? প্রতিবাদ যদি সত্য হয়, প্রতিবাদ যদি শরীয়া হুকুম হতে বঞ্চিত করার কারণে হয়, তাহলে কেনো বাকাচোখে দেখবেন, কেন প্রশ্নবিদ্ধ চোখে তাকাবেন?

একজন নারী তার দায়িত্ব সবটাই একযোগে করে যাবে। কখনও বিন্দুমাত্র ভুল হলেই আঙুল না তুলে সদয় চোখে কি তাদের দেখা যায় না?

কখনও আপনার দিকে আঙুল তোলে না তাই কি? এই সমাজে নারীকে আপনারাই নষ্ট করছেন। আবার আপনারাই তাদের শায়েস্তা করার জন্য ফাঁকফোকর খোঁজছেন! প্রশ্ন হলো কেনো? নারীজাতি আপনাদের পরিপূরক। আপনি তাদের ছাড়া অসম্পূর্ণ। তাহলে শরীয়ত মতো সদ্ব্যবহার করুন। পিতা হিসেবে সন্তানের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করুন। বিবাহ শাদীতে শরীয়তের বিধান মেনে চলুন। পরিবারে নারীদের প্রতি সম্মান রাখুন। একজন স্ত্রীর মহর হতে মৃত্যু পর্যন্ত দায়িত্ব নিন। ভালোবাসুন। মায়ের স্থান সবার উপরে রাখুন। নিজ দায়িত্বে সেবা শুশ্রƒষা করুন। দুনিয়ায় নারীদের উপস্থিতি জান্নাত মনে করুন। হোক সে মা, স্ত্রী কিংবা কন্যা।

দিনশেষে আমি যেনো বলতে পারি, দেখো জগত দেখো- ধন্য আমি নারী, আমি মা, আমার গর্ভেই আসে দুনিয়ার সমস্ত বিশ্বজয়ী বীর। আমি মা আমার সন্তান দুনিয়ায় দ্বীনের আলোয় আলোকিত করছে ধরা। আমি মেয়ে, বাবার কাছে আমি চরমপ্রিয়। আমি তার চোখের মনি। আমি তার চোখের আলো। আমি স্ত্রী। আমি প্রেমময়ী। আমার প্রেমময় আচরণ তার দুনিয়ার জান্নাত। আমার আশ্রয় তার সব বিরহের অবসান। আমি তার প্রেরণাদায়ী, আমি তার শক্তি। ধন্য আমি নারী, আমি নিজেকে সমাজের আলো হিসেবে জানি।

আসুন, মুসলিম নাম নিয়ে নয়, মুসলিম জাতি হিসেবে নিজ নিজ ঘরের রত্নের যত্ন নেই। ছোট্ট মেয়ে একসময় স্ত্রী হয়, সময়ের স্রোতে মা হয়। মা বয়সভারে যেনো কারও বোঝা না হয়। নারীর সম্মান ইসলামে সীমাহীন। কেনো সেখানে আপনাদের সঙ্কোচন। আজ যদি আপনি নিজ পরিবারের মেয়ে স্ত্রী কিংবা মাকে সম্মান দিতে থাকেন। পরিবারে পরিবারে ইসলাম ধারণ করলে সমাজ বদলে যাবে। আসুন, আমরা নিজেরা নিজেদের বদলে দেই। বদলে যাবে সমাজ ও রাষ্ট্র। সমাজ পরিবর্তনে হই এক একজন দ্বীনের ধারক।

#মাসিক মুঈনুল ইসলাম/এমএ

মাসিক মুঈনুল ইসলাম পড়তে ক্লিক করুন-
https://mueenulislam.com/

ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা ও মাসআলা-মাসায়েলবিষয়ক লেখা পেতে ‘মাসিক মুঈনুল ইসলাম-এর ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।